হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা হাক্বীক্বত গোপন রেখেই মুরীদের আত্মার চিকিৎসা করে নানাভাবে তা’লীম-তরবিয়ত দান করেন। আর সেক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাবতীয় নিয়ামত লাভের উপযোগী করে নিয়ামত দানে পুঞ্জিভূত করে থাকেন।
সুতরাং, কামিল শায়েখ বা উলিল আমরগণ যে বিষয়ে আদেশ-নিষেধ করুন না কেন তা সঠিকভাবে পালন করাই হচ্ছে পূর্ণ আনুগত্যতার বহিঃপ্রকাশ। কেননা আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবা বাকি অংশ পড়ুন...
বলা হয়; গাউসুল আ’যম, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কারামত মুবারক এতবেশী ছিলো, যা লিখা ও বর্ণনার বাইরে। যার মধ্যে মিথ্যা ও বানোয়াঁটির লেশ মাত্র নেই। কেননা উনার পুরো অস্তিত্বটাই ছিলো কারামতের সাথে সম্পৃক্ত। উনার কারামত মুবারক সম্পর্কে এ ধরণের বর্ণনা আছে যে, তিনি বিলাদত শরীফের পর পবিত্র রমাদ্বান শরীফে দিনের বেলায় উনার আম্মাজান উনার দুধ মুবারক পান করতেন না। যার দরুণ মানুষের নিকট এই বিস্ময়কর ঘটনা এরকম মশহুর হয়ে গেছে যে, ওমুক সম্ভ্রান্ত পরিবারে এমন এক ভাগ্যবান শিশু জন্ম গ্রহণ করেছেন, যিনি নাকি পবিত্র রমাদ্বান শরীফে দি বাকি অংশ পড়ুন...
ছদকা বালা-মুছীবত দূর করে:
দেখা যায়, যারা দান-ছদকা করে না তারা সবসময় বিভিন্ন রকম বিপদ-আপদে পর্যুদস্ত থাকে। তাদের অর্থ-সম্পদ, আয়-রোজগারে কোনো বরকত থাকে না। যারা পরকালের জন্য মাল-সম্পদ খরচ না করে জমা করে রাখে তাদের সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكُوْنُ كَنْزُ أَحَدِكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَفْرَعَ يَفِرُّ مِنْهُ صَاحِبُهُ وَهُوَ يَطْلُبُه حَتَّى يُلْقِمَهُ أَصَابِعَة. (رواه أحمد)
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হ বাকি অংশ পড়ুন...
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
(১)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা সবাই আল্লাহওয়ালা বা ওলীআল্লাহ হয়ে যাও। ” এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা সাবেত হয় যে, প্রতিটি জিন-ইনসানেরই ওলীআল্লাহ হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। তবে তার জন্য প্রয়োজন একজন বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৫৮. প্রসঙ্গ : এক মুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয, গোঁফ ছোট করে রাখা সুন্নত, মু-ন করা বিদয়াত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : দাড়ি রাখা জরুরী নয় বরং সুন্নত। দূর থেকে বুঝা যায়, এতটুকু পরিমাণ দাড়ি রাখলেই চলে। একমুষ্টি পরিমাণ রাখা শর্ত নয়। আর গোঁফ মু-ন করাই সুন্নত।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : দাড়ি কমপক্ষে একমুষ্টি পরিমাণ লম্বা করা ফরয-ওয়াজিব। অর্থাৎ একমুষ্টি হওয়ার পূর্বে দাড়ি কাটা বা ছাঁটা হারাম। চার মাযহাবের ইমামগণ উনারা এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। আর গোঁফ মু-ন করা ফতওয়াগ্রাহ্য মতে মাকরূহ্ তাহরীমী ও বিদ্য়াত। গোঁফ কাঁচি বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَكُونُوا۟ مَعَ ٱلصَّـٰدِقِينَ
অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। আর ছদিক্বীন তথা ওলীআল্লাহ উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৯)
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “সময়কে আমি পর্যায়ক্রমে মানুষের মাঝে পরিবর্তন করি। ” সময় বহতা নদীর মতো। সাধারণ মানুষ সময় দ্বারা প্রভাবিত হয়।
সময়ের প্রবাহে পুষ্ট অধিকাংশের বিশ্বাস এরূপ যে, ‘চলমান পরিস্থিতিতে প্রচলিত অনৈসলামিক আচারও অনৈসলামিক থাকে না। তাদের ধারণা- খেলাধুলা, গান-বাজনা, সুদ, ঘুষ, টিভি, সিনেমা, বেপর্দা, বেহায়া এগুলো বর্তমান সময়ের দাবি। যা সময়ের প্রেক্ষিতে জায়িয ও সহনীয়। ’ নাউযুবিল্লাহ!
আওয়ামুন নাসের ভিতরে এসব বিশ্বাস শক্ত করে এঁটে বসার কারণে তাদের সে অনুভূতির বিপরীতে চালিত হত বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত নিযামউদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি; যিনি চিশতীয়া তরীক্বা উনার একজন প্রধান ওলীআল্লাহ। দিল্লীতে উনার খানকা শরীফ। ইতিহাসে লেখা রয়েছে, খানকা শরীফ ও লঙ্গরখানার খরচ বহনের জন্য তিনি উনার খাদিমকে নির্দেশ মুবারক দিয়ে রেখেছিলেন, যদি কখনো অর্থের দরকার হয় অমুক তাকের মধ্যে হাত দিবে। প্রয়োজনীয় অর্থ সেখানেই কুদরতীভাবে পাবে।
শুধু হযরত নিযামউদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নন, বরং গোটা ইতিহাসেই ওলীআল্লাহগণ উনাদের অঢেল অর্থ খরচের ইতিহাস পাওয়া যায়। চিশতীয়া তরীক্বা উনার অন্যতম আরো একজন ওলীআল্লাহ হলেন হযরত আলাউল হক রহমতুল বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
বাতিল আক্বীদা ও ফিরক্বার লোকদের বক্তব্য হচ্ছে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার তারিখ নিয়ে মতভেদ; তাই মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় পালন করা ঠিক নয়। আর ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ বিলাদত শরীফ উনার দিন এটা সবচেয়ে দুর্বল মত। ” এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের ফায়সালা কি?
জাওয়াব: (২য় অংশ)
হযরত ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের বর্ণনা মতে, কোন মুসলমান নামধারী আলিম ও জাহিল নামধারী ব্যক্তির প্রতি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার রহমত উনার বাকি অংশ পড়ুন...
বেয়াদবের পরিণতি ও তার আলামত
পবিত্র তরিক্বত উনার মধ্যে বেয়াদবের কোনো ঠাঁই বা স্থান নেই। এ কথাটিকে ফার্সীতে হযরত মাওলানা রূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন এভাবে-
از خدا جویم توفیق ادب+ بے ادب محروم گشت از لطف رب.
অর্থ : আমি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পবিত্র আদব তলব করছি, কারণ বেয়াদব খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত (করুণা) থেকে বঞ্চিত। (মসনবী শরীফ)
পবিত্র ইলমে তাছাওউফ উনার কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, কোনো ব্যক্তি হোক সে আলিম অথবা জাহিল, খোদা না করুন সে যদি কোনো ওলীআল্লাহ উনার সাথে বেয়াদবি করে তবে তার প্রতি খালিক্ব মালিক রব ম বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলার যমীনে গরু যবেহকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের আগমন ও জিহাদ
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
১. ১৮০০ সালের প্রথম দিকে ঢাকার ফরিদপুর জেলায় হাজী শরীয়তুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নেতৃত্বে ফরায়েজী আন্দোলন নামে এক প্রতিবাদ; সম্মানিত ইসলামী আইন বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা শুরু হয়। সে আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিলো তৎকালীন হিন্দু জমিদারদের চাপিয়ে দেয়া কুফরী আইন: গরু যবেহের প্রতি নিষেধাজ্ঞা বন্ধের দাবি। আর উনার বিছাল শরীফের পর উনার আওলাদ দুদু মিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এই আন্দোলনটি ১৮৬২ সাল পর্যন্ত পরিচালনা করেন। এবং এরই মাধ্যমে গরু যব বাকি অংশ পড়ুন...
ছোহবত ইখতিয়ার প্রসঙ্গে নির্দেশ মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُم بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ ۖ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ وَلَا تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَن ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطًا
অর্থ: “ওই সমস্ত লোকদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো, ফরয করে নাও, যারা সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য যিকির-ফিকির করে থাকেন। দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে বা দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত হয়ে উনাদের থেকে তোমাদে বাকি অংশ পড়ুন...












