সুওয়াল :
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার শাহাদাতকে কেন্দ্র করে অনেকে জলীলুল ক্বদর ছাহাবী হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ করে থাকে। এ ব্যাপারে সঠিক ফায়ছালা জানতে বাসনা রাখছি।
জাওয়াব:
কোন হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে যেমন কোন ব্যাপারে দোষারোপ করা জায়িয নেই। তদ্রƒপ কোন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকেও কোন ব্যাপারে দোষারোপ করা জায়িয নেই।
এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কিতাব কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ أُخْرٰى
অর্থ: “একজনের পাপ বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান যুগে ইসলামের খিদমতগারের অভাব নেই। অনেকেই আবার মুসলমানদের নেতা সেজে যায়। মিডিয়াতেও খুব নাম ডাক। আমরা অনেক সময় মিডিয়াতে নাম ডাক দেখলেই তাকে ইসলাম ও মুসলমানদের ত্রাণকর্তা ভেবে বসি। মনে করি, এই লোকই বোধ হয় বর্তমান মুসলিম উম্মাহের সংকট নিরসন করবে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া আর মুসলিম উম্মাহের স্বার্থে কাজ করা এক জিনিস না। ভাইরাল হওয়ার জন্য প্রয়োজন ভাইরাল ইস্যুতে টাচ করা। শুধু টাচ করলেই হবে না, বড় কোন জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যায় এমন কোন কথা বলবেন না। প্রয়োজনে তারা যা পছন্দ করে সেগুলো করে দেখাবেন। যেমন, বর্তমান তর বাকি অংশ পড়ুন...
শায়িরু রসূলিল্লাহ, কাতিবে ওহী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম-পুঙ্খানুপুঙ্খ আনুগত্যে কত বেশি তৎপর ছিলেন সে প্রসঙ্গে কিতাবে লিখা হয়- একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মসজিদে নববী শরীফ-এ খুতবা দিচ্ছিলেন। এ সময় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদের দিকেই যাচ্ছিলেন। তিনি যখন মসজিদের রাস্তায় তখন তিনি শুনতে পেলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবু বাকি অংশ পড়ুন...
হিজরী ৬১ সন, পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার ৯ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ দশ তারিখ রাত্রি বেলা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত সফর সঙ্গী উনাদের সবাইকে একত্রিত করলেন এবং বললেন, আমার প্রিয় সাথীরা! আমি আপনাদের সকলের প্রতি আন্তরিকভাবে সন্তুষ্ট। আমি আপনাদেরকে অনুমতি মুবারক দিচ্ছি যে, আজ রাতে আপনারা যে যেদিকে পারেন চলে যান। এসব ইয়াযীদ লা’নতুল্লাহি আলাইহি বাহিনীর লোকেরা আমার পবিত্র রক্ত পিপাসু। এরা একমাত্র আমার পবিত্র রক্তেই পরিতৃপ্ত হবে। আপনারা চলে য বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
ইমামুছ ছালিছ হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার শাহাদাতকে কেন্দ্র করে অনেকে জলীলুল ক্বদর ছাহাবী হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ করে থাকে। এটা কতটুকু শরীয়তসম্মত? দয়া করে জানাবেন।
জাওয়াব: (১ম অংশ)
কোন হযরত নবী-রসূল আলাইহিস্ সালাম উনাকে যেমন কোন ব্যাপারে দোষারোপ করা জায়িয নেই। তদ্রƒপ কোন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকেও কোন ব্যাপারে দোষারোপ করা জায়িয নেই।
এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ أُخْرٰى
অর্থ: একজনের পাপের বোঝা অপরজন বাকি অংশ পড়ুন...
ঈমানদীপ্ত কঠিন অগ্নি পরীক্ষার সম্মুখীন হলেন হযরত আব্দুল্লাহ বিন হুযায়ফা সহমী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু:
দ্বীন ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা, খলীফাতুল মুসলিমীন আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যখন রোম শাসকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে মুসলিম বাহিনী প্রেরণ করেন। সেই বাহিনীতে শামিল ছিলেন হযরত আব্দুল্লাহ বিন হুযায়ফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। এক পর্যায়ে তিনি রোমকদের হাতে বন্দী হলেন। তখন উনাকে নিয়ে যাওয়া হলো রোম শাসকের সম্মুখে। হযরত আব্দুল্লাহ বিন হুযায়ফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার জবান মুবা বাকি অংশ পড়ুন...
ঐতিহাসিক বদরের জিহাদে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পুত্র কাফিরদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন। অবশ্য পরবর্তীতে তিনি মুসলমান হয়ে বিশিষ্ট ছাহাবীর মর্যাদা লাভ করেন। ইসলাম গ্রহণের পর কোন একদিন তিনি কথা প্রসঙ্গে উনার মহামান্য পিতা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিকট বললেন- আব্বাজান! বদরের জিহাদের সময় রনাঙ্গনে আমি কয়েকবার আপনাকে হাতের মুঠোর নাগালে পেয়েও কতল করিনি; যেহেতু আপনি হলেন আমার সম্মানিত পিতা তাই তা থেকে আমি বিরত থেকেছিলাম। অতঃপর হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর রদ্বিয়াল্ বাকি অংশ পড়ুন...












