সুন্নতী মুবারক তা’লীম
সুন্নতী খাবার পরিচিতি
, ২৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০২ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৫ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
ছাতু
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- হযরত ইবনে আবূ ‘আওফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সফরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক ছোহবতে উনার ছিলেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সন্ধ্যা পর্যন্ত রোযা পালন করেন। এরপর একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে ইরশাদ মুবারক করেন, সওয়ারী হতে নেমে ছাতু গুলে আনুন। ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, আপনি যদি (পূর্ণ সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত) অপেক্ষা করতেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুনরায় ইরশাদ মুবারক করেন, নেমে আমার জন্য ছাতু গুলে আনুন। (তারপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন) যখন আপনি এদিক (পূর্বদিক) হতে রাত্রির আগমন দেখতে পাবেন তখন রোযা পালনকারী ইফতার করবেন।” (বুখারী শরীফ: কিতাবুছ ছওম: বাবু তা’জীলিল ইফত্বার: হাদীছ শরীফ নং ১৯৫৮)
ছাতুর উপকারিতা :
১. ছাতু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিমেষে উপকারি উপাদানগুলি রক্তে মিশে যায়। ফলে তৎক্ষণাৎ শক্তির মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
২. প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে ছাতু নিয়মিত পানিতে গুলিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার প্রকোপ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হজমশক্তিরও উন্নতি ঘটে।
৩. গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার কারণে ছাতুতে উপস্থিত শর্করা খুব ধীরে ধীরে রক্তে মিশে থাকে। ফলে এই ধরনের খাবার খেলে হঠাৎ করে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনাই থাকে না। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের অত্যন্ত উপকারী।
৫. শিশুর শরীরের যথাযথ বৃদ্ধির জন্য যে যে উপাদানগুলির প্রয়োজন তা সবই উপস্থিত রয়েছে ছাতুতে। তাইতো বাজার চলতি হেলথ ড্রিঙ্কের পরিবর্তে বাচ্চাদের নিয়মিত ছাতু খাওয়ানো বেশি উপকারী।
৬. কিডনী সুস্থ রাখে।
৭. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৮. নিয়মিত খেলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ও মেদ- ভুঁড়ি কমায়।
হাকিমি মতে বা ইউনানি মতে যব তৃষ্ণা শান্ত করে, কাশি, মাথাব্যথা, হার্টের অসুখ, দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া, জ্বর রোগে যব ব্যবহার করা হয়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (১)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রয়োজনে ছুরি এবং চাকু দিয়ে খাবার কেটে খাওয়াও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












