পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে গরুর গোস্ত শি‘আরুল ইসলাম (১৮)
, ১৮ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৪ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৩ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ৩০ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
বাংলার যমীনে গরু যবেহকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের আগমন ও জিহাদ
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
১. ১৮০০ সালের প্রথম দিকে ঢাকার ফরিদপুর জেলায় হাজী শরীয়তুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নেতৃত্বে ফরায়েজী আন্দোলন নামে এক প্রতিবাদ; সম্মানিত ইসলামী আইন বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা শুরু হয়। সে আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিলো তৎকালীন হিন্দু জমিদারদের চাপিয়ে দেয়া কুফরী আইন: গরু যবেহের প্রতি নিষেধাজ্ঞা বন্ধের দাবি। আর উনার বিছাল শরীফের পর উনার আওলাদ দুদু মিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এই আন্দোলনটি ১৮৬২ সাল পর্যন্ত পরিচালনা করেন। এবং এরই মাধ্যমে গরু যবেহ মুসলমানগণ বিনা বাঁধায় করতে পারেন।
২. সাইয়্যিদ মীর নিসার আলী তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হিন্দু জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার না পাওয়ায় ১৮৩১ সালের ৬ই অক্টোবর শেখ মাসুম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নেতৃত্বে সাইয়্যিদ মীর নিসার আলী তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রায় তিনশত মুরিদ নিয়ে কৃষ্ণদেব রায়ের বাড়ি আক্রমণ করেন। খবর শুনে কৃষ্ণদেব বাড়ির প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়। বাড়ির ছাদ হতে সাইয়্যিদ মীর নিসার আলী তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাহিনীর উপর অনেক ইট বর্ষণ করায় সাইয়্যিদ মীর নিসার আলী তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাহিনী বেশী সামনে অগ্রসর হতে পারেননি। তবে ফেরার পথে বারোয়ারী তলার মন্দিরের কাছে এসে দুইটি গরু যবেহ করেন এবং গরুর রক্ত মন্দিরে নিক্ষেপ করেন। এই ঘটনার জের ধরে অনেকগুলো যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং পরবর্তীতে চব্বিশ পরগণা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে সম্মানিত দ্বীন ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়িম হয়। সুবহানাল্লাহ!
সর্বোপরি উপমহাদেশে হিন্দু এবং মুসলিম দুটি আলাদা আলাদা রাষ্ট্র হওয়ার পিছনেও গরু যবেহ একটি অন্যতম কারণ। ৪৭ সাল ও পরবর্তী পাকিস্তান সময়েও বাংলার কিছু কিছু জায়গায় গরু কুরবানী করতে ভয় পেতো। ১৯৫৭ সালে নাটোরের পর মোমেনশাহী, খুলনা, যশোর এই অঞ্চলে নিয়মিত গরু কুরবানী দেওয়া শুরু হয়।
উপরোল্লিখিত উপমহাদেশ ও বাংলার ইতিহাস থেকে সুস্পষ্টভাবেই উপলব্ধি করা যায় যে, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে গরু যবেহকে কেন্দ্র করে অনেক জিহাদ হয়েছে, অনেক হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম, সূফী মুসলমান, ওলীআল্লাহগণ শহীদ হয়েছেন। এবং এর মাধ্যম দিয়েই এই উপমহাদেশসহ বাংলার যমীনে গরু যবেহকে কেন্দ্র করে সম্মানিত ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছেন।
কাজেই, উপমহাদেশ, বাংলাসহ সকল মুসলমানদের অস্তিত্ব হচ্ছে গরু যবেহ করা এবং গরুর গোস্ত খাওয়া।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












