সুওয়াল-জাওয়াব বিভাগ
সুওয়ালঃ অনেকে বলে থাকে, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার যেহেতু ছেলে সন্তান কেউ হায়াতে ছিলেন না, তাই উনার কোন বংশও পৃথিবীতে নেই।”এটা কতটুকু সত্য?
প্রসঙ্গ: আওলাদে রসূল
এডমিন, ০৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৬ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৯ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) শিক্ষামূলক জিজ্ঞাসা

কারণ, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার বংশ মুবারক জারী রয়েছে উনার মহাসম্মানিতা কণিষ্ঠা মেয়ে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার দুই আওলাদ ইমামুল ছানী, সাইয়্যিদু শাবাবী আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং ইমামুল ছালিছ, সাইয়্যিদু শাবাবী আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি হলেন, জান্নাতবাসী মেয়েদের সাইয়্যিদ। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনারা হলেন জান্নাতবাসী যুবকদের সাইয়্যিদ।” (তিরমিযী, মিশকাত, মিরকাত, আশয়াতুললুময়াত, লুময়াত, শরহুত্ত্বীবী, তালিকুছ্ছবীহ্, মুযাহিরেহক্ব)
অন্য রেওয়ায়েতে “বুখারী ও মুসলিম” শরীফেও বর্ণিত রয়েছে। উনাদের বংশ পরস্পরায় যে সকল সন্তান যমীনে আগমন করেন উনারাই সাইয়্যিদ এবং উনারাই আওলাদে রসূলের অন্তর্ভুক্ত।
উল্লেখ্য, আওলাদে রসূল বা সাইয়্যিদাহ হওয়ার জন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, আখিরী নবী ও রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার আওলাদ বা সন্তান হওয়া। দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার আওলাদ বা সন্তান হওয়া। তৃতীয় শর্ত হচ্ছে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদের যে কোন একজনের আওলাদ বা সন্তান তথা বংশধর হওয়া।
উল্লেখ্য, মানুষের বংশ জারী হয় পিতার মাধ্যমে। কিন্তু আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-উনার বংশ মুবারক জারী থাকার মাধ্যম হচ্ছেন উনার একমাত্র বানাত বা মেয়ে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম এবং উনার দু’ছেলে আওলাদ সাইয়্যিদা শাবাবি আহলিল জান্নাহ্ হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনারা। উনাদের বংশধরগণই আওলাদে রসূল এবং উনারাই সাইয়্যিদ।
আর এটা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অসংখ্য খুছূছিয়তের মধ্যে একটা খুছূছিয়ত। অর্থাৎ উনার বংশ মুবারক জারি থাকার মাধ্যম হচ্ছেন উনার একমাত্র মেয়ে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি। আর হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার অন্যান্য সন্তানের দ্বারা যে বংশ জারী রয়েছে, উনারা ফাতিমী নামে পরিচিত। আর ইমামুল আউয়াল হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহাহু আলাইহিস সালাম উনার অন্যান্য আহলিয়াগণের সন্তানদের মাধ্যমে যে বংশ জারী রয়েছে উনারা আলূবী নামে পরিচিত।
দলীলঃ মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ১৫২তম সংখ্যা।