জীবনী মুবারক
হযরত আবদুর রহমান ইবনে আবী বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
বিলাদত শরীফ: (তারিখ উল্লেখ নেই) বিছাল শরীফ: ৫৩ হিজরী (৬৭৪ খৃ:)
, ১৩ মে, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
জিহাদে অংশগ্রহণ:
দ্বীন ইসলাম গ্রহণের পরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে অবস্থানকালীন উনার সঙ্গে পরবর্তী সকল জিহাদে তিনি অংশগ্রহণ করে বিশেষ বীরত্বের পরিচয় দেন। ধনুর্বিদ্যায় তিনি ছিলেন একজন পারদর্শী ব্যক্তি। খাইবারের জিহাদে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং চল্লিশ ওয়াসাক গনীমত হিসাবে খাদ্যশস্য লাভ করেন। (সীরাতে ইবনে হিশাম)
হযরত আবদুর রহমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বিদায় হজ্জেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ছিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে তানঈমে পাঠিয়েছিলেন নতুন করে ইহরাম বাঁধার জন্য। (সীরতে ইবনে হিশাম)
ইয়ামামার জিহাদে উনার পারদর্শিতার প্রকৃষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। এই জিহাদে তিনি শত্রুপক্ষের ৭ জন পাহলোয়ানকে একাই হত্যা করেন। ইয়ামামার শত্রুপক্ষের দুর্গের এক স্থান ফেটে ছোট একটি পথ হয়ে গিয়েছিল। মুসলিম মুজাহিদরা বার বার সেই ছিদ্র পথ দিয়ে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেও প্রবেশ করতে পারছিলেন না। কারণ, শত্রুপক্ষের মাহকাম ইবনে তুফাইল নামক এক সৈনিক অটলভাবে পথটি পাহারা দিচ্ছিলো। হযরত আবদুর রহমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তার সিনা লক্ষ্য করে একটি তীর নিক্ষেপ করেন এবং সে তীরের আঘাতে মাটিতে ঢলে পড়ে। মুসলিম মুজাহিদরা সাথে সাথে মাহকামের সঙ্গীদের পায়ে পিষতে পিষতে ভিতরে প্রবেশ করে দুর্গের দরজা খুলে দেন। এভাবে দুর্গের পতন হয়।
বিছাল শরীফ:
ইবনে সা’দ ও অন্যান্য অনেকের বর্ণনা অনুযায়ী, এবং ইহাই সর্বাধিক সঠিক মত, হিজরী ৫৩ সনে (৬৭৪ খৃ:) মক্কা শরীফ থেকে ১০ মাইল দূরে ঘুমন্ত অবস্থায় আকস্মিকভাবে তিনি বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। উনার জিসিম মুবারক পবিত্র মক্কা শরীফে আনয়ন করে দাফন করা হয়। হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি উনার ওফাতের সংবাদ পেয়ে অত্যন্ত শোকাভিভূত হন। অতঃপর তিনি হজ্জ পালন করার জন্য বের হয়ে উনার মাযার শরীফের পাশে কান্নাকাটি করে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন, যা মুতাম্মিম বিন নুওয়াইরা উনার ভাইয়ের মৃত্যুতে আবৃত্তি করেছিলেন। অতঃপর তিনি বলেন, তুমি যখন মৃত্যুবরণ করেছিলে যদি আমি উপস্থিত থাকতাম তবে তোমাকে দাফন করতাম এবং তোমার জন্য ক্রন্দন করতাম না। (ইছাবা)
ফযীলত ও মর্যাদা:
ইবনে মুসাইয়িব হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আবদুর রহমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি জীবনে কখনও মিথ্যা কথা বলেননি। উনার পরিবারে চারজন পুরুষ ছাহাবীয়তের মাক্বাম হাছিল করেছেন। অর্থাৎ উনার পিতামহ, পিতা, তিনি নিজে এবং উনার পুত্র মুহম্মদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
সূত্র: উসুদুল গাবা, ইছাবা, ইবনে সা‘দ, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, বুখারী শরীফ (সমাপ্ত)
-আল্লামা সাঈদ আহমদ গজনবী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র ছোহবত মুবারক গ্রহণের ফাযায়িল-ফযীলত, গুরুত্ব-তাৎপর্য ও আবশ্যকতা:
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে নিজে পর্দা করে না ও অধীনস্থদের পর্দা করায় না সে দাইয়ূছ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হাক্বীক্বী মৃত্যুকে স্মরণ করার মধ্যেই শহীদী দরজা মিলে
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন রোগই ছোঁয়াচে নয়, ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা কুফরী
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত আব্বাদ ইবনে বিশর ইবনে ওয়াকাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৩)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা কবীরা গুনাহ ও অসন্তুষ্টির কারণ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বক্ষেত্রে ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে নেয়াই ঈমানদারের পরিচয়
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












