ঢেলা-কুলুখ ও পানি ব্যবহারের নিয়ম:
বড় ইস্তিন্জা (পায়খানা) করা শেষ হলে পাথর, অথবা মাটির ঢেলা অথবা কপড়ের টুকরা অথবা টিস্যু হাতে নিয়ে اُسْكُتْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ (উস্কুত্ আন্ যিক্রিল্লাহ্্=) বলে শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে তিনটি টোকা দিয়ে প্রথম ঢিলা, সামন থেকে মুছে পিছনে নিবে। দ্বিতীয় ঢিলা পিছন থেকে মুছে সামনে আনবে। তৃতীয় ঢিলা সামন থেকে মুছে পিছনে নিবে। (এখানে সহজটাই বলা হলো) বেজোড় সংখ্যক ৩/৫/৭ ঢেলা ব্যবহার করবে। ঢেলা ব্যবহার শেষ হলে তিনবার হাত ধৌত করবে, সন্দেহ দূর করার জন্য। এরপর ছোট ইস্তিন্জার পুরুষলিঙ্গের মাথায় কুলুখ ধরে ইস্তিব্রা করবে। ইস্তিব বাকি অংশ পড়ুন...
আর ইস্তিব্রা কিভাবে করতে হবে সে সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- যেমন “যখীরা” কিতাবের ১ম খ-ের ২১১ র্পষ্ঠায় উল্লেখ আছে,
رَوَى ابْنُ الْمُنْذِرِ مُسْنَدًا: إنَّهٗ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ - قَالَ: إذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثًا وَيَجْعَلُهٗ بَيْنَ أُصْبُوْعَيْهِ السَّبَّابَةِ وَالْإِبْهَامِ فَيُمِرُّهُمَا مِنْ أَصْلِهِ إلَى كَمَرَتِهِ
অর্থ: “হযরত ইবনে মুনযির রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি সনদসহ হাদীছ শরীফ বর্ণনা করে বলেন, নিশ্চয়ই মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ বাকি অংশ পড়ুন...
ইস্তিব্রা করা আমভাবে ওয়াজিব:
উল্লেখ্য যে, ইস্তিব্রা করা আমভাবে ওয়াজিব। আর খাছভাবে এই ইস্তিব্রা করা কারো জন্য ফরয, কারো জন্য ওয়াজিব এবং কারো জন্য সুন্নত মুয়াক্কাদাহ্। যা অবশ্যই করতে হবে।
“শরহে মুখতাছার খলীল” কিতাবের ১ম খন্ডে ১৪৭ পৃষ্টায় উল্লেখ আছে-
إنَّمَا وَجَبَ الِاسْتِبْرَاءُ اتِّفَاقًا؛
অর্থ:“সকল উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ঐক্যমতে ইস্তিব্রা করা ওয়াজিব”।
“শরহে মুসলিম শরীফ” কিতাবে উল্লেখ আছে,
نجاسة البول ووجوب الاستبراء منه
অর্থ: “ইমাম নববী রহমাতুল্লাহ্ আলাইহি তিনি বলেন, ইস্তিন্জা নাপাক (প্রস্রাব নাপাক) এবং ইস্তিন্জা বাকি অংশ পড়ুন...
اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) এর পরিচয় ও আহ্কাম:
ইস্তিব্রা কাকে বলে:
اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) শব্দটি بَرَأَ(বারায়া) শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ হলো পবিত্র করতে চাওয়া। এই اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) দু’ভাগে বিভক্ত। যথা: (১) যে اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) এর মাধ্যমে রেহেম শরীফকে (জরায়ুকে) অন্যের সন্তান হতে হায়েযের দ্বারা (মাসিক মাজুরতার দ্বারা) পবিত্রতার নিশ্চয়তা সম্পর্কে অবগত হওয়া। (২) যে اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) এর মাধ্যমে ছোট ইস্তিন্জার রাস্তা (প্রস্রাবের রাস্তা) পবিত্র করতে চাওয়া।
এখানে اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) বলতে ছোট ইস্তিন্জা (প্রস বাকি অংশ পড়ুন...
ইস্তিন্জা থেকে পবিত্রতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ:
ইস্তিন্জার কারণে ক্ববরের আযাব:
বিশেষ করে ছোট ইস্তিন্জা (প্রস্রাব) থেকে পবিত্রতার বিষয়ে হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে অত্যাধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যেমন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اِسْتَنْزِهُوْا عَنِ الْبَوْلِ فَإِنَّ عَامَّةَ عَذَابِ الْقَبْرِ مِنْهُ.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরাইরাহ্্ রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ্্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ত্বাহারাত হাছিলকারীকে মুহব্বত করেন:
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে মুহব্বত করেন, যাঁরা ত্বাহারাত বা পবিত্রতা হাছিল করতে পছন্দ করেন- যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فِيْهِ رِجَالٌ يُّحِبُّوْنَ أَنْ يَّتَطَهَّرُوْا وَاللّٰهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِيْنَ
অর্থ: “সেখানে (মসজিদে কুবা শরীফে) এমন অনেক লোক আছেন, যাঁরা ত্বাহারাত বা পবিত্রতা হাছিল করতে পছন্দ করেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ত্বাহারাত বা পবিত্রতা হাছিলকারীদেরকে মুহব্বত করেন”। (পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ,পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৮)
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হলে মহাসম বাকি অংশ পড়ুন...












