যাকাত হিসেবে কতটুকু আদায় করবেন :
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ حَضَرَتْ عَلِىّ عَلَيْهِ السَّلَامَ عَنِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَعْضِ اَوَّلِ هٰذَا الْـحَدِيثِ قَالَ فَاِذَا كَانَتْ لَكَ مِائَتَا دِرْهَمٍ وَحَالَ عَلَيْهَا الْـحَوْلُ فَفِيْهَا خَـمْسَةُ دَرَاهِمَ وَلَيْسَ عَلَيْكَ شَىْءٌ يَعْنِى فِى الذَّهَبِ حَتّٰى يَكُوْنَ لَكَ عِشْرُوْنَ دِيْنَارًا فَاِذَا كَانَ لَكَ عِشْرُوْنَ دِيْنَارًا وَحَالَ عَلَيْهَا الْـحَوْلُ فَفِيْهَا نِصْفُ دِيْنَارٍ فَمَا زَادَ فَبِحِسَابِ ذٰلِكَ.
অর্থ : হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায
পবিত্র জুমু‘আহর দিন ৪ রাকাত পবিত্র বা’দাল জুমুআহ্ নামায আদায় করার পর ২ রাকাত সুন্নাত নামায আদায় করতে হয়। যাকে সুন্নাতুল ওয়াক্ত বা ওয়াক্তিয়া সুন্নাত নামায বলা হয়। এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ السُّلَمِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ عَلَّمَنَا حَضْرَتْ اِبْنُ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنْ نُّصَلِّىَ بَعْدَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْنَا سَيِّدُنَا حَضْرَتْ عَلِىُّ بْنُ اَبِىْ طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَّمَنَا اَنْ نُّصَلِّىَ سِتًّا
অর্থ: “বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত বাকি অংশ পড়ুন...
যেটা ছহীহ সনদেই বর্ণিত রয়েছে-
وَرُوِىَ عَنْ حضرت عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّى قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا وَبَعْدَهَا أَرْبَعًا
অর্থ: “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি পবিত্র জুমুয়ার নামাযের পূর্বে এবং পরে চার রাকায়াত নামায পড়তেন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মুছান্নাফে আব্দির রায্যাক ৩/২৪৭; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ্ ১/৪৬৩ এবং ২/১৩১, শরহুস সুন্নাহ ৩/৪৫০, উমদাতুল ক্বারী ১১/৪০৯, তুহফাতুল আহওয়াজী ২/৬২, শরহু আবী দাঊদ লিল আইনী ৪/৪৭১, আওনুল মা’বূদ ৩/৪৭৭, মুখতাছারুল আহকাম ৩/৪৩ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা হাক্বীক্বত গোপন রেখেই মুরীদের আত্মার চিকিৎসা করে নানাভাবে তা’লীম-তরবিয়ত দান করেন। আর সেক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাবতীয় নিয়ামত লাভের উপযোগী করে নিয়ামত দানে পুঞ্জিভূত করে থাকেন।
সুতরাং, কামিল শায়েখ বা উলিল আমরগণ যে বিষয়ে আদেশ-নিষেধ করুন না কেন তা সঠিকভাবে পালন করাই হচ্ছে পূর্ণ আনুগত্যতার বহিঃপ্রকাশ। কেননা আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবা বাকি অংশ পড়ুন...
যাকাত শব্দের অর্থ :
যাকাত শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ : زَكٰوةٌ ‘যাকাত’ শব্দের একটি আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বরকত বা বৃদ্ধি। যেহেতু যাকাত আদায়ের ফলে যাকাতদাতার মাল বাস্তবে কমে না; বরং বৃদ্ধি পায়, বরকত হয়। আর ‘যাকাত’ শব্দের অন্য আরেকটি আভিধানিক অর্থ হলো পবিত্রতা বা পরিশুদ্ধি। যেহেতু যাকাত আদায়ের ফলে সম্পদ হারাম হওয়া থেকে পবিত্র হয় এবং জিসমানী ও রূহানী মুহলিকাত বা কলুষতা হতে পবিত্রতা লাভ হয়।
সম্মানিত শরীয়ত উনার পরিভাষায় হাওয়ায়িজে আছলিয়াহ (الْاَصْلِيَةُ اَلْـحَوَائِجُ) বা মৌলিক চাহিদা মিটানোর পর অতিরিক্ত যদি কোন মাল বা অর্থ-সম্পদ নিছাব বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার ১৮ নম্বর আয়াত শরীফ:
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আবার ইরশাদ মুবারক করলেন-
وَيُبَيِّنُ اللهُ لَكُمُ الآيَاتِ وَاللهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ.
অর্থ: আমি সমস্ত হুকুম-আহকাম স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিলাম। যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সব জানেন। ” সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পবিত্রতা মুবারক সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর যারা উনাদের সম্পর্ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম
উনাদের আমল মুবারক
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
শুধু এতটুকুই নয়; হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি অন্যদেরকেও ৪ রাকাত ‘ক্বাবলাল জুমু‘আহ এবং ৪ রাকাত বা’দাল জুমু‘আহ’ নামায পড়ার জন্য আদেশ মুবারকও করতেন।
যেমন বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ أَبِىْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ السُّلَمِىِّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ كَانَ حَضْرَتْ اِبْنُ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ يَأْمُرُنَا أَنْ نُّصَلِّىَ قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا وَبَعْدَهَا أَرْبَعًا
অর্থ: “বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত আবূ আব্দুর রহমান আস সুলামী রহমতুল্লাহি আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
ছারছিনা থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক পত্রিকা ৬০ বর্ষ ১লা সংখ্যা ১৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে, হযরত আদম আলাইহিস সালাম এবং হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার নিষেধাজ্ঞা না মেনে নাফরমান হয়ে বেহেশত থেকে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম এবং উনার সম্মানিতা আহলিয়া হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদের শান মুবারকে বেয়াদবীমূলক উক্ত বক্তব্যের শরঈ ফায়ছালা জানতে ইচ্ছুক।
জাওয়াব: (৬ষ্ঠ অংশ)
প্রকৃতপক্ষে উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ছহী বাকি অংশ পড়ুন...












