সম্পাদকীয় (২)
স্মার্ট বাংলাদেশের নামে ২৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের বেশির ভাগই অপ্রয়োজনীয় ও অলাভজনক এ অপচয় এক্ষুনি বন্ধ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
, ১৯ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১০ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
সব মিলিয়ে ২০১০ সাল থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এসব উদ্যোগের আশি ভাগই ফলপ্রসূ হয়নি। প্রকল্পগুলোয় মোট ব্যয়ের সিংহভাগই হয়েছে অবকাঠামো উন্নয়নে। কিন্তু এত বিপুল ব্যয়ের বিপরীতে উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করতে পারেনি প্রকল্পগুলো।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবকাঠামো উন্নয়ন বাবদ নিষ্ফল বিনিয়োগের বড় একটি উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নেয়া প্রকল্পগুলোর কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সারা দেশে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে গড়ে তোলা হচ্ছে হাই-টেক পার্ক, আইটি পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর সেন্টার, ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। হাই-টেক শিল্পের বিকাশে দেশব্যাপী এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও তা প্রত্যাশা অনুযায়ী বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারেনি। কয়েক বছর ধরে প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে। এছাড়া সিলেট ও রাজশাহীতে নির্মিত হাই-টেক পার্কে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান স্বল্প পরিসরে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে। এসব পার্কে খুব সামান্য পরিমাণে বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে।
হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৭৮৮ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। এছাড়া আরো ১০টি প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ১২৯ কোটি ৯৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাই-টেক পার্কগুলোয় আইটি ইন্ডাস্ট্রিসংশ্লিষ্ট কোনো মালিক বা কর্মী যেতে আগ্রহী নন। কিছু প্রতিষ্ঠান প্রথমদিকে গেলেও নানা সংকটের কারণে পরে তারা ফেরত আসে।
‘ডিজিটাল সরকার ও অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ (ইডিজিই)’ শীর্ষক প্রকল্পটি। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রযুক্তি খাতের রফতানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করাও এর উদ্দেশ্য। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিছু অবকাঠামো উন্নয়ন। এসব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। প্রকল্পটি এখনো চলমান। কিন্তু এর লক্ষ্য অর্জন নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গভীর সংশয় রয়ে গেছে।
মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য নেয়া হয় ৩৩০ কোটি টাকার প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় পাঁচ শতাধিক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হলেও এসব অ্যাপ্লিকেশন আপডেট করা হয়নি। জনগণও এর সুফল ভোগ করেনি।
সরকারের বড় প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত ডিজিটাল সংযোগ তথা ফাইবার অপটিক্যাল নেটওয়ার্কের বিস্তার করা। নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার বিস্তারের জন্য বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে কানেক্টেড বাংলাদেশ, ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন, জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন (ইনফো সরকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়)। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে সরকার। তবে এর সুফল আদৌ পাচ্ছে না মফস্বল ও প্রত্যন্ত জনপদের অধিবাসীরা।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশের নাম করে নানা ধরনের প্রকল্প নেয়া হয়েছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নেয়া এসব প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে। এর সুবিধা সাধারণ মানুষ পায়নি। এমনকি অনেক প্রকল্প ইন্ডাস্ট্রির জন্য নেয়া হলেও ইন্ডাস্ট্রির মানুষজন এখান থেকে কোনো ধরনের সুবিধা পায়নি। ইনফো সরকার-৩ নামেও একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল সংযোগ, ব্রডব্যান্ড সংযোগ গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেয়ার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এখনো গ্রামের মানুষজন মোবাইল নেটওয়ার্কের ওপরই নির্ভরশীল। ’
গভীর পরিতাপের বিষয় ‘বিগত সরকার জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করেছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্পের সম্ভাব্যতাও যাচাই করেনি। মন্ত্রণালয়কে দলীয়করণের মাধ্যমে দলীয় লোকজনকে সুবিধা দিতে এসব প্রকল্প নেয়া হয়।
সঙ্গতকারণেই আমরা মনে করি, প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে, সেগুলো যাচাইয়ের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয়, অলাভজনক বিষয়গুলো এক্ষুনি বাদ দিতে হবে। না হলে তা হবে চরম অপচয়ের শামিল। আর অপচয়কারী হলো শয়তানের ভাই। কাজেই এখন যে অবস্থায় আছে সে অবস্থা থেকেই ফিরে আসতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাবে দেশের শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক দুর্বলই থেকে যাচ্ছে। দেশের শিক্ষক সমাজকে অপ্রশিক্ষিত রেখে সরকারের শিক্ষার উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা কখনই সফল হবেনা।
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের প্রায় ৬০ ভাগ শিশুদের পুষ্টিহীনতা ও রক্তশূন্যতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। শিশুদের পুষ্টি সুরক্ষায় সরকারকে সক্রিয় হতে হবে।
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শুধু শস্য উৎপাদন নয় শস্য বহুমুখীকরণের উপর বিশেষ জোর দিতে হবে
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উন্নয়নের জোয়ারের প্রচারনার বিপরীতে অল্প বয়সী বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, তালাক্বপ্রাপ্তা লাখো-কোটি মহিলা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দেশের অসহায় মহিলাদের প্রতি সরকারের বিশেষ হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী।
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনে আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়
০৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
উন্নয়নের প্রচারণার বিপরীতে অতি উচ্চ ঋণ গ্রহণের তথ্যই বাস্তব সত্যি মাথাপিছু ঋণ দেড় লাখ টাকা- জনগণ নিজেদের ঋণী হিসেবে দেখতে চায় না
০৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ২৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আত তাসিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ২৭ তারিখ। যা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বমিসাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দেশের ফসলী জমিতে কমছে জৈবসারের ব্যবহার, বাড়ছে রাসায়নিক সার। সরকারের উচিত আইন করে জৈবসার ব্যবহার ও জৈবসারের জন্য প্রয়োজনীয় ভর্তুকি-প্রণোদনা প্রদান করা।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আত্মহত্যা প্রবনতারোধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো সোনালী সমৃদ্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)