বদরের জিহাদে:
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে। যখন হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম তিনি বদরের জিহাদে বন্দী হলেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “হে হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম! আপনি আপনার নিজের, আপনার ভ্রাতুষ্পুত্র আকিল ও নওফল এবং আপনার বন্ধু-গোত্রের উতবার মুক্তিপণ আদায় করুন, কারণ আপনি বিত্তশীল লোক। ” হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম বললেন, “আয় মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি অন্তরে মুসলমান ছিলাম, কিন্তু লোকেরা আমাকে যুদ্ধে নামতে বাকি অংশ পড়ুন...
জিহাদে অংশগ্রহণ:
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সর্বপ্রথম খন্দকের জিহাদে অংশ গ্রহণ করেন। খন্দকের জিহাদের পরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সকল জিহাদেই তিনি অংশগ্রহণ করেছেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত আমলে বায়তুল মুকাদ্দাস শরীফ ও জাবিয়া বিজয়ে তিনি অন্যতম অংশীদার ছিলেন। তিনি নিহাওয়ান্দ বিজয়েও অংশগ্রহণ করেছিলেন। (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)
ইমামুল আউওয়াল, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার খিল বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
فَاِنْ اٰمَنُوْا بِـمِثْلِ مَا اٰمَنْتُمْ بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوْا.
অর্থাৎ আপনারা অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেরূপ ঈমান মুবারক এনেছেন তদ্রƒপ যদি তারা (অন্য লোকেরা) ঈমান মুবারক গ্রহণ করতে পারে তাহলে তারা হিদায়েত মুবারক লাভ করতে পারবে। (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ : আয়াত শরীফ ১৩৭)
এ লিখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনা বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত ক্বওল শরীফ-
قَالَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ عُثْمَانُ ذُو النُّوْرَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا عَلـٰى قِرَاءَةِ مَوْلِدِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَّـمَا شَهِدَ غَزْوَةَ بَدْرٍ وَّحُنَيْن.
অর্থ: খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যিনি মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাহফিল উপলক্ষে অর্থাৎ মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল উপলক্ষে এক দিরহাম ব্য বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার প্রকৃত নাম মুবারক হযরত আবদুল্লাহ আলাইহিস সালাম, উপনাম মুবারক হ বাকি অংশ পড়ুন...
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসিম বা নাম মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম’। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুনিয়াত মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ বকর আলাইহিস সালাম’। তিনি সকলের মাঝে ‘সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম’ হিসেবে সম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন। তিনি হচ্ছেন- আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া ছিদ্দীক্বে আকবর সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ বরক ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম ইবনে আবী কুহাফা উছমান ইবনে আমির ইবনে আমর ইবনে কা’ব ইবনে সা’দ ইবনে তাইম ইবনে মুররাহ্ আলাইহিমুস সালাম। সুবহ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
বর্তমানে তথাকথিত ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে দেশ-বিদেশের মানুষ কঠিন ভয়াবহ ফিতনার সম্মুখীন হয়েছে। এ ব্যাপারে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সঠিক ফায়ছালা কি? জানিয়ে বাধিত করবেন।
জওয়াব (ধারাবাহিক):
৯. মানুষের খাসি করা হারাম:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عُثْمَان بن مَظْعُون رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِئْذَنْ لَنَا فِى الْاِخْتِصَاءِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ خَصٰى وَلَا اِخْتَصٰى
অর্থ : হযরত উছমান ইবনে মায‘ঊন রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি ব বাকি অংশ পড়ুন...
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আর (আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি তাদেরকে (সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীকে) আইয়্যামুল্লাহ শরীফ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার ব বাকি অংশ পড়ুন...
এখন চিন্তা ফিকির করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক উচ্চারণের মধ্যে এবং লিখার মধ্যে কতটুকু তাকওয়া অর্থাৎ পরহেগারী ও মর্যাদা নিহীত রয়েছে, যেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কাজেই আরও ওয়াকেয়া উল্লেখ করা হয়েছে, এক ব্যক্তি সে দুরূদ শরীফ লিখত না, কেননা কাগজ কম পড়বে। বখীলতার কারণে, কৃপণতার কারণে সে লিখত না। দেখা গেল তার হাতের মধ্যে কুষ্ঠ রোগ হলো। হাতটা নষ্ট হয়ে গেল।
কাজেই মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্ বাকি অংশ পড়ুন...
‘শাজরা’ ও ‘সিলসিলা’ দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বত উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হযরত কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মুরাদুল মুরীদীন’ কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বিবলা উন বাকি অংশ পড়ুন...












