নিজস্ব সংবাদদাতা:
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতকাল ইয়াওমুস সাবত (শনিবার) অনুষ্ঠিত হলো সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদ আয়োজিত আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন ২০২৫। আয়োজিত এ সম্মেলনে সমকালীন ধর্মীয় পরিস্থিতি, কাদিয়ানীদের নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ ধর্মীয় বিশেষ আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কার্যক্রম আশংকাজনকহারে বৃদ্ধি পে বাকি অংশ পড়ুন...
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ প্রণয়ন করা হলেও হঠাৎ এর পরিবর্তন ও বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি এতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। দলটির পক্ষে বলা হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে। যে সনদের কথা বলে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে চূড়ান্ত সনদের মিল নেই।
এতে ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করা হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রেফারি হয়ে গোল দেওয়ার এক মহাবিতর্কিত নজির স্থাপন করেছে। মনে হচ্ছে ঐকমত্য কমিশন, সরকার এ বাকি অংশ পড়ুন...
নিজস্ব প্রতিবেদক:
উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য ‘বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছে অন্তর্র্বতী সরকার। গতকাল ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সকালে এক বিবৃতিতে এই বিভ্রান্তির কথা বলা হয়।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘মিট দ্য রিপোটার্স’ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠানে দেয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন- যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
আরও বলা হয়, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও ন বাকি অংশ পড়ুন...
মূল কথা হলো- বাতিল ফিরক্বা লা মাযহাবী বা তথাকথিত সালাফীদের আক্বীদা হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষের মতই ছূরত বা আকার-আকৃতি ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অধিকারী। নাউযুবিল্লাহ! পক্ষান্তরে প্রকৃত সালাফী বা চার মাযহাব অর্থাৎ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি ১০টি বিষয় থেকে পবিত্র। এ সম্পর্কে আক্বাইদের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
اَللهُ مُنَـزَّهٌ عَنْ جِسْمٍ وَجَوْهَرٍ وَعَرْضٍ وَتَصْوِيْرٍ وَتَـعْدِيْدٍ وَتَـبْعِيْضٍ وَتَجْزِئٍ وَتَـرْكِيْبٍ وَتَـنَاهِيٍّ وَتَحْدِيْدٍ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি জিসিম বা শরীর বা নির্ভরশীলতা থেকে, চওড়া বা প্রশস্ত হওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
এখন আরশে ইস্তাওয়ার অর্থ অনেকে লিখেছেন- উপবেশন করা, বরাবর হওয়া ইত্যাদি। মহান আল্লাহ পাক উনার ক্ষেত্রে এ অর্থ গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার ক্ষেত্রে উপরোক্ত অর্থ গ্রহণ করলে এটাই সাব্যস্ত হয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার ছূরত বা আকার-আকৃতি রয়েছে বা তিনি বসা, শোয়া ও দাঁড়ানোর মুহতাজ। নাউযুবিল্লাহ!
অথচ মকতুবাত শরীফ-এ লেখা হয়েছে- “মহান আল্লাহ পাক তিনি “আল্লাহ” শব্দ মুবারক থেকেও পবিত্র।”
তাহলে তিনি বসা ও উপবেশন করার মুহতাজ হন কিভাবে? মহান আল্লাহ পাক তিনি তো বলেই দিয়েছেন যে-
اَللهُ الصَّمَدُ
অর্থাৎ, মহান আল্লাহ পাক তিনি (বসা, উপবেশন করা বাকি অংশ পড়ুন...
একবার বৃষ্টিসিক্ত দিনে ইমামুশ শরীয়ত, ওয়াত তরীক্বত, হযরত হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি রাস্তা দিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে একজন বালক আসছিলো। ছেলেটি কিছুটা এলোমেলোভাবে হাঁটছিলো। যেহেতু রাস্তা পিচ্ছিল ছিলো তাই হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছেলেটিকে সাবধানে হাঁটতে বললেন। পড়ে গেলে তার ক্ষতি হবে, সেটা স্মরণ করিয়ে দিলেন। প্রত্যুত্তরে ছেলেটি বললো, আমি যদি পড়ে যাই, তাহলে শুধু আমারই ক্ষতি হবে অর্থাৎ আমার মাথা ফেটে যাবে। কিন্তু আপনি পড়ে গেলে গোটা মুসলিম জাহানের মাথা ফেটে যাবে। কারণ আপনি সমগ্র মুসলিম জাহা বাকি অংশ পড়ুন...
আরশে ইস্তাওয়া হওয়া:
২। মহান আল্লাহ পাক উনার ছিফতসমূহ থেকে আরো একটি ছিফত হচ্ছে- ‘মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র আরশে ইস্তাওয়া হওয়া। পবিত্র আরশে ইস্তাওয়া হওয়ার বিষয়টি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে। এক্ষেত্রে সে যুগের প্রকৃত সালাফীদের আক্বীদা ছিলো-
الاستواء معلوم والكيف مجهول والايمان به واجب
অর্থাৎ, “আরশে ইস্তাওয়া হওয়া তো নসুসের মধ্যে উল্লেখ আছে, যা সকলেরই জানা-শোনা। কিন্তু ইস্তাওয়া হওয়ার পদ্ধতি কারও জানা নেই। তবে এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যেরূপ বলা হয়েছে, সেভাবে ঈমান আনা ওয়াজিব। ” এই ছিলো ইস্তাওয়া সম্পর্কে উলামায়ে সাল বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিল ফিরক্বা লা-মাযহাবীদের “সালাফী” নাম ধারণ করা একটি জঘন্য প্রতারণা সালাফ (سلف) শব্দটি আরবী। এর অর্থ- পূর্বসূরী অনুসৃত ব্যক্তিত্ব। এখানে ‘সালাফ’ দ্বারা উদ্দেশ্য: হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম ও হযরত তাবে-তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম। এই তিন যুগের অনুসৃত ব্যক্তিত্বগণকে পরিভাষায় ‘সালাফ’ বলা হয়। যাদেরকে আমরা সাধারণ ভাষায় “সলফে ছালেহীন” নামে সম্বোধন করি। হাফেয যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিবরণ মতে এই তিন যুগের সমাপ্তি ঘটেছে হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর সূচনালগ্নে। তিনি ‘ম বাকি অংশ পড়ুন...












