এরপর যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন-
سُنَّةَ اللهِ فِي الَّذِينَ خَلَوْا مِن قَبْلُ
“এটা তো নতুন নয়, অতীতে যারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা অতীত হয়েছেন, উনাদের ব্যাপারেও যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার যে হুকুম-আহকাম, তর্জ-তরীক্বা মুবারক সেটা এভাবেই ছিল।” সুবহানাল্লাহ!
এখানে একাধিক বিষয়। একটা হচ্ছে, পালক ছেলে উনার আহলিয়াকে গ্রহণ করা। আরেকটা হচ্ছে, যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে তিনি ভয় করেন অন্য কাউকে ভয় করেন না। আরেকটা হচ্ছে, একাধিক হযরত উম্মাহাতু বাকি অংশ পড়ুন...
নিজস্ব সংবাদদাতা:
প্রথমে মাথা বা বুকে বালিশ ঠেকিয়ে চালানো হতো গুলি। বুলেটের আঘাতে জীবনপ্রদীপ নিভতেই ছুরি দিয়ে কেটে ফেলতো পেট। এর মধ্যেই মাথা আর পায়ে সিমেন্টের ব্লক বেঁধে ডুবিয়ে দেওয়া হতো নদীতে। রাখতেন না নৃশংস হত্যাযজ্ঞের কোনো আলামতও। আওয়ামী লীগের টানা শাসনামলে গুম হওয়া বহু মানুষের লাশ এভাবেই চাপা পড়েছিল নদীর গভীরে। ক্রসফায়ার আর বনদস্যু দমনের আড়ালে বছরের পর বছর গুম-খুনের শিকার হন অনেক নিরপরাধ লোক। পরিকল্পিত এসব হত্যাযজ্ঞ চললেও মুখ খোলার সাহস ছিল না কারোরই। তবে ক্ষমতার পালাবদলে ফাঁস হতে থাকে রক্তাক্ত নীলনকশা। আর সেই ভয়াল বাকি অংশ পড়ুন...
এজন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন-
وَلَاشَاهِدٌ وَّلَا وَلِيٌ
‘আমার নিসবাতুল আযীম শরীফে কোন শাহিদ, সাক্ষীর প্রয়োজন হয়নি এবং কোন ওলীরও প্রয়োজন হয়নি। সুবহানাল্লাহ! যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার সাক্ষী এবং ওলী। ’ সুবহানাল্লাহ!
زَوَّجْنَاكَهَا
“আমি আপনার নিসবাতুল আযীম শরীফ সম্পন্ন করে দিলাম। ” সুবহানাল্লাহ!
এটা হচ্ছে শুধু একটি শরীয়ত উনার হুকুম জারি করার জন্য। যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আমি আপনার সাথে উনার মহাসম্মানিত নিসবাতুল আযীম শরীফ সম্ বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্বের পর্বগুলোতে সুস্পষ্ট দলীলের ভিত্তিতে প্রমাণ করা হয়েছে যে, পবিত্র ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত। কোনো হক্ব তালাশী ব্যক্তির বুঝার জন্য যেটা যথেষ্ট। এ পর্বে পবিত্র ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায উনার হুকুম নিয়ে আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ!
৪ রাকায়াত পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায উনার হুকুম:
পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ নামায ৪ রাকায়াত পড়াই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। যেমন এ বিষয়ে বুখারী শরীফের বিখ্যাত শরাহগ্রন্থ ‘ফাতহুল বারীতে’ উল্লেখ রয়েছে-
وأكثر العلماء على أنها سنة راتبة منهم الأوزاعي والثوري وأبو حنيفة رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وأصحابه وهو ظاهر كلام أحمد رَحْـ বাকি অংশ পড়ুন...
মুনাফিক্ব বিশরকে হত্যা:
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
অন্য বর্ণনায় রয়েছেন,
فَضَرَبَ بِهِ الْمُنَافِقَ حَتَّى بَرُدَ وَقَالَ هَكَذَا أَقْضِي بَيْنَ مَنْ لَمْ يَرْضَ بِقَضَاءِ رسول الله صلى الله عليه وسلم وهرب اليهودي
“তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি তরবারী দ্বারা মুনাফিক্ব বিশরকে আঘাত করেন, সে মারা যায়। আর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফয়সালা মুবারক যারা মানে না, তাদের বিচার আমি এভাবেই করে থাকি। সুবহানাল্লাহ! তখন ইহুদীটি পালি বাকি অংশ পড়ুন...
‘হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা মুবারকের কোন মেছাল নেই। উনারা মহাসম্মানিত মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! উনারা কারো মতো নন। এই বিষয়টা সকলকে ফিকির করতে হবে। জিন-ইনসান বুঝতে না পারার কারণে মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান-মান প্রকাশ করতে পারেনি। উনাদের শান-মানের খিলাফ অনেকে বক্তব্য পেশ করেছে। নাউযুবিল্লাহ! যে বিষয়গুলো কাট্টা কুফরী, ঈমানহারা হওয়ার কারণ, জাহান্নামী হওয়ার কারণ। নাউযুবিল্লাহ!
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক য বাকি অংশ পড়ুন...
‘আত-তাক্বলীদু গাইরুশ্ শারয়ী তথা শরীয়ত বহির্ভূত অনুসরণ’ এর আলোচনা ও হুকুম:
التقليد غير الشرعى আত-তাকলীদু গাইরুশ্ শারয়ী তথা সম্মানিত শরীয়ত বহির্ভূত অনুসরণ: পবিত্র কুরআন মাজীদ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস উনাদের দলীল-আদিল্লাহ উনাদের বিপরীতে নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো শয়তান ও তাগুতী যাবতীয় বাতিল মত-পথ মেনে চলাকে ‘আত-তাকলীদু গাইরুশ শারয়ী তথা শরীয়ত বহির্ভূত অনুসরণ’ বলে। একে ‘তাকলীদুন নফ্স’ ও ‘তাকলীদুল হাওয়া’ তথা প্রবৃত্তির অনুসরণও বলা হয়ে থাকে।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবী বাকি অংশ পড়ুন...
তিন ভাবে দু‘আ কবুল করা হয়:
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي سَعِيدٍ رضي الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَدْعُو بِدَعْوَةٍ لَيْسَ فِيهَا إِثْمٌ، وَلَا قَطِيعَةُ رَحِمٍ، إِلَّا أَعْطَاهُ اللهُ بِهَا إِحْدَى ثَلَاثٍ إِمَّا أَنْ يعَجَّلَ لَهُ دَعْوَتُهُ، وَإِمَّا أَنْ يَدَّخِرَهَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ، وَإِمَّا أَنْ يَصْرِفَ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَهَا قَالُوا إِذنْ نُكْثِرُ، قَالَ اللهُ أَكْثَرُ
অর্থ: “হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার ১৬ খানা পবিত্র আয়াত শরীফ এবং আরো কয়েকখানা পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মাধ্যমে। আরো ৭ খানা পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সৃষ্টির কারো মতো নন। এ বিষয়গুলো মুখস্থ করা ফরযে আইন।
উম্মতের জন্য ও মুসলমানদের জন্য আফসূস! তারা কিন্তু হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান মুবারক বুঝতে পারে নাই। নাউযুবিল্লাহ! যার জন্য দেখা যায় সমস্ত কিতাবের মধ্যে, যে কিতাবেই হোক, সর্বশেষে উনাদের সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বর্ণনা করা হয়েছে। নাউয বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিচ্ছেন-
إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلاً مَّعْرُوفًا.
“যদি আপনারা মুত্তাক্বী হয়ে থাকেন তাহলে মানুষের সাথে কথা বলার সময় নরম স্বরে কথা বলবেন না। (যার জন্য হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা যখন কারো সাথে কথা বলতেন কোন প্রয়োজনে, উনারা হাত মুবারক জবান মুবারকে রেখে কথা বলতেন যেন স্বরটা স্পষ্ট বুঝা না যায়। এভাবে উনারা কথা মুবারক বলতেন। ) যাদের অন্তরে গালিজ রয়ে গেছে (তারা চু-চেরা করতে পারে। তারা নানাভাবে লালায়িত হতে পারে। ) বর বাকি অংশ পড়ুন...












