حكايات الابرار
হিকায়াতুল আবরার বা নছীহতমূলক ঘটনাসমূহ (১৫)
, ২১ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১২ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১১ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি কতটুকু তাক্বওয়া অবলম্বন করেছেন, উনাদের তাক্বওয়া কি? তাক্বওয়ার কি হাল অবস্থা, সেটা আমরা একটা ঘটনা শুনলে বুঝতে পারবো। হযরত সাররী সাকতী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি ইমামুশ শরীয়ত, তরীকত যিনি হযরত মারূফ কারখী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ ও যিনি হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পীর সাহেব ছিলেন। উনার একটা ওয়াকেয়া উল্লেখ করা হয় যে, নবী রসূল আলাইহিস সালাম উনাদের প্রতি কতটুকু তাক্বওয়া রাখতে হবে। কতটুকু পরহেজগারী রাখতে হবে। হযরত সাররী সাকতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন স্বপ্ন দেখলেন হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম উনাকে। স্বপ্নে দেখে বললেন, হে ইয়াকুব আলাইহিস সালাম! আপনি তো মহান আল্লাহ পাক উনার নবী, আপনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার মহব্বত পরিপূর্ণ রয়ে গেছে, এটা সত্য কথা। তবে কি কারণে আপনি হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার জন্য কেঁদে কেঁদে আপনার চক্ষু মুবারক নষ্ট করেছিলেন? শুধু এতটুকু কথা তিনি বললেন। যখন তিনি একথাটা বললেন, সাথে সাথে একটা গায়েবী আওয়াজ হলো, হে সাররী সাখতী! মুখ সামলিয়ে কথা বল। যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার নবী রসূল, যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ বান্দা উনাদের সম্পর্কে সতর্ক হয়ে কথা বলতে হয়। এই আওয়াজ হবার সাথে সাথে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনাকে, হযরত সাররী সাখতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট পেশ করা হলো, তিনি উনাকে দেখলেন। দেখার সাথে সাথে তিনি বেহুঁশ হয়ে গেলেন। তের দিন, তের রাত্র তিনি বেহুঁশ হয়ে রইলেন। যখন উনার হুঁশ আসলো, তখন গায়েবী আওয়াজ হল, দেখ! যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার আশেক, যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ বান্দা, যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, উনাদের সাথে এলোমেলো কথা বললে, তাদের এ অবস্থাই হয়ে থাকে। এখন চিন্তা ফিকির করেন, হযরত সাররী সাকতী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকত, বড় বুজুর্গ মহান আল্লাহ পাক উনার মশহুর ওলী ছিলেন। উনার জীবনী দেখবেন। তাযকেরাতুল আওলিয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, উনার অনেক আলোচনা করা হয়েছে। সেই সাররী সাকতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এতটুকু বলেছিলেন, আপনার দিলের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত আছে সত্যি, তবে কেন হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার মুহব্বতে আপনি কাঁদলেন এবং চক্ষু মুবারক নষ্ট করলেন? এতটুকু কথা মহান আল্লাহ পাক উনার বরদাস্ত হলোনা। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, এটা আদবের খেলাফ, তাক্বওয়ার খেলাফ, তাক্বওয়ার সাথে কথা বলতে হবে হযরত নবী রসূল আলাইহিস সালাম উনাদের সাথে। তাক্বওয়ার খেলাফ করা যাবে না, বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম করা যাবে না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা শক্ত হারাম, রয়েছে কঠিন শাস্তি
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাই উম্মুল কায়িনাত
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
একমাত্র মহান আল্লাহ পাক ব্যতিত অন্য কারও অনুসরন করার বিষয়ে বাতিলপন্থীদের বিভ্রান্তির জাওয়াব
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ভোট, নির্বাচন, পদপ্রার্থী হওয়া ইত্যাদি কোনটিই জায়িয নেই
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী ও মুশরিকরা
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সত্যের মাপকাঠি
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৫৬)
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)