বর্ণিত আছে- “যে জাতি তার ইতিহাস জানে না, সে জাতি কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না। ” আজকের মুসলমানদের হীনম্মন্যতার একটা কারণ হচ্ছে, মুসলমান তাদের ইতিহাস সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়, এমনকি কাফির-মুশরিকদের দ্বারা প্রভাবিত কোনো মুসলিম দেশেই শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে মুসলমানদের ইতিহাস নিয়ে অধ্যায়ন করার ভালো কোনো সুযোগ নেই। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত আমাদের এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায়ও ইসলামী সঠিক ইতিহাস সিলেবাসে নেই। কোনো সন্দেহ নেই, এটা মুসলমানদের উত্থান ঠেকানোর জন্য কাফির মুশরিকদের মাস্টার প্ল্যান (প্রধান পরিকল্পনা) সমূহের মধ্যে একটি গুরুত বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কা’বা শরীফ উনার গিলাফ মুবারকে ঝুলে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না:
ইবনে খ্বাতাল নামক এক ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে কটূক্তি করতো। পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের দিন এ কারণেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাকে হত্যা করার নির্দেশ মুবারক দেন। এ বিষয়ে পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে। হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন-
أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَامَ الْفَتْحِ وَعَلَى رَأْسِهِ الْمِغْفَرُ فَلَمَّا نَزَع বাকি অংশ পড়ুন...
১৭৫৭ সালে বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্রে পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। এরপর ইংরেজদের থেকে বাংলাকে মুক্ত করতে অনেক বীর শহীদ হওয়ার আগ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। যাদের কথা ইতিহাসে খুব কমই আলোচিত হয়। তাদেরই মধ্যে একজন মুহম্মদ তকী খাঁ। আজকের পর্বে তার বীরত্বের ইতিহাসই আমরা জানবো।
নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় এবং ইন্তেকালের পর ক্ষমতায় আসে মীর জাফর। তবে যে সিংহাসনের জন্য বেনিয়া ব্রিটিশদের সাথে হাত মিলিয়েছিলো মীর জাফর সেই সিংহাসনের স্থায়ীত্ব হলো মাত্র চার বছর। এরপর তাকে জোর করে ক্ষ বাকি অংশ পড়ুন...
আইয়ুবীয় সালতানাতের সময়:
আল-মুফাদ্দালের মতে সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল মসজিদের একটি মিনার।
আইয়ুবীয় সুলতানরা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়ত মতাদর্শের উপর পৃষ্ঠপোষকতা করতেন এবং তারা কায়রোজুড়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়ত মতাদর্শের মাদরাসা স্থাপন করেছেন।
একটি মতানুযায়ী একজন শিক্ষক (সম্ভবত আবদুল লতিফ আল-বাগদাদি) মসজিদে আইন ও চিকিৎসাসহ বেশ কিছু বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করতেন। সালাহউদ্দিন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে মত রয়েছে যে তিনি আল-বাগদাদিকে ৩০ দিনার বেতন হিসেবে প্রদান করত বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মহাসম্মানিত আনুষ্ঠানিক সূচনাপর্ব থেকেই জাকজমকের সাথে পালিত হয়ে আসছে। যার দলীল ইতিহাসের বাকে বাকে বিদ্যমান। প্রবন্ধটির মাধ্যমে আমরা সেই স্বর্ণালী ইতিহাসই জানবো-
* আল্লামা হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন- পবিত্র মদীনা শরীফবাসী উনারা পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ খুবই আগ্রহ, উৎসাহ ও আনন্দের সহিত এ দিবস মুবারক উদযাপন করতেন। (মাওরিদ আর রাওয়ী ফি মাওলিদ আন নাবী, পৃষ্ঠা-২৯)
* হযরত ইবনে যাওজী রহমতুল্লাহি বাকি অংশ পড়ুন...
৬৪২ খ্রিস্টাব্দে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক খিলাফতকালে সাইয়্যিদুনা হযরত আমর বিন আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সেনাপতিত্বে আরব মুসলমানরা মিশর বিজয় করেন। মিসরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত নীলনদের প্রতি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক নির্দেশ এই সময়ই অনুষ্ঠিত হয়। যার কারণে তখন থেকেই কাফিরদের কু-প্রথা নীলনদে বলিদানের মত কুফরী রেওয়াজ রহিত হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল রোব মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ।
সেই সময় থেকেই মিশর একটি আরব বাকি অংশ পড়ুন...
আব্দুল আযীয ইবনে মারওয়ানের নেতৃত্বে মসজিদ পুনঃনির্মাণ ও সম্প্রসারণ:
৬৯৬-৯৭ খৃ: আব্দুল আযীয ইবনে মারওয়ান, আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নির্মিত এই মসজিদের পুনঃনির্মাণ ও সম্প্রসারণ করেন। (অধিকাংশ আরবী ঐতিহাসিকগণের মতে আব্দুল-আযীয ইবনে মারওয়ান পুনঃনির্মাণ ও সম্প্রসারণ এই তারিখে কার্যকরী হয়) এই মসজিদের সম্মুখে ‘রাহাব’ নির্মাণ করেছিলেন আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনার সম্প্রসারণের ফলে তা এখন মসজিদের অভ্যন্তরীণ অংশে পরিণত হয়। মসজিদের সম্প্রসারণ পশ্চিম দিকেও (অর্থাৎ দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে) হয়েছিলো, তব বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার অগণিত ঘোষণার আলোকে হযরত ছাহবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা প্রত্যেকে আলাদাভাবে, পারিবারিকভাবে কিংবা জামাতবদ্ধ হয়ে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করতেন। যার অসংখ্য অগণিত দলীল মওজুদ রয়েছে।
এ অবস্থায় রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইশকে উজ্জীবিত হয়ে ছয়শ চার হিজরী অর্থাৎ ১২০৭ ঈসায়ীতে ইরাকের মুসুল শহরের আরবাল নামক স্থানের তৎকালীন পরহেযগার, মুত্তাক্বী, আল্লাহওয়ালা বাদশাহ মালিক মুজাফফার আবু সাঈদ বিন জয়নুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাই বাকি অংশ পড়ুন...












