হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা হাক্বীক্বত গোপন রেখেই মুরীদের আত্মার চিকিৎসা করে নানাভাবে তা’লীম-তরবিয়ত দান করেন। আর সেক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাবতীয় নিয়ামত লাভের উপযোগী করে নিয়ামত দানে পুঞ্জিভূত করে থাকেন।
সুতরাং, কামিল শায়েখ বা উলিল আমরগণ যে বিষয়ে আদেশ-নিষেধ করুন না কেন তা সঠিকভাবে পালন করাই হচ্ছে পূর্ণ আনুগত্যতার বহিঃপ্রকাশ। কেননা আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবা বাকি অংশ পড়ুন...
শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা যখন যা আদেশ করবেন তখন তা পালন করাই মুরীদের জন্য সন্তুষ্টি লাভের কারণ
বর্ণিত আছে যে, একবার এক ব্যক্তি খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে বিভিন্ন সূরার শুরুতে বর্ণিত
الم - حم - ص - يس - الر-
ইত্যাদি হুরূফে মুকাত্তায়াতের অর্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তার জাওয়াবে তিনি বলেছিলেন-
اَبْهِمُوا مَا اَبْهَمَهُ اللهُ تَعَالٰى
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি যা গোপন রেখেছেন তা গোপন রাখো। ”
অর্থাৎ গোপনীয় বিষয়গুলো যেভাবে আছে সেগুলো সেভাবে গোপন রাখাই উচিত।
মূলতঃ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়াল বাকি অংশ পড়ুন...
একদিন হযরত আবূ সাঈদ রহমতুল্লাহি আলাইহি ইমামুল মুত্তাক্বীন হযরত নিজামুদ্দীন বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বললেন, “আমি এসেছিলাম আপনার নিকট বাইয়াত হওয়ার জন্য। আপনার মত মহান ব্যক্তিত্বের ছোহবত ইখতিয়ার করা (সংস্পর্শে থাকা) একান্ত জরুরী মনে করছি। ”
ইমামুল মুত্তাক্বীন হযরত নিজামুদ্দীন বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার আবেদন মঞ্জুর করলেন। উনাকে স্বীয় ছোহবত দানের জন্য বাইয়াত করালেন। পরের দিন ইমামুল মুত্তাক্বীন হযরত নিজামুদ্দীন বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি খানকা শরীফ উনার দায়িত্বে নিয়োজিত খাদিমকে বলে দিলেন, “আজ থেকে আবূ সাঈদ উন বাকি অংশ পড়ুন...
(গত ৫ যিলহজ্জ শরীফের পর)
মহান মুর্শিদ ক্বিবলা তিনি যা আদেশ করবেন তা নির্দ্বিধায় পালন করবে। এটাই মুরীদের জন্য কল্যাণকর। সে সম্পর্কে আরো একটি ওয়াকেয়া রয়েছে।
হযরত যুন নুন মিশরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একজন মুরীদ ছিলেন। তিনি একাধারে একই স্থানে চল্লিশ দিন করে চল্লিশবার নির্জনে ইবাদত করেছিলেন। চল্লিশবার হজ্জ আদায় করেছিলেন। একাধারে চল্লিশ বছর সারা রাত ইবাদতে লিপ্ত ছিলেন। একবার উক্ত মুরীদ হযরত যুন নুন মিশরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকটে আবেদন জানালেন, হুজুর! আমি আপনার নির্দেশ অনুযায়ী দীর্ঘ চল্লিশ বছর ইবাদত-বন্দেগী করলাম; কিন বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
‘শাজরা’ ও ‘সিলসিলা’ দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বত উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হযরত কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মুরাদুল মুরীদীন’ কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বিবলা উন বাকি অংশ পড়ুন...
‘শাজরা’ ও ‘সিলসিলা’ দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বত উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হযরত কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মুরাদুল মুরীদীন’ কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বিবলা উন বাকি অংশ পড়ুন...
‘শাজরা’ ও ‘সিলসিলা’ দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বত উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হযরত কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মুরাদুল মুরীদীন’ কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার বাকি অংশ পড়ুন...
ইলিম কয় প্রকার জানেন?
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছেÑ
اَلْعِلْمُ عِلْمَانِ: عِلْمٌ فِي الْقَلْبِ فَذٰلِكَ الْعِلْمُ النَّافِعُ، وَعِلْمٌ عَلَى اللِّسَانِ فَذٰلِكَ حُجَّةُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى اِبْنِ اٰدَمَ
ইলিম দুই প্রকার- একটা ক্বলবী, একটা জবানী। ক্বলবী ইলিম যেটা উপকারী ইলিম। আর একটা জবানী ইলিম যেটা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে মানুষের নিকট দলীল। অর্থাৎ ইলমে ফিকাহ, ইলমে তাছাওউফ। তাছাওউফের মূল বিষয় হলো তাক্বওয়া ।
এজন্যে হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ‘মিশকাত শরীফ’ উনার শরাহ ‘মিরকাত শরীফ’ কিতাবের মধ্যে উল্লেখ করেছেন যে, হযরত ইমাম মালিক রহমতু বাকি অংশ পড়ুন...
হক্ব কোন মুর্শিদ ক্বিবলা বা শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার নিকট বাইয়াত হওয়ার পরও বিশেষ কিছু কারণে মুর্শিদ পরিবর্তন করা ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।
এক. মুরীদ তাকমীলে অর্থাৎ পূর্ণতায় পৌঁছার পূর্বে যদি স্বীয় মুর্শিদ ইন্তিকাল করেন, তখন পূর্ণতায় পৌঁছার জন্য আরেকজন হক্কানী মুর্শিদ উনার নিকট বাইয়াত হতে হবে।
দুই. মুর্শিদ যদি এমন দূর দেশে থাকেন, যাঁর সাথে কোনো প্রকার সাক্ষাৎ ও যোগাযোগ করা সম্ভব না হয় এমনকি চিঠি-পত্রের মাধ্যমেও যোগাযোগ সম্ভব না হয়, তাহলে উনাকে পরিবর্তন করে আরেকজন হক্কানী মুর্শিদ উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করতে হবে।
তিন. খালি বাকি অংশ পড়ুন...












