প্রায় সমস্ত সীরাত বা জীবনী গ্রন্থসমূহ পাঠে দেখা যায় যে, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের অতঃপর হযরত আশারায়ে মুবাশ্শারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের তারপর অন্যান্য হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের এবং সর্বশেষ হযরত মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের সাওয়ানেহ উমরী মুবারক উল্লেখ করা হয়। আর উনাদের সাথে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্না বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার গৌরবজ্জল স্বর্ণালী ইতিহাসে বিশিষ্ট মহিলা ছাহাবী হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা। তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণ, সাহসী এবং অবিচল ছিলেন।
ছহীহ মুসলিম শরীফ থেকে সিয়ারুছ ছাহাবীয়ায় উল্লেখ রয়েছে, হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা উনার আহাল পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার পূর্বের কথা। তিনি একটি বৃক্ষের পূজা করতেন। হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা তিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার পর আহালকে নানাভাবে বুঝাতে থাকেন যে, মাটির বুক চিরে যে গাছের জন্ম হয়, তা কিভাবে খোদা হতে পারে?
হয বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
কিছু বাতিল ফিরকা বের হয়েছে তারা প্রচার করে বেড়াচ্ছে, যেহেতু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, আমাকে তোমরা যেভাবে নামায পড়তে দেখেছো সেভাবে নামায আদায় করো। তাছাড়া বাজারে বদ আক্বীদা ও বাতিল ফিরক্বার কিছু বইপত্র বের হয়েছে যাতে লিখা হয়েছে, ‘পুরুষ ও মহিলার নামায আদায়ের পদ্ধতি একই রকম। কোনরূপ প্রভেদ বা পার্থক্য নেই। ’ এ বিষয়ে সঠিক ফায়ছালা কি হবে?
জাওয়াব:
বাতিল ফিরকার উক্ত বক্তব্য এবং লেখা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ তথা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ইমাম ও ফক্বীহ্গণের মত ও পথের স বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বনূ কুরাইজা উনার জিহাদ মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِيْنَ آمَنُوا الْيَهُوْدَ وَالَّذِيْنَ أَشْرَكُوْا
অর্থ: (আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি অবশ্যই ঈমানদারদের জন্য মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবেন ইহুদী ও মুশরিকদেরকে। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮২)
অর্থাৎ খাছভাবে সমস্ত ইহুদী এবং মুশরিকরা মুসলমানদের সবচাইতে বড় শত্রু আর আমভাবে সকল কাফির, মুশরিক, বিধর্মীরাই মুসলমানদের শত্রু। কাজেই সম্মানিত দ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার ৯ মাস ৮ দিন পর অর্থাৎ ৮ম হিজরী শরীফ উনার ২রা যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল জুমু‘য়াহ্ শরীফ অর্থাৎ জুমুয়াবার রাতে সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! দুনিয় বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
أَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍ
অর্থ: তোমরা কি কিতাব উনার কিছু অংশ মানবে, আর কিছু অস্বীকার করবে? (পবিত্র সূরা বাক্বারা : আায়াত শরীফ-৮৫)
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
اُدْخُلُوْا فِى السِّلْمِ كَافَّةً
অর্থ: তোমরা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করো।
(পবিত্র সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ-২০৮)
উপরোক্ত মহাসম্মানিত আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঈমানদারদেরকে মাথার তালু থেকে পা বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল :
ডা. জাকির নায়েক এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছে যে, কুরআনে এমন কোন দলীল নেই যা মহিলাদের মসজিদে যেতে নিষেধ করে। এমনকি কোন হাদীছও এমন নেই যেখানে বলা হয়েছে যে, মহিলারা মসজিদে যেতে পারবে না। বরং এর বিপরীতে অনেক হাদীছ আছে। সহীহ বুখারী শরীফ-এ আছে যখন তোমার স্ত্রী মসজিদে যাওয়ার অনুমতি চায় তখন তাদের নিষেধ করো না। (হাদীছ নং ৮৩২)
এমনকি সহীহ বুখারীতে আছে, যদি তোমার স্ত্রী রাতের বেলায়ও মসজিদে যেতে চায় তাহলে তাকে অনুমতি দাও। হাদীছ নং ৮২৪। মুসলিম শরীফ-এ আরও আছে, হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। মহিলাদের জন্য মসজিদ বাকি অংশ পড়ুন...
কুরাঈশ কাফিরদের অত্যাচার যখন চরমে, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে আবিসিনিয়ায় হিজরত মুবারক করার অনুমতি প্রদান করেন।
১১ জন পুুরুষ ও ৪ জন মহিলা- এই ১৫ জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের একটি কাফেলা আবিসিনিয়ায় প্রথম গমন করেন। এটা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রথম হিজরত। জেদ্দা থেকে মাথা পিছু তখনকার ৮ আনা ভাড়ায় নৌকা যোগে উনারা আবিসিনিয়ায় পৌঁছেন।
উক্ত দলে বিনতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ বাকি অংশ পড়ুন...












