আঁকাবাঁকা দাঁতের চিকিৎসা কী
এডমিন, ২৮ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৯ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) চিকিৎসা

কারণ কি
দাঁত ও চোয়ালের হাড়ের আকারের আয়তনের অসামঞ্জস্যতা, হাড় বড় হলে বা দাঁত ছোট হলে অথবা উলটো হলে এমন হতে পারে। দুধ দাঁত সময়ের আগে পড়ে গেলে বা নির্দিষ্ট সময়ের পরও রয়ে গেলে, অস্বাভাবিক আঙুল চোষার অভ্যাস, ঠোঁট বা তালু কাটা, চোয়ালের হাড়ের জন্মগত অস্বাভাবিকতা, ল্যাবিয়াল ফ্রিনামের অস্বাভাবিকতা, বংশগত, দাঁত ফেলে দিয়ে কৃত্রিম দাঁত সংযোজন না করা ইত্যাদি কারণে দাঁত আঁকাবাঁকা বা উঁচুনিচু হতে পারে।
জটিলতা
আঁকাবাঁকা দাঁত তারা যতই ব্রাশ করুন না কেন যে দাঁতটা ভেতরে থাকে সেটা পরিষ্কার করা যায় না। ব্রাশ না লাগলে দাঁত কালো কালো হয়ে যায়, দাগ হয়ে যায়। সেখানে স্টেইন পড়ে, পরবর্তীকালে পাথর হয়। তখন জিনজিভাইটিস হয়। তখন মুখে থেকে দুর্গন্ধ আসে, রক্ত পড়ে , পুঁজ আসে। এটা আঁকাবাঁকা দাঁতের একটা বড় সমস্যা। যখনই একটা দাঁত উঁচু থাকে তখন দাঁতের গোড়া ধীরে ধীরে করাতের মতো ক্ষয় হয়ে যায়। এতে দাঁতে শিরশির করে। এতে পরবর্তীতে দাঁতে রুট ক্যানেল করার প্রয়োজন দেখা দেয়।
করণীয়
অর্থোডন্টিক চিকিৎসার মাধ্যমে দাঁতকে এখন যে কোনো বয়সে সুসজ্জিত করা সম্ভব, তবে শুরু থেকেই এলোমেলো দাঁতের আশঙ্কা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে থাকা জরুরি। ফাঁকা দাঁতের ক্ষেত্রে বন্ডিং ফিলিংয়ের মাধ্যমে সহজেই সমাধান সম্ভব। অর্থোডন্টিক চিকিৎসার একটি ধাপ হল ব্রেসিং। উপরের ও নীচের চোয়ালের দাঁতের সারিতে একাধিক মেটাল বা সেরামিক তার ও ক্লিপ লাগিয়ে দাঁত ও চোয়ালের গঠন ঠিক করার পদ্ধতিকে বলা হয় ব্রেসিং। সাধারণত, নির্দিষ্ট বয়সে অসমান দাঁতের চিকিৎসায় ব্রেসিং পদ্ধতি কার্যকর। আবার আকার দিতে বা চোয়াল ছোট করার জন্য কখনো অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন পড়তে পারে। তাই দেরি না করে বিশেষজ্ঞ দন্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।