হাবীবী সীলমোহরে ছিদ্দীক্বী মুহাব্বতের নিশান
এডমিন, ০৫ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৩ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৬ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
আফদ্বালুন নাস বাদাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি আংটি মুবারক একজন খোদাইকারকের কাছে নিয়ে গিয়ে বললেন, সেখানে “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ” (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাক্য মুবারক খোদাই করে দিতে। তারপর খোদাই করা হয়ে গেলে, আংটি মুবারক নিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটে ফিরে আসলেন।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আংটি মুবারক নিয়ে দেখলেন সেখানে খোদাই করা আছে, “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওয়া আবূ বাকরিন আলাইহিস সালাম”। তিনি হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন,
‘হে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম! আপনি এটা কি লিখিয়ে এনেছেন?’ হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি জবাব দিলেন, “ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র নাম মুবারক থেকে আপনার পবিত্র নাম মুবারক জুদা হবে এটা আমার বরদাশত হয়নি। তাই আমি ‘মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ’ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অংশ মুবারক সংযোজিত করে দিয়েছি।”নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “আচ্ছা, তাহলে বাকি অংশ, ‘ওয়া আবূ বাকরিন আলাইহিস সালাম’ কিভাবে আসলো?” হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! আমি এই ব্যাপারে কিছু জানি না।’
তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আগমন করলেন। তিনি বললেন, ‘ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক আমাকে প্রেরণ করেছেন; আপনাকে জানানোর জন্য যে, হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার যেমন বরদাশত হয়নি মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র নাম মুবারক থেকে আপনার পবিত্র নাম মুবারক জুদা হবে, তেমনি মহান আল্লাহ পাক তিনিও পছন্দ করেননি যে আপনার পবিত্র নাম মুবারক থেকে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক জুদা হবে। তিনিই বাকি অংশ সংযোজিত করে দিয়েছেন।’ সুবহানাল্লাহ! কত বেমেছাল মর্যাদা উনার!