সম্মানিত মাযহাব কতটি ও কি কি?
ফিক্হী মাযহাব চারটি আর আক্বায়িদী মাযহাব দুটি। নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
আহলুস্ সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার ফিক্হী মাযহাব:
‘আহলুস্ সুন্নত ওয়াল জামায়াত’ তথা ‘আল ফিরক্বাতুন্ নাজিয়াহ’ ফিক্হী মাসয়ালার দৃষ্টিতে ৪ ভাগে বিভক্ত।
১. মাযহাবুল হানাফী বা হানাফী মাযহাব:
ইমামে আ’যম, হাকিমুল হাদীছ, তাবিয়ী হযরত ইমাম নু’মান বিন ছাবিত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ: ৮০ হিজরী, ওফাত শরীফ: ১৫০ হিজরী) উনার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাযহাব হচ্ছে ‘হানাফী মাযহাব’। ইহাই সর্বশ্রেষ্ঠ মাযহাব। সারাবিশ্বে ৯০ শতাং বাকি অংশ পড়ুন...
৫২. আল্ আইম্মাতুল্ আরবায়াহ্ (الائمة الاربعة):
(১২৬)
মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের প্রতিষ্ঠাতা উনাদেরকে আইম্মাহ আরবায়াহ্ বলা হয়। উনারা হলেন- (১) হানাফী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা ইমাম আ’যম হযরত ইমাম নু’মান বিন ছাবিত বিন যাওতী হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, (২) মালিকী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম মালিক বিন আনাস রহমতুল্লাহি আলাইহি, (৩) শাফিয়ী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪) হাম্বলী মাযহাব উনার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইমাম আহমদ বিন মুহম্মদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি।
৫৩. আইম্মাতুনাছ্ ছালাছাহ্ (ائمتنا الثلاثة):
বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত খন্দক জিহাদের সর্বশেষ আলোচনা:
হযরত ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এ সম্মানিত জিহাদে কাফির মুশরিকদের মধ্যে তিনজন কাফির মৃত্যুবরণ করে জাহান্নামে চলে যায়। তারা হচ্ছে- নওফল ইবনে আব্দুল্লাহ, আমর ইবনে আব্দুদ দার এবং মুনিয়া ইবনে উবাইদ।
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে ছয়জন ছাহাবী শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনারা হচ্ছেন-
১. হযরত সা‘দ ইবনে মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
২. হযরত আনাস ইবনে আবিস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
৩. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সাহল রদ্বিয়াল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
আর শায়েখ বা শায়েখ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার গুরুত্ব সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلشَّيْخُ فِىْ اَهْلِهٖ كَالنَّبِىِّ فِىْ اُمَّتِهٖ وَفِىْ رِوَايَةٍ اَلشَّيْخُ لِقَوْمِهٖ كَالنَّبِىِّ فِىْ اُمَّتِهٖ
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা উম্মতের নিকট যের বাকি অংশ পড়ুন...
ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় আহলুস সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার পরিচিতি:
(৫৩)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং ইমাম, মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদ, ফক্বীহ, গাউছ, কুতুব, ওলী, আবদাল, নক্বীব, নজীব রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা যে পবিত্র মত ও পবিত্র পথের উপর প্রতিষ্ঠিত তাকে ‘আহলুস সুন্নত ওয়াল জামায়াত’ বা সুন্নত উনার পূর্ণ অনুসারী বড় হক দল বলে।
আহলুস সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার অন্যান্য নাম:
১. الفرقة الناجية অর্থা বাকি অংশ পড়ুন...
হুজ্জাতুদ্দীন হযরত ইমাম আবূ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মুহম্মদ ইবনে যুফার মাক্কী ছিক্বিল্লী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৪৯৭ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ৫৬৫ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
وَقَدْ عَمِلَ الْمُحِبُّوْنَ لِلنَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرْحًا بِـمَوْلِدِهِ الْوَلَائِمَ فَمِنْ ذٰلِكَ مَا عَمِلَهٗ بِالقَاهِرَةِ الْمُعِزِّيَّةِ مِنَ الْوَلَائِمِ الْكِبَارِ حَضْرَتْ اَلشَّيْخُ اَبُو الْـحَسَنِ اَلْمَعْرُوْفُ بِاِبنِ قُفْلٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ شَيْخُ شَيْخِنَا حَضْرَتْ اَبِـىْ عَبْدِ اللهِ مُـحَمَّدِ بْنِ النُّعْمَانِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وَعَمِلَ ذٰلِكَ قَبْلُ حَضْرَتْ جَـمَالُ الدِّيْنِ الْعَجَمِىُّ الْـهَمْذَانِـى বাকি অংশ পড়ুন...
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি হযরত নু’মান বিন বশীর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, আমি শুনেছি যে, সাইয়্যিদুল মুরসা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের
আলোকে দুয়া বা মুনাজাত শরীফ উনার গুরুত্ব
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
যেমন এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي اَسْتَجِبْ لَكُمْ اِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ.
অর্থ : “তোমাদের মহান রব তায়ালা তিনি বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে (দুয়ায়) সাড়া দিব। নিশ্চয়ই যারা আমার ইবাদতে অহঙ্কার করে, তারা অতি সত্ত্বর লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে দাখিল (প্রবেশ) হবে। ” (পবিত্র সূরা মু’মিন শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ : ৬০)
وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَاد বাকি অংশ পড়ুন...
(২৩)
الفقه فى علم الشريعة الاسلامية اصول الدين.
অর্থ: ইসলামী শরীয়ত উনার (পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও পবিত্র ক্বিয়াস উনাদের) পূর্ণ জ্ঞান অর্জনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতিকে ফিক্বহ বলা হয়। (আল মু’জামুল ওয়াজীয- ডক্টর ইবরাহীম মাদকূর ৪৭৮ পৃষ্ঠা)
(২৪)
وقد يطلق الفقه على علم النفس بما لها وما عليها، فيشتمل جميع العلوم الدينية، ولذا سمى ابو حنيفة رحمه الله الكلام بالفقه الاكبر.
অর্থ: মূলতঃ কল্যাণময় ও ক্ষতিকর বিষয়ের ব্যাপারে অন্তরের উপলব্ধিকে ফিক্বহ বলা হয়। এক্ষেত্রে সকল প্রকার পবিত্র দ্বীনী শিক্ষা ফিক্বহের অন্তর্ভুক্ত। এজন্যই হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা বাকি অংশ পড়ুন...
(১৭)
الاجماع وفى اصطلاح الاصوليين هو اتفاق خاص، وهو اتفاق الـمجتهدين من امة محمد صلى الله عليه وسلم فى عصر على حكم شرعى. فالـمراد بالاتفاق الاشتراق فى الاعتقاد او الاقوال او الافعال او السكوت او التقرير.
অর্থ: উছূলবিদগণের দৃষ্টিতে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে একমত হওয়াকে ইজমা বলে। ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়- একই যুগে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের মধ্যে ইমাম মুজতাহিদ উনাদের কর্তৃক কোন শরয়ী বিধান উনাদের ব্যাপারে একমত পোষণ করাকে ইজমা বলা হয়।
ইত্তিফাক (ইজমা) দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, ঈমান-আক্বীদা, বক্তব্য, কাজ, চুপ থাকা অথবা সম্মতির মাধ্যমে ফয়সালায় বাকি অংশ পড়ুন...












