নিছবতি নূরের জালওয়া
হে মুর্শিদ দেখান আমায়
অধমের নাম লিখা হোক
মুবারক আরজ নামায়
কত-শত তামান্না
হৃদয়ে ভেসে বেড়ায়
আখিরের অন্ধকারে
সবই যেন কোথায় হারায়
নিছবতি নূরের জালওয়া
হে মুর্শিদ দেখান আমায়
খেয়ালেরই খেয়াতে
অভাবী দু’হাত বাড়ায়
ফায়িজে ইত্তেহাদী
ফুঁকে দিননা এ শিরদাঁড়ায়
নিছবতি নূরের জালওয়া
হে মুর্শিদ দেখান আমায়
রটিয়ে দিবো ছন্দ
সমস্ত তারায় তারায়
মুহাব্বতের মসনদে
ভেজি দাওয়াত শাহী ধারায়
নিছবতি নূরের জালওয়া
হে মুর্শিদ দেখান আমায়
কলুষিত নিয়তি
পূণরায় প্রিয় আশায়
কদম পাকে মিনতি
করি ক্রন্দন নতুন ভাষায়
নিছবতি নূরের জালওয় বাকি অংশ পড়ুন...
ছল্লাল্লাহ ছল্লাল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
মীলাদ শরীফের মাহফিলে
আসেন আমার আক্বা
মুহাব্বতের মশাল জ্বেলে
বানান ফানা বাক্বা
স্মরণে মুছে মুশকিল
প্রশান্ত সমস্ত দিল
মিলে মাদানী মানজিল
মিলে নূরের দেখা...
সুগন্ধি ছড়িয়ে ফারিক
দিওয়ানা হয় ফাসিক
ছলাত ছালামে অত্যাধিক
ইশকের কথা লেখা....
বুলন্দ স্বরে পাক ছানা
নাশিদে শুকরানা
নছীবে জুটে নজরানা
নিছবতি দীপশিখা....
সবচেয়ে মহীয়ান আলীশান
তাওয়াল্লুদ শরীফ লেহান
তিলাওয়াতে ফিদা ঈমান
জজবায় মধুমাখা....
ও মেরে পেয়ারে হাবীবী
দরদী দয়াল নবী
সংযোগ আমার চাই সবি
দানুন শাহী সখা....
বাকি অংশ পড়ুন...
মুহাব্বতের মওত আমি চাই
ইয়া রাসূলাল্লাহ
মুহাব্বতে মরে যেতে চাই
ইয়া নাবীয়াল্লাহ
নিছবতি নৌকাতে আমার মিলে যেন ঠাই
মিলে যেন ঠাই হাবীবী মিলে যেন ঠাই
সাইয়্যিদু আওক্বাতে অধম আরজি পাঠাই
ইয়া শাফিয়াল্লাহ
মুহাব্বতে মরে যেতে চাই
ইয়া নাবীয়াল্লাহ
বিরহের আগুনে হৃদয় পুড়ে পুড়ে ছাই
পুড়ে পুড়ে ছাই হাবীবী পুড়ে পুড়ে ছাই
এলোমেলো ছন্দমালায় হামেশা কাতরাই
ইয়া হাদীয়াল্লাহ
মুহাব্বতে মরে যেতে চাই
ইয়া নাবীয়াল্লাহ
হাকীকী দিওয়ানা হতে চেষ্টা করে যাই
চেষ্টা করে যাই হাবীবী চেষ্টা করে যাই
দুনিয়ার-ই শত বাধায় কত হোচট খাই
ইয়া হাফিজাল্লাহ
মুহাব্বতে ম বাকি অংশ পড়ুন...
বহুরূপী এই বেয়াকুফ
ক্ষমা চাই...করজোড়ে
সব অভিযোগ করুন মওকুফ
আম্মাজী...দয়া করে।
আমি মাফ চাই...কানে ধরে
আমি মাফ চাই...কানে ধরে
একের পর এক গোস্তাখী
শান্তি যে নেই মোর অন্তরে
মুহাব্বতের ফেরীওয়ালা
লৌকিকতায়...যাই সরে।
শূন্য বৃত্তে এই অধম
খামখেয়ালীতে রই পড়ে
নফসের পায়রবীতে হরদম
মজে থাকি...জোরে-শোরে।
খালিছ তওবা করি রোজ
ফের ডুবে যাই পাপ সাগরে
আখেরী মাঞ্জিলে আমায়
ত্বরায়ে নিন...মায়ার ডোরে।
খুব আহত অভাগা
খুন ঝড়ানো সেই খঞ্জরে
অনুতাপের অনলে তাই
কাঁদছি সদা...মৃদু স্বরে।
শাফিয়া সাইয়্যিদা মা!
ফায়িজ দানুন পাক নজরে
নাজাতের নৌকাতে আমায়
তুলে ন বাকি অংশ পড়ুন...
হৃদয়ের খামে
লিখেছি যে নাম,
সর্বসেরা শাহযাদা
খলিফাতুল উমাম।
আমার মনের ক্যানভাসে
আমি লিখেছি সে নাম,
সর্বসেরা শাহযাদা
খলিফাতুল উমাম।
দরদ মাখা তুলি দিয়ে
আচর টেনেছি,
সেই আচড়ে মুহাব্বতের
আবির মেখেছি,
যেই মহানের অযুদ পাকে
ফিদা মন ও প্রাণ,
সর্বসেরা শাহযাদা
খলিফাতুল উমাম।
দিদার পেতে এই হৃদয়ে
তুফান উঠেছে,
তাবাসসুমের আশায় চোখের
নিদ্রা ছুটেছে,
যেই মহানের অপেক্ষাতে
থাকি সুবহশাম,
সর্বসেরা শাহযাদা
খলিফাতুল উমাম।
হাজার তারায় আকাশ যখন
মিটিমিটি জ্বলে,
তখন খুজি শাহযাদাকে
চিত্ত মহলে,
দিবারাতে ক্বাছিদাতে
ডাকি অবিরাম,
সর্বসেরা শ বাকি অংশ পড়ুন...
বিখ্যাত ওলীআল্লাহ হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রথম জীবনে মণি মুক্তার ব্যবসা করতেন। রোম থেকে মণি মুক্তা এনে বছরায় বিক্রি করতেন। রোমের এক উযীরের সাথে উনার পরিচয় ছিল। একবার রোমে যাবার পর সেই উযীর বললো, ‘আপনাকে আমি একটা নতুন জায়গায় আজকে নিয়ে যাবো।’ তিনি রাজী হলেন। উনাকে অনেক দূরে একটা বিরাট মাঠে নিয়ে যাওয়া হলো। মাঠের মাঝখানে একটি বড় তাঁবু টাঙ্গানো। রোমের বাদশাহ, উযীর নাজির, সৈন্য সামন্ত সবাই সেখানে উপস্থিত।
কিছুক্ষণ পরে সৈন্য সামন্তরা তাদের ঢাল তলোয়ার নিয়ে কি যেন বলে কাঁদতে কাঁদতে সেই তাঁবুটাকে প্রদক্ষিণ করলো। বাকি অংশ পড়ুন...
কুরাইশরা দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার প্রসার থামানোর জন্য একটা আইন করেছিল যে, কোনো ব্যক্তি যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কোনরূপ সম্পর্ক স্থাপন করে তাহলে তাকে মৃত্যুদ- দেয়া হবে। নাঊযুবিল্লাহ! তার কিছুদিন পর আবূ জাহেলের সন্তান হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (তিনি তখনও দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেননি) উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাৎ মুবারক হলো। হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু অত্যন্ত মুহাব্বতের সাথে নূরে মুজাসস বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে এসেছে,
عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذٍ رَضِىَ اللّٰهُ تَـعَالٰـى عَنْهُ عَنْ أَبِيْهِ، أَنَّ النَّبِـيَّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ كَظَمَ غَيْظًا وَهُوَ يَـقْدِرُ عَلٰى أَنْ يُـنَـفِّذَهٗ دَعَاهُ اللّٰهُ عَلٰى رُءُوْسِ الْـخَلَائِقِ يَـوْمَ الْقِيَامَةِ حَتّٰـى يـُخَيِّـرَهٗ فِـىْ اَىِّ الْـحُوْرِ شَاءَ. (رواه الترمذي وابو داود)
হযরত সাহল ইবনে মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি ক্রোধ সংবরণ করে এবং সে রাগ বাস্তবায়ন করারও ক্ষমতা রাখে; মহান আল্লাহ পাক বাকি অংশ পড়ুন...
আমিরুল মু’মীনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘বলেন তো, আমার মাহবুব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবস্থা কি? তিনি কেমন আছেন?’ উম্মে জামীল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মায়ের দিকে ইশারা করে বললেন, ‘আপনার মা শুনে ফেলতে পারেন।’ আমিরুল মুমিনীন খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘উনার বিষয়ে কোনো ভয় করবেন না।’ উম্মে জামীল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বললেন, ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল বাকি অংশ পড়ুন...
স্মর্তব্য যে, সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্তর হচ্ছে তিনটি।
১ম স্তরে রয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত ওয়ালিদাইন শরীফাইন তথা আব্বা ও আম্মা আলাইহিমাস সালাম।
২য় স্তরে রয়েছেন, সম্মানিতা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম।
৩য় স্তরে রয়েছেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আবনা (পুত্র) আলাইহিমুস সালাম ও সম্মানিতা বানাত (কন্যা) আলাইহিন্নাস সালাম।
মূলত, এই তিন স্তরে যাঁরা রয়েছেন উনারা এবং উনাদের সম বাকি অংশ পড়ুন...












