ফতওয়া
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৪)
, ২৯ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৬ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ১২ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) ফতওয়া বিভাগ
.jpg)
(১৭)
الاجماع وفى اصطلاح الاصوليين هو اتفاق خاص، وهو اتفاق الـمجتهدين من امة محمد صلى الله عليه وسلم فى عصر على حكم شرعى. فالـمراد بالاتفاق الاشتراق فى الاعتقاد او الاقوال او الافعال او السكوت او التقرير.
অর্থ: উছূলবিদগণের দৃষ্টিতে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে একমত হওয়াকে ইজমা বলে। ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়- একই যুগে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের মধ্যে ইমাম মুজতাহিদ উনাদের কর্তৃক কোন শরয়ী বিধান উনাদের ব্যাপারে একমত পোষণ করাকে ইজমা বলা হয়।
ইত্তিফাক (ইজমা) দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, ঈমান-আক্বীদা, বক্তব্য, কাজ, চুপ থাকা অথবা সম্মতির মাধ্যমে ফয়সালায় শরীক থাকা। (কাশফু ইছতিলাহাতিল ফুনূন- শায়েখ আল্লামা মুহম্মদ আলী বিন আলী থানুবী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ওফাত: ১১৫৮ হিজরী পরিচ্ছেদ: জীম ১ম খ- ৩২৩ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: মাকতাবায়ে নু’মানিয়া কানসী রোড, কুয়েটা)
(১৮)
وقال الغزالى: الاجماع هو اتفاق امة محمد صلى الله عليه وسلم على امر دينى.
অর্থ: হযরত ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উম্মতে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কর্তৃক দ্বীনী কোন ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করাকে ইজমা বলা হয়। (কাশফু ইছতিলাহাতিল ফুনূন- শায়েখ আল্লামা মুহম্মদ আলী বিন আলী মুহম্মদ থানুবী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি পরিচ্ছেদ: জীম ১ম খ- ৩২৪ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: মাকতাবায়ে নু’মানিয়া কানসী রোড, কুয়েটা)
৫. القياس (আল্ ক্বিয়াস): القياس শব্দটির শাব্দিক অর্থ হচ্ছে- অনুমান করা, মূল্যায়ন করা, তুলনা দেয়া, পরিমাপ করা, ক্বিয়াস করা ইত্যাদি। যেমনটি ‘নূরুল আনওয়ার’ কিতাবের ক্বিয়াস অধ্যায়ে ২২৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
(১৯)
* القياس فى اللغة التقدير
অর্থ: লুগাতী বা আভিধানিক অর্থে ইজমা অর্থ অনুমান করা বা তুলনা দেয়া।
ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় ক্বিয়াস উনার পরিচিতি:
(২০)
القياس وفى الشرع تقدير الفرع بالاصل فى الحكم والعلة
অর্থ: ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় হুকুম ও ইল্লতের সাথে কোন শাখা মাসয়ালাকে মূল মাসয়ালার উপর অনুমান করাকে ক্বিয়াস বলা হয়। অর্থাৎ শাখার মধ্যে মূলের ইল্লত বিদ্যমান থাকার কারণে শাখাকে মূলের হুকুমের সাথে মিলিয়ে দেয়া। যেমন: মদ হারাম হওয়ার উপর অনুমান করে ফায়সালা দেয়া হয় যে, হেরোইন, গাঁজা, তামাক, হুক্কা ইত্যাদি খাওয়া হারাম। (নূরুল আনওয়ার শরহুল মানার অধ্যায়: ক্বিয়াস সম্পর্কিত ২২৪ পৃষ্ঠা, আত্ তা’রীকাতুল্ ফিকহিয়্যাহ লি আমীমিল ইহসান রহমতুল্লাহি আলাইহি ৪৩৭ পৃষ্ঠা)
কতিপয় শব্দার্থ ও পরিভাষা:
৬. الفقه (আল ফিক্বহ): শব্দটির অর্থ হচ্ছে- বুঝ, জ্ঞান, ইসলামী আইন, উন্মোচন, স্পষ্টকরণ, খোলা ইত্যাদি।
শরীয়তের পরিভাষায় ফিক্বহ উনার পরিচিতি:
(২১)
الفقه فى الاصطلاح هو العلم بالاحكام الشرعية العملية الـمكتسب من ادلتها التفصيلية.
অর্থ: (পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ ও পবিত্র ক্বিয়াস উনাদের থেকে) বিস্তারিত দলীল-প্রমাণাদির ভিত্তিতে উদঘাটিত শরীয়তের আমল সংক্রান্ত বিধানসমূহ জানাকে ফিক্বহ বলে। (আত তা’রীফাতুল ফিক্বহিয়্যাহ লি আমীমিল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী রহমতুল্লাহি আলাইহি ৪১৪ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: আশরাফী বুক ডিপো দেওবন্দ হিন্দ)
(২২)
وفى التوضيح: والفقه معرقة النفس مالـها وما عليها وهذا التعريف منقول عن ابى حنيفة رحمة الله عليه.
অর্থ: ‘আত তাওদ্বীহ’ কিতাবে উল্লেখ আছে; কল্যাণময় ও ক্ষতিকর বিষয়ের ব্যাপারে আত্মানুভূতিকে ফিক্বহ বলা হয়। এ পরিভাষাটি হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত হয়েছে। (আত তা’রীফাতুল ফিক্বহিয়্যাহ লি আমীমিল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী রহমতুল্লাহি আলাইহি ৪১৪ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: আশরাফী বুক ডিপো দেওবন্দ হিন্দ)
(মাসিক আল বাইয়্যিনাত থেকে সংকলিত। ) (চলবে)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৭)
১৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৬)
০৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৫)
০২ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনুসরণীয় চার মাযহাব উনাদের ফতওয়া মুতাবিক
১৯ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (৩)
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (৫)
০৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চারটি মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (২)
০৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (৩)
০২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (২)
০১ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (১)
৩১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- চারটি মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয (১)
২৭ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরযে আইন (২৬)
২৬ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)