মিশরে বয়নশিল্প:
বস্ত্রের অন্তর্দিকে লিনেন ব্যবহারের রীতি তখনও বিদ্যমান ছিলো। তবে সিল্কের সাথে বুটিদার (যিনি বুটিক তৈরী করেন) লিনেন ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দিতো। ফাতেমীয় যুগে বস্ত্রের প্রান্তে বোটাসহ পুষ্পাদির বুনন মনোরমভাবে সম্পন্ন হতো, কিন্তু মামলুক সালতানাত যুগে অত্যন্ত যতেœর সাথে বয়নসেলাই অব্যাহত রাখা হয়েছিলো যা তার পরিপূর্ণতার ক্ষেত্রে চমক বলে মনে হতো। বুননের চেয়ে বস্ত্রাদির প্রান্তরেখায় প্যাটার্নে সংমিশ্রিত অথচ টিকসই রং ব্যবহৃত হয়েছে।
মামলুক সালতানাত যুগে এই জাতীয় চলমান মটিফের বিভিন্ন প্রকরণ সøাভ ও স্কান্ডিনে বাকি অংশ পড়ুন...
সেলযুক গালিচা ও বয়নশিল্প:
তুর্কিস্তানের কিরগিজ পার্বত্য অঞ্চল থেকে সেলযুক সেনাপতির নেতৃত্বে ঘোজ যাযাবর তুর্কিদের পারস্য ও মধ্য এশিয়ার ভূমিতে দশম শতাব্দীতে (৯৫৬ খৃ:) আগমন রাজনীতি এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন সাধন করেছিলো। প্রথমে তারা বুখারায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার মতাদর্শ গ্রহণ করেন। ক্রমান্বয়ে উনারা সমগ্র ইরাক ও পারস্যে প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত করে তুঘরিল বেগের নেতৃত্বে ১০৫৫ খৃ: এর দিকে আব্বাসীয় সালতানাতের রাজধানী বাগদাদে উপনীত হয়ে আল-কাইয়ুম বাকি অংশ পড়ুন...
সাফাবী যুগের সিরামিক্স শিল্প:
লাস্টার অলঙ্করণসহ সাফারী মৃৎপাত্র মৃৎশিল্পের ক্ষেত্রে একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে। পঞ্চদশ শতাব্দীতে লাস্টার পেইন্টিং শিল্পের যে অবনতি ঘটেছিলো তা শাহ আব্বাসের শাসনপর্বে ইস্পাহান ও অন্যান্য স্থানে মৃৎশিল্পীগণ রঙের চাকচিক্য ও ডিজাইনের গাম্ভীর্য পূর্বের ন্যায় চিত্তাকর্ষক ছিলো না, বরং অষ্টাদশ শতাব্দীর টাইলস প্রস্তুতের ক্ষেত্রে অধোগতি অনেকটা লক্ষণীয়।
‘কুবাচা’ নামে সাফারী মৃৎপাত্র একটি বিশেষ শ্রেণি হিসেবে গণ্য করা যায়। ককেসাস অঞ্চলের দাগিস্তান পর্বতমালার কুবাচা গ্রামে উৎপাদিত হওয় বাকি অংশ পড়ুন...
সাফাবী যুগের মৃন্ময়শিল্প দু’টি শ্রেণিতে বিন্যাস করা যেতে পারে। একটি শ্রেণিতে কেবলমাত্র সাফারী অলঙ্করণ বন্ধনীযুক্ত যা পা-ুলিপি-দ্যুতিকরণ, কম্বল ও বয়নশিল্পের অলঙ্করণরূপে আমাদের নিকট পরিচিতি লাভ করেছে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে মিং চীনা বাসনের অনুকরণে ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে ইরানীয় মৃৎশিল্পীগণ প্রকৃত মৃন্ময়পাত্রের।
উৎপাদনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন এবং এসব মৃৎপাত্র সাফারী শাসকগণ কর্তৃক বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। ইরানী স্টাইলের সাথে চৈনিক ডিজাইনকে একীভূত করে তৈরি প্রাথমিক পর্যায়ের দু’টি থালা মেট্রোপলিটান মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছ বাকি অংশ পড়ুন...
ইরানে তৈমুরীয় যুগের সিরামিক্স শিল্প:
তৈমুরীয় যুগের মৃন্ময়পাত্রের উদাহরণ অত্যন্ত অপ্রতুল। যে কিছু অবশিষ্ট মৃৎপাত্রের নিদর্শন পরিদৃষ্ট হয় তাতে মোঙ্গল যুগের টেকনিক ও অলঙ্করণের ছাপ অতি স্পষ্ট। তবে মোঙ্গল যুগের মৃৎপাত্রের তুলনায় তা ভিন্নমানের বলে প্রতীয়মান হয়। পঞ্চদশ শতাব্দীতে ক্ষুদ্রাকৃতির প্রতিকৃতির উপস্থাপনের বিবেচনায় তৈমুরীয় যুগের মৃন্ময়পাত্রে চৈনিক প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
প্রদর্শিত কোনো কোনো সিরামিক্সের ক্ষেত্রে বলা যায় যে, সেগুলো ইরানী মৃৎপাত্রের অবিকল মনে করেও অনেকে ভুল করে। এক্ষেত্রে আমেরিকার মেট্রোপল বাকি অংশ পড়ুন...
ইরানে মোঙ্গল যুগের সিরামিক্স শিল্প:
১২৫৮ খৃ: ইরান ও মেসোপটেমিয়া জয় করে মোঙ্গল-ইলখানগণ এই ভূ-ভাগে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। বাগদাদকে শীতকালীন নিবাস হিসেবে মনোনীত করে ইলখানি শাসকগণ তাবরিজ, মারাগা ও সুলতানিয়া প্রভৃতি নগরে তাদের প্রশাসনিক দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। এসব দরবারি কেন্দ্রে মেসোপটেমিয়া ও ইরানের বিভিন্ন স্থানের শিল্পীগণ আসতে থাকেন এবং সব কিসমের শিল্পের বিকাশে প্রভূত অবদান রাখেন। মৃন্ময়শিল্প ছিলো সেগুলোর অন্যতম।
প্রাথমিক পর্যায়ে ইলখানি মৃৎশিল্পীগণ মৃৎপাত্র ও দেয়াল টাইলসের অলঙ্করণে পূর্বের রীতি অনুসরণ করেছেন এবং তাতে বাকি অংশ পড়ুন...
নাজমুদ্দিন হাসান আর রাম্মাহ হলেন এমন একজন মুসলমান বিজ্ঞানী যিনি নানাবিধ শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করে ক্রুসেডার এবং তাতারদের বিরুদ্ধে মুসলমান বাহিনীকে শক্তিশালী করেছিলেন। তিনি ১২২৬ সালে বর্তমান লেবাননের তারাবলিসে জন্মগ্রহণ করেন।
উনার পিতা এবং দাদা যুদ্ধবিদ্যা ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরিতে পারদর্শী ছিলেন। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে তিনিও এই বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। উনার নতুন নতুন আবিষ্কারগুলো মুসলমান বাহিনী ব্যবহার করে তৎকালীন সময়ের অনেক শক্তিশালী বাহিনীকেও লজ্জাজনক পরাজয় প্রদান করেছিলেন।
বিস্ফারক অস্ত্র বা বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলাদেশে হিন্দুয়ানি কুসংস্কারের অবৈধ অনুপ্রবেশের একটি নাম হলো ‘পহেলা বৈশাখ’। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বাংলা সন বা ফসলী সন মূলত বাংলার নয়; বরং এটি মোঙ্গলীয়। এই সন প্রবর্তনের পূর্বে ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বত্র হিজরী সন জারি ছিলো এবং মুসলিম অধ্যুষিত ভারতীয় উপমহাদেশে এই হিজরী সনই ছিলো একমাত্র পরিপূর্ণ ও ত্রুটিমুক্ত দিন গণনা পদ্ধতি। কিন্তু পূজারীরা হিজরী সনকে সহ্য করতে পারে নি। তাই তারা দ্বীন ইসলাম থেকে বিচ্যুত মোঘল শাসক আকবরকে দিয়ে তাদের সুবিধা মতো একটি সন প্রবর্তন করায়, যার নাম হয় ফসলী সন। প্রচলিত বাংলা বর্ষপঞ্জির আরেক নাম ‘তার বাকি অংশ পড়ুন...
রহমত, বরকত, সাকীনা এবং মাগফিরাতের মাস পবিত্র রমাদ্বান শরীফ। ইবাদত-বন্দেগীর পাশাপাশি ইতিহাসের দিকে যদি আমরা লক্ষ্য করি, তবে মুসলিম উম্মাহর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অনেক ঘটনার সাক্ষী পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস। এই পবিত্র মাসেই এমন অনেক বিজয় অভিযান সম্পন্ন হয়েছে যা মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসের গতিধারাকে পরিবর্তিত করেছে।
মহাপবিত্র বদর জিহাদ
সম্মানিত ২য় হিজরী শরীফ উনার ১৭ই রমাদ্বান শরীফ পবিত্র মদীনা শরীফ উনার দক্ষিণ-পশ্চিমে বদর প্রান্তরে পবিত্র বদর জিহাদ সংঘঠিত হয়। সম্মানিত জিহাদ মুবারকে মুসলমান উনাদের সংখ্যা ছিলেন ৩১৩ জন। বিপরী বাকি অংশ পড়ুন...
ভারতবর্ষের ইতিহাসের শক্তিশালী নাম সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি। যাঁকে ভারতবর্ষেও অন্যতম শক্তিশালী শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি যুদ্ধ বিজেতা ও প্রশাসক হিসেবে সুলতানি আমলে অসাধারণ সাফল্যের পরিচয় দিয়েছিলেন। অর্থনৈতিক সংস্কারের দিক থেকে বিচার করলে দেখা যায় যে তিনি ছিলেন মধ্যযুগের ভারতের প্রথম মুসলিম শাসক, যিনি ১. জমি জরিপ করেছিলেন, ২. জায়গির দান বা ভূমিদান প্রথার বিলুপ্তি ঘটিয়েছিলেন, ৩. সমন্বিত রাজস্ব ধার্য করেছিলেন এবং ৪. বাজারদর নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রবর্তন করেছিলেন।
সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির অর্থনৈতিক সংস্কার তার শাসনব্যবস্ বাকি অংশ পড়ুন...
গোরস্তানের প্রতিটি সড়ক কিংবা গলি নানা রকমের চিহ্ন দিয়ে ভরা। কখনো মানুষের ছবি রয়েছে, কখনো মানুষের ছবি ছাড়া। সে চিহ্ন ও নাম দিয়ে বিশেষ ব্যক্তির নামে থাকা প্লটকে নির্দেশ করে। একটা বড় পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত প্লটের বিস্তৃতি ওয়াদি আস সালামে আট বর্গমিটার। সেখানে প্রায় আট-নয়টি কবর দেয়া যায়। কবর দেয়ার একটা পদ্ধতি হলো সেরদাব। সাধারণত এ ধরনের কবর দুই-চার মিটার গভীর। মরদেহ রাখা হয় নিচের দিকে, তারপর কয়েক পর্যায়ে দেয়া হয় মাটি। কবর দেয়ার এ পদ্ধতি প্রাচীন। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার আমলেও এ ধরনের কবর প্রচলিত ছিল। ওয়াদি আস সালামের মাটিতে কবর দে বাকি অংশ পড়ুন...












