সুন্নতী মুবারক তা’লীম
সুন্নতী খাবার পরিচিতি
, ০৫ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
হাইস
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- হযরত আনাস রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরহ্ আলাইহাস সালাম উনার সঙ্গে পবিত্র নিসবাতুল আ’যীম শরীফ গ্রহণ করলেন। আমি উনার সম্মানিত ওলীমা মুবারক উনার জন্য হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের দাওয়াত করলাম। উনার মুবারক নির্দেশ মোতাবেক পবিত্র দস্তরখান বিছানো হলো। তারপর খেজুর, পনির ও ঘি দেয়া হলো। হযরত ‘আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র নিসবাতুল আ’যীম শরীফ গ্রহণ করলেন এবং চামড়ার দস্তরখানে ‘হায়স’ তৈরী করলেন। ” (বুখারী শরীফ: কিতাবুত ত্বয়ামা‘য়াহ: বাবুল খ্বুবযিল মুরাক্কাক্বি ওয়া আকলি ‘আলাল খ্বিওয়ানি ওয়াস সুফরাহ: হাদীছ শরীফ নং ৫৩৮৭)
প্রস্তুত প্রণালী:
উপকরণ: ১. খেজুর, ২. পনির, ৩. মাখন/ঘি
তৈরির পদ্ধতি ১ : খেজুর, পনির ও মাখন/ঘি একসাথে মিশ্রিত করে কাঁইয়ের মতো করা হয়। আধা কাপ পানি দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় জাল দেয়া হয়। মিশ্রণটি হালুয়ার মতো হলে নামিয়ে ফেলা হয়। কিছুটা ঠান্ডা হওয়ার পর নাড়ুর মতো গোল গোল করে পরিবেশন করা যায় অথবা ছুরি দিয়ে কেটে চৌকোণাকৃতির করা যায়।
তৈরির পদ্ধতি ২ : মাখন/ঘি একটি কড়াইতে গলানো হয়। তাতে আধা কাপ যবের গুড়া বা ময়দা দিয়ে লালচে রং আসা পর্যন্ত ভালোভাবে নাড়া হয়। এ সময় খেজুরগুলোর বিচি বের করে ম- তৈরি করা হয়। ম-টি মাখন ও ময়দার মিশ্রণের সাথে দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রিত করে ফেলা হয়। চুলা থেকে নামিয়ে হাইস ঠান্ডা করা হয়। অতঃপর কেটে অথবা গোল করে পরিবেশন করা হয়।
পবিত্র মদীনা শরীফে এখনও অতিথি আপ্যায়নে মিষ্টান্ন হিসেবে হাইস পরিবশেন করা হয়। বর্তমানে পবিত্র মদীনা শরীফে প্রচলিত হাইস তৈরীর পদ্ধতি:
উপকরণ: ১. খেজুর (১ কেজি), ২. মাখন অথবা ঘি (২০০ গ্রাম), ৩. পানি (৫০০ মিলি), ৪. আটা বা যবের আটা (৫০০ গ্রাম)।
তৈরির পদ্ধতি ৩ : প্রথমে মাখন বা ঘি দিয়ে আটা/যবের গুড়া হালকা ভাজতে হবে। বিচি ছাড়ানো খেজুর পানিতে সেদ্ধ করে সেই পাত্রেই ধীরে ধীরে আটা দিতে হবে এবং সাথে সাথে হাতে ব্লেন্ড করতে হবে অথবা দ্রুত নাড়তে হবে। সবগুলোর মিশ্রণ ভালোভাবে হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলতে হবে। হায়েস হালকা অবস্থায় অথবা পুরোপুরি ঠান্ডা করেও পরিবেশন করা যায়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওযূর একটি মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক অনিচ্ছাকৃত তরক করায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সতর্কতা মুবারক
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক - ২
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক -১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হাত ও পায়ের নখ কাটার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেসব দিনে গোসল করা ও গোসলে কি কি ব্যবহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (১)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












