কাট্টা কাফির কা’ব বিন আশরাফকে হত্যা করার বিস্তারিত ঘটনা:
কাট্টা কাফির কা’ব বিন আশরাফ ছিলো বনী নাযীর গোত্রের কুখ্যাত এক কবি। সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ কবিতা রচনা করতো। বিশেষ করে সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক উনার পর সে আরো বেশি করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাই বাকি অংশ পড়ুন...
মুনাফিক্ব বিশরকে হত্যা:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُوْنَ حَتّٰى يُحَكِّمُوْكَ فِيْمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوْا فِيْ أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا
অর্থ: “আপনার রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! তারা কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আপনাকে তাদের সমস্ত বিষয়ে ফয়সালাকারী হিসেবে মেনে না নিবে। তাদের অন্তরে কোনোরূপ সংকীর্ণতা অনুভব করবে না। অতঃপর তারা আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফয়সালা মুবারক উনাকে বিনা চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বালে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে মেনে না নিবে। ” ( বাকি অংশ পড়ুন...
আবূ আফাক:
তাদের এই কথার জবাবে হযরত নাহদিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি নিম্নোক্ত কবিতা পাঠ করেন-
تُكَذّب دِينَ اللّهِ وَالْمَرْءَ أَحْمَدَا ... لَعَمْرُ الّذِي أَمْنَاكَ إذْ بِئْسَ مَا يُمْنَى
حَبَاك حَنِيفٌ آخِرَ اللّيْلِ طَعْنَةً ... أَبَا عَفَكٍ خُذْهَا عَلَى كِبَرِ السّنّ
فَإِنّي وَإِنْ أَعْلَمْ بِقَاتِلِك الّذِي ... أَبَاتَك حِلْسَ اللّيْلِ مِنْ إنْسٍ اوْ جِنّي
‘তুমি মহান আল্লাহ পাক উনার দ্বীনকে মিথ্যা বলো এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দম্ভভরে অস্বীকার করো। সেই মহান সত্তা উনার ক্বসম, যিনি তোমাকে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন, কি নিকৃষ্ট সেই নিরাপত্তা।
রাত্ বাকি অংশ পড়ুন...
আমর ইবনে আব্দে উদ্দকে হত্যা:
অন্য বর্ণনায় রয়েছেন, ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি আমর ইবনে আব্দে উদ্দকে বললেন, ‘তুমি না মহান আল্লাহ পাক উনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছো যে, যদি সম্মানিত কুরাইশ উনাদের কোনো ব্যক্তি তোমাকে বন্ধুত্বের দিকে আহ্বান করে তবে তুমি তা গ্রহণ করবে।’ সে বললো, ‘হ্যাঁ; আমি তা বলেছি।’ তিনি বললেন, ‘তাহলে শুনো-
فأنا أدعوك إلى الله وإلى رسول الله صلى الله عليه وسلم وإلى الإسلام فقال لا حاجة لي بذلك
‘আমি তোমাকে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র র বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাযির-নাযির এ সম্পর্কে যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّــاۤ اَرْسَلْنٰكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيْــرًا
অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি শাহিদ অর্থাৎ সাক্ষ্যদাতা, উপস্থিত বা হাযির-নাযির হিসেবে, সুসংবাদ দানকারী এবং সতর্ককারীরূপে।” (পবিত্র সূরা ফাত্হ : আয়াত শরীফ ৮)
আলোচ্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত شَاهِدٌ (শাহিদ) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারকই বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার ১৬ খানা পবিত্র আয়াত শরীফ এবং আরো কয়েকখানা পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মাধ্যমে। আরো ৭ খানা পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সৃষ্টির কারো মতো নন। এ বিষয়গুলো মুখস্থ করা ফরযে আইন।
উম্মতের জন্য ও মুসলমানদের জন্য আফসূস! তারা কিন্তু হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান মুবারক বুঝতে পারে নাই। নাউযুবিল্লাহ! যার জন্য দেখা যায় সমস্ত কিতাবের মধ্যে, যে কিতাবেই হোক, সর্বশেষে উনাদের সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বর্ণনা করা হয়েছে। নাউয বাকি অংশ পড়ুন...
আমর ইবনে আব্দে উদ্দকে হত্যা:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দো‘আ মুবারক করেন-
اللهم إنك أخذت مني حضرت عبيدة بن الحارث رضى الله تعالى عنه يوم بدر وحضرت حمزة بن عبد المطلب عليه السلام يوم أحد وهذا أخي حضرت علي بن أبي طالب عليه السلام رب لا تذرني فردا وأنت خير الوارثين
‘আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমার থেকে বদরের দিন হযরত উবায়দাহ্ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে গ্রহণ করেছেন এবং উহুদের দিন সাইয় বাকি অংশ পড়ুন...
খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়া মিসরের শুষ্ক নীলনদের প্রতি ফরমান মুবারক লিখে পাঠিয়ে ছিলেন।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
مِنْ عَبْدِ اللهِ عُمَرَ اَمِيْرِ الْمُؤْمِنِينَ اِلـٰى نِيْلِ اَهْلِ مِصْرَ اَمَّا بَعْدُ فَاِنْ كُنْتَ اِنَّـمَا تَـجْرِيْ مِنْ قِبَلِكَ وَمِنْ اَمْرِكَ فَلَا تَـجْرِ فَلَا حَاجَةَ لَنَا فِيْكَ وَاِنْ كُنْتَ اِنَّـمَا تَـجْرِىْ بِاَمْرِ اللهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِ وَهُوَ الَّذِىْ يُـجْرِيْكَ فَنَسْأَلُ اللهَ تَعَالٰى اَنْ يُّـجْرِيَكَ
অনুবাদ:
বিস্মিল্লাহির রহ্মানির রহীম
“এই সম্মানিত চিঠি মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা, বাকি অংশ পড়ুন...
শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিষ্টীয় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃ বাকি অংশ পড়ুন...
এক বুযূর্গ ব্যক্তি, মহান আল্লাহ পাক উনার বিশিষ্ট ওলী, বুযূর্গ ছিলেন। সেই দেশের যে বাদশাহ ছিলো, সে উক্ত বুযূর্গ বা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীর মুরীদ ছিলো। তিনি নছীহত করতেন, তা’লীম দিতেন। বাদশাহও প্রায় সময় তার পীর সাহেব অর্থাৎ সেই ওলীআল্লাহ বা বুযূর্গ ব্যক্তির খানকা শরীফে আসতো। এসে নছীহত হাছিল করে তা’লীম নিয়ে যেতো। একদিন সেই মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, বুযূর্গ ব্যক্তি তিনি নছীহত করলেন যে, মানুষের অন্তরের মধ্যে দুনিয়ার মুহব্বত বেশী হয়ে গিয়েছে। মানুষ দুনিয়াতে গরক (মশগুল) থাকার কারণে মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে গাফিল হয়ে গিয়েছে। তবে ক বাকি অংশ পড়ুন...












