(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিও ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ رَبَّـهُم بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِىِّ يُرِيْدُوْنَ وَجْهَهٗ ۖ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيْدُ زِيْنَةَ الْـحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ
অর্থ : ওই সমস্ত লোকদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো, যারা সকাল-সন্ধ্যা তথা দায়িমীভাবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য যিকির-ফিকির করে থাকেন। দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে বা দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত হয়ে উনাদের থেকে তোমাদের দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না। (সূরা কাহফ শরীফ : আয়াত শরীফ ২৮)
এ আয়াত শরীফ উ বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক ব্যতীত কোনো কথা মুবারক বলেননি, কোনো কাজ মুবারক করেননি বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক ব্যতীত কোনো কথা মুবারক বলেননি, কোনো কাজ মুবারক করেননি বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা হাক্বীক্বত গোপন রেখেই মুরীদের আত্মার চিকিৎসা করে নানাভাবে তা’লীম-তরবিয়ত দান করেন। আর সেক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাবতীয় নিয়ামত লাভের উপযোগী করে নিয়ামত দানে পুঞ্জিভূত করে থাকেন।
সুতরাং, কামিল শায়েখ বা উলিল আমরগণ যে বিষয়ে আদেশ-নিষেধ করুন না কেন তা সঠিকভাবে পালন করাই হচ্ছে পূর্ণ আনুগত্যতার বহিঃপ্রকাশ। কেননা আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবা বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
‘শাজরা’ ও ‘সিলসিলা’ দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বত উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হযরত কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মুরাদুল মুরীদীন’ কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বিবলা উন বাকি অংশ পড়ুন...
যে যত বেশী মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিসবত মুবারক হাছিল করবে সে তত বেশী কামিয়াবী হাছিল করবে। আর সেই নিসবত-তা‘য়াল্লুক্ব হাছিল করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছেন- কামিল শায়েখ। এ বিষয়টি ভালোভাবে উপলব্ধি করার লক্ষ্যে প্রাসঙ্গিক একখানা ওয়াক্বেয়াহ মুবারক উনার অবতারণা- হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে চিনেন না, এমন কোন আলিম পৃথিবীর বুকে নেই। উনারই জীবনী মুবারক-এ ঘটে যায় বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
তখন এক পর্যায়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নির্দেশ মুবারক দিলেন, “হে হযরত আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি হিন্দুস্থানে যান। সেটাই হবে আপনার হিদায়েতের ক্ষেত্র। কিন্তু প্রাণের আক্বা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওযা শরীফ ছেড়ে আসতে কিছুতেই উনার আশিক মন চাচ্ছিলো না। অবশেষে তিনি আরজু করলেন, “ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি এখান থেকে হিন্দুস্থান গেলে আপনার জুদায়ীর কারণে নির্ বাকি অংশ পড়ুন...
‘শাজরা’ ও ‘সিলসিলা’ দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বত উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হযরত কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মুরাদুল মুরীদীন’ কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার এক মুরীদকে নছীহত করে চিঠি লিখলেন। সেই চিঠি মুবারকে অনেক নছীহত মুবারক করে শেষে লিখেছেন, জেনে রাখো, যতক্ষণ পর্যন্ত দশটি বস্তু নিজের প্রতি ফরয করে না নিবে ততক্ষণ পর্যন্ত কারো পরহেজগারী পূর্ণতা লাভ করবে না।
(১) গীবত হতে স্বীয় জিহ্বাকে রক্ষা করা।
(২) অন্যের প্রতি অন্যায় অসৎ ধারণা করা হতে বিরত থাকা।
(৩) কারো প্রতি তিরস্কার না করা।
(৪) হারাম বস্তু হতে চোখকে হিফাযত করা।
(৫) সত্য কথা বলা।
(৬) নিজের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহসমূহের পরিচয় লাভ করা। যাতে আত্মগরিমা না আসতে পারে।
(৭) বাকি অংশ পড়ুন...
ইলিম কয় প্রকার জানেন?
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছেÑ
اَلْعِلْمُ عِلْمَانِ: عِلْمٌ فِي الْقَلْبِ فَذٰلِكَ الْعِلْمُ النَّافِعُ، وَعِلْمٌ عَلَى اللِّسَانِ فَذٰلِكَ حُجَّةُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى اِبْنِ اٰدَمَ
ইলিম দুই প্রকার- একটা ক্বলবী, একটা জবানী। ক্বলবী ইলিম যেটা উপকারী ইলিম। আর একটা জবানী ইলিম যেটা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে মানুষের নিকট দলীল। অর্থাৎ ইলমে ফিকাহ, ইলমে তাছাওউফ। তাছাওউফের মূল বিষয় হলো তাক্বওয়া ।
এজন্যে হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ‘মিশকাত শরীফ’ উনার শরাহ ‘মিরকাত শরীফ’ কিতাবের মধ্যে উল্লেখ করেছেন যে, হযরত ইমাম মালিক রহমতু বাকি অংশ পড়ুন...
আল্লামা দিয়ার বাকরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
وَلَمْ يَقِعْ ظِلُّهٗ عَلَى الْاَرْضِ وَلَا رُؤِىَ لَهٗ ظِلٌّ فِىْ شَمْسٍ وَلَا قَمَرٍ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক যমীনে পড়তেন না এবং সূর্য ও চন্দ্রের আলোতে উনার ছায়া মুবারক দেখা যেতেন না।” সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল খমীস ১/২১৯)
আল্লামা বুরহানুদ্দীন হালাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
اِنَّهٗ اِذَا مَشٰى فِى الشَّمْسِ اَوْ فِى الْقَمَرِ لَا يَكُوْنُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ظِلٌّ لِاَنَّهٗ كَانَ نُوْرًا
অর্থ: “তিনি যখন সূর্য অথবা চন্দ্রের আলোতে হাঁটতেন, তখন উনার কোনো ছ বাকি অংশ পড়ুন...












