হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায়ও ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের কিতাবে ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
وَفِي الْبَحْرِ قَالُوا وَأَشَدُّهَا كَرَاهَةً مَا يَكُونُ عَلَى الْقِبْلَةِ أَمَامَ الْمُصَلِّي، ثُمَّ مَا يَكُونُ فَوْقَ رَأْسِهِ ثُمَّ مَا يَكُونُ عَنْ يَمِينِهِ وَيَسَارِهِ عَلَى الْحَائِطِ، ثُمَّ مَا يَكُونُ خَلْفَهُ عَلَى الْحَائِطِ أَوْ السِّتْرِ
অর্থ: আল্ বাহর” কিতাবে উল্লেখ আছে: মুছল্লীর সামনে প্রাণীর ছবি থাকা শক্ত মাকরূহ তাহরীমী। অতঃপর মাথার উপর, অতঃপর ডানে ও বামে দেয়ালের উপর অতঃপর পিছনে দেয়ালের উপর অতঃপর কোন পর্দায় প্রাণীর ছবি থাকা মাকরূহ তাহরীমী হবে।
(রদ্দুল্ মুহতার আলাদ্ দুররিল মুখতার আ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
কিছু বাতিল ফিরকা বের হয়েছে তারা প্রচার করে বেড়াচ্ছে, যেহেতু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, আমাকে তোমরা যেভাবে নামায পড়তে দেখেছো সেভাবে নামায আদায় করো। তাছাড়া বাজারে বদ আক্বীদা ও বাতিল ফিরক্বার কিছু বইপত্র বের হয়েছে যাতে লিখা হয়েছে, ‘পুরুষ ও মহিলার নামায আদায়ের পদ্ধতি একই রকম। কোনরূপ প্রভেদ বা পার্থক্য নেই। ’ এ বিষয়ে সঠিক ফায়ছালা কি হবে?
জাওয়াব:
বাতিল ফিরকার উক্ত বক্তব্য এবং লেখা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ তথা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ইমাম ও ফক্বীহ্গণের মত ও পথের স বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৭৩. প্রসঙ্গ : ধূমপান করা হারাম
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : ধূমপান করা মুবাহ।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : ধূমপানের মাসয়ালাটি মূলতঃ ক্বিয়াসী মাসয়ালা। ইমাম-মুজতাহিদগণ উনারা মূলতঃ কাঁচা পিয়াজ ও কাঁচা রসুন এর সাথে ক্বিয়াস করে ধূমপানের ফায়ছালা দিয়েছেন। হাদীছ শরীফ-এ কাঁচা পিয়াজ ও রসুন খেতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা তাতে দুর্গন্ধ রয়েছে। তাই ফক্বীহগণ উনারা কাঁচা পিয়াজ ও কাঁচা রসুন খাওয়াকে মাকরূহ তানযীহী বলে ফতওয়া দিয়েছেন। ধূমপানের দূর্গন্ধ যেহেতু পিয়াজ-রসুনের চেয়েও বেশী, তাই ফক্বীহগণ ধূমপান করাকে মাকরূহ তাহরীমী বল বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায়ও ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের কিতাবে ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
وَفِي الْبَحْرِ قَالُوا وَأَشَدُّهَا كَرَاهَةً مَا يَكُونُ عَلَى الْقِبْلَةِ أَمَامَ الْمُصَلِّي، ثُمَّ مَا يَكُونُ فَوْقَ رَأْسِهِ ثُمَّ مَا يَكُونُ عَنْ يَمِينِهِ وَيَسَارِهِ عَلَى الْحَائِطِ، ثُمَّ مَا يَكُونُ خَلْفَهُ عَلَى الْحَائِطِ أَوْ السِّتْرِ
অর্থ: আল্ বাহর” কিতাবে উল্লেখ আছে: মুছল্লীর সামনে প্রাণীর ছবি থাকা শক্ত মাকরূহ তাহরীমী। অতঃপর মাথার উপর, অতঃপর ডানে ও বামে দেয়ালের উপর অতঃপর পিছনে দেয়ালের উপর অতঃপর কোন পর্দায় প্রাণীর ছবি থাকা মাকরূহ তাহরীমী হবে।
(রদ্দুল্ মুহতার আলাদ্ দুররিল মুখতার বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “পবিত্র মসজিদে দুনিয়াবী কথা বললে চল্লিশ বছরের ইবাদত তথা নেকী নষ্ট হয়ে যায়।” “পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
মুক্বদ্দিমাহ্:
মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত প্রকার আমল থেকে পবিত্র। তবে তিনি একটি আমল মুবারক করেন, সেটা আবার দায়িমীভাবে। এক মুহূর্তের জন্যও তিনি এই আমল মুবারক থেকে জুদা হননা। হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের জন্যও এই আমল মুবারক আবশ্যক করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৫৮. প্রসঙ্গ : এক মুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয, গোঁফ ছোট করে রাখা সুন্নত, মু-ন করা বিদয়াত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : দাড়ি রাখা জরুরী নয় বরং সুন্নত। দূর থেকে বুঝা যায়, এতটুকু পরিমাণ দাড়ি রাখলেই চলে। একমুষ্টি পরিমাণ রাখা শর্ত নয়। আর গোঁফ মু-ন করাই সুন্নত।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : দাড়ি কমপক্ষে একমুষ্টি পরিমাণ লম্বা করা ফরয-ওয়াজিব। অর্থাৎ একমুষ্টি হওয়ার পূর্বে দাড়ি কাটা বা ছাঁটা হারাম। চার মাযহাবের ইমামগণ উনারা এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। আর গোঁফ মু-ন করা ফতওয়াগ্রাহ্য মতে মাকরূহ্ তাহরীমী ও বিদ্য়াত। গোঁফ কাঁচি বাকি অংশ পড়ুন...
৩৭. الـمستحب (আল্ মুস্তাহাব):
(১০৯)
الـمستحب: اسم لـما شُرع زيادة على الفرائض والواجبات وقيل الـمستحب ما رغّب فيه الشارع ولـم يوجبه.
অর্থ: পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়- যা অবশ্য পালনীয় নয় এবং যা ফরজ ও ওয়াজিব থেকে অতিরিক্ত তাকেই মুস্তাহাব বলা হয়ে থাকে। কতক উলামায়ে কিরাম উনাদের মতে- শরীয়ত প্রণেতা যে বিষয় পালন করতে উৎসাহিত করেছেন এবং যা ফরজ-ওয়াজিব নয় তাকেই মুস্তাহাব বলা হয়ে থাকে। (আল্ মু’জামুল ওয়াসীত্ব: ডক্টর ইব্রাহীম মাদকূর ৬৮৩ পৃষ্ঠা, আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ: মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ৪৮৩ প বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায়ও ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের কিতাবে ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
وَفِي الْبَحْرِ قَالُوا وَأَشَدُّهَا كَرَاهَةً مَا يَكُونُ عَلَى الْقِبْلَةِ أَمَامَ الْمُصَلِّي، ثُمَّ مَا يَكُونُ فَوْقَ رَأْسِهِ ثُمَّ مَا يَكُونُ عَنْ يَمِينِهِ وَيَسَارِهِ عَلَى الْحَائِطِ، ثُمَّ مَا يَكُونُ خَلْفَهُ عَلَى الْحَائِطِ أَوْ السِّتْرِ
অর্থ: আল্ বাহর” কিতাবে উল্লেখ আছে: মুছল্লীর সামনে প্রাণীর ছবি থাকা শক্ত মাকরূহ তাহরীমী। অতঃপর মাথার উপর, অতঃপর ডানে ও বামে দেয়ালের উপর অতঃপর পিছনে দেয়ালের উপর অতঃপর কোন পর্দায় প্রাণীর ছবি থাকা মাকরূহ তাহরীমী হবে।
(রদ্দুল্ মুহতার আলাদ্ দুররিল মুখতার বাকি অংশ পড়ুন...












