হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (পর্ব-৫২)
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোকে পর্দার আহকাম
, ০২ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০১ অগ্রহায়ণ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ الْمَرْأَةَ عَوْرَةٌ، فَإِذَا خَرَجَتْ مِنْ بَيْتِهَا اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ وَأَقْرَبُ مَا يَكُونُ مِنْ رَبِّهَا، مَا كَانَتْ فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
অর্থ:- নারী আবৃত থাকার জিনিস অর্থাৎ পর্দার অধীন থাকবে। সে যখন ঘর থেকে বের হয় তখন শয়তান তাকে উঁকি-ঝুকি দিয়ে দেখতে থাকে। পক্ষান্তরে সে যখন গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করে তখন সে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারকের নিকটবর্তী হয়। (তিরমিযী শরীফ, তুহফাতুল আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল আহওয়াযী, উরফুশ শাযী, বাযযার, তাফসীরে রূহুল মায়ানী ১২ জিঃ ৬পৃষ্ঠা, আল মু’জামুল আওসাত, তবারানী)
এ মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, বিনা প্রয়োজনে নারীদের ঘর থেকে বের হওয়া উচিত নয়।
২. হযরত উকবা ইবনে আমের জুহানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সূত্রে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِيَّاكُمْ وَالدُّخُولَ عَلَى النِّسَاءِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفَرَأَيْتَ الْحَمْوَ قَالَ الْحَمْوُ الْمَوْتُ.
অর্থ:- তোমরা নারীদের নিকট যাওয়া হতে বিরত থাক। এক হযরত আনছারী ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আরয করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দেবর সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? জবাবে তিনি বললেন, দেবর মৃত্যুতুল্য । (ছহীহ বুখারী ১/২৪২; ছহীহ মুসলিম, হাদীছ শরীফ : ১৭২ : জামে তিরমিযী হাদীছ শরীফ: ১১৭১; মুসনাদে আহমাদ ৪/১৪৯)
এ মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বেগানা নারী-পুরুষের একান্তে অবস্থানকে নিষেধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বামী পক্ষীয় আত্মীয়স্বজন যেমন দেবর-ভাসুর প্রমুখের সাথে অধিক সাবধানতা অবলম্বন করাকে অপরিহার্য করা হয়েছে। স্বামীর বন্ধু, তার অফিস সহপাঠীও এই নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন।
ইনশাআল্লাহ চলবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












