নাম মুবারক ও বংশ পরিচয়:
ইসলামি জাহানের এক অভিনব জ্ঞানসমুদ্রের নাম-আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি। মূল নাম- আবদুর রহমান, আবদুল্লাহ। উপনাম- আবুল ফদ্বল এবং উপাধি- জালালুদ্দীন। তিনি হিজরী দশম শতাব্দীর মহান মুজাদ্দিদ। তিনি ছিলেন হাফিজুল হাদীছ। তিনি আরব-অনারবে শাইখুল ইসলাম বলেও সমাধিত মূল্যায়িত।
উনার বংশীয় ধারা- আবদুর রহমান ইবনু আবু বকর কামাল উদ্দিন ইবনু নাসির উদ্দিন মুহাম্মদ ইবনু আবু বকর সাবেকুদ্দিন ইবনু ফখর ইবনু উসমান ইবনু নাযিররুদ্দিন মুহাম্মদ ইবনু সাইফুদ্দিন খাদ্বর ইবনু নজমুদ্দিন আবুস সালাহ আইয়ুব ইবনু বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে উম্মতের জন্য আক্বীক্বাহ্ করা যায়েজ হওয়ার দলীল
১ম দলীল
১০ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ আল্লামা হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
قُـلْتُ وَقَدْ ظَهَرَ لِـىْ تَـخْرِيْـجُهٗ عَلـٰى اَصْلٍ اٰخَرَ وَهُوَ مَا اَخْرَجَهٗ حَضْرَتْ اَلْـبَـيْـهَقِىُّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَقَّ عَنْ نَّـفْسِهٖ بَـعْدَ الـنُّـبُـوَّةِ مَعَ اَنَّهٗ قَدْ وُرِدَ اَنَّ جَدَّهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَقَّ عَنْهُ فِـىْ سَابِعِ وِلَادَتِهٖ وَالْعَقِيْـقَ বাকি অংশ পড়ুন...
মহিলা আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিন্না উনাদের সম্পর্কে আলোচনা আসলে মানুষ দু’একজনের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু এই আখিরী যামানাতেও এমন অনেক মহান ব্যক্তিত্বা রয়েছেন, উনাদের সম্পর্কে খুব কম মানুষের অবগতি রয়েছে। হ্যাঁ, তবে খুব কম সংখ্যক লোক উনাদের সম্পর্কে জানলেও উনাদের হাক্বীক্বত সম্পর্কে অবহিত মানুষের সংখ্যা খুবই নগণ্য। আর এমনি একজন মহান ওলীআল্লাহ সম্পর্কে এই পর্যালোচনা।
রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মুুর্শিদ ক্বিবলা মুজাদ্দিদে আযম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ক্বিবলায়ে ক্বুলূব। সা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য যে আমলে লাভ হয়; সে আমল হচ্ছে, হুসনুল খুলুক বা সৎ চরিত্রতা। এই আমলই সেই নৈকট্য ও সন্তুষ্টি হাছিলের শ্রেষ্ঠতম উপায় বা মাধ্যম।
একবার এক ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট হাজির হয়ে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে কিছু উপদেশ দান করুন। তিনি ঐ ব্যক্তিকে বললেন, আপনি যখন যেখানেই অবস্থান করুন না কেন মহান আল্লাহ পাক উনাক বাকি অংশ পড়ুন...
কেউ যদি কুফরী করে, তার জিন্দেগীর সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যায়। কিন্তু আবূ লাহাব যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছে, সে হাজার কুফরী করার পরও তার এই আমলটি বরবাদ হয়নি। সে জাহান্নামী হওয়া সত্তে¡ও প্রতি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) সপ্তাহে ১ দিন তাকে আযাব থেকে রুখছত দেয়া হয় এবং তার শাহাদাত ও বৃদ্ধ আঙ্গুলের মাঝখান থেকে ঠান্ডা শীতল পানি প্রবাহিত হয়, সেটা সে পান করে। ফলে তার ১ সপ্তাহের আযাব তার শরীর থেকে দূর হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! সে সেদিন শান্তিতে থাকে। তাহলে একজ বাকি অংশ পড়ুন...
বিদয়াতের প্রকারভেদ
হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা পবিত্র শরীয়ত উনার হুকুম অনুযায়ী বিদয়াতকে প্রথমতঃ দু’ভাগে বিভক্ত করেছেন-
১. বিদয়াতে ই’তিক্বাদী, অর্থাৎ আক্বীদা বা বিশ্বাসগত বিদয়াত। ২. বিদয়াতে আ’মালী, অর্থাৎ কর্মগত বিদয়াত।
(১) বিদয়াতে ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত বিদয়াত হলো- যে সমস্ত আক্বীদা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মূলনীতির বহির্ভূত। মূলতঃ এ আক্বীদাগত বিদয়াতের সবই হারামের পর্যায়ভুক্ত এবং অবশ্যই পরিত্যাজ্য। যেমন- খারিজী, মু’তাযিলা, জাবারিয়া, ক্বদরিয়া, শিয়া ইত্যাদি বাতিল ফিরক্বার আবির্ভ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য যে আমলে লাভ হয়; সে আমল হচ্ছে, হুসনুল খুলুক বা সৎ চরিত্রতা। এই আমলই সেই নৈকট্য ও সন্তুষ্টি হাছিলের শ্রেষ্ঠতম উপায় বা মাধ্যম।
একবার এক ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট হাজির হয়ে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে কিছু উপদেশ দান করুন। তিনি ঐ ব্যক্তিকে বললেন, আপনি যখন যেখানেই অবস্থান করুন না কেন মহান আল্লাহ পাক উনাকে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে এসেছে,
عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذٍ رَضِىَ اللّٰهُ تَـعَالٰـى عَنْهُ عَنْ أَبِيْهِ، أَنَّ النَّبِـيَّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ كَظَمَ غَيْظًا وَهُوَ يَـقْدِرُ عَلٰى أَنْ يُـنَـفِّذَهٗ دَعَاهُ اللّٰهُ عَلٰى رُءُوْسِ الْـخَلَائِقِ يَـوْمَ الْقِيَامَةِ حَتّٰـى يـُخَيِّـرَهٗ فِـىْ اَىِّ الْـحُوْرِ شَاءَ. (رواه الترمذي وابو داود)
হযরত সাহল ইবনে মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি ক্রোধ সংবরণ করে এবং সে রাগ বাস্তবায়ন করারও ক্ষমতা রাখে; মহান আল্লাহ পাক বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
إِنَّ اللّٰهَ مَعَ الصَّابِرِيْنَ ﴿৪৬﴾ سورة الأنفال
নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ধৈর্যধারণকারী উনাদের সাথে রয়েছেন। [সূরা আনফাল শরীফ: ৪৬]
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
إِنَّـمَا يُـوَفَّـى الصَّابِرُوْنَ أَجْرَهُمْ بِغَـيْـرِ حِسَابٍ ﴿১০﴾ سورة الزمر
নিশ্চয়ই ছবরকারীগণকে উনাদের প্রতিদান বেহিসাবে প্রদান করা হবে। [সূরা যুমার শরীফ: ১০]
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِـيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَلْمُسْلِمُ الَّذِيْ يـُخَالِطُ النَّاسَ وَيَصْبِـرُ عَلٰى أَذَاهُمْ أَفْضَلُ مِنَ الَّذِيْ لَا يـُخَالِطُهُمْ وَلَا বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশের পর)
যার চরিত্র উত্তম সে ব্যক্তিই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে প্রিয়। এজন্য প্রত্যেকের উচিত চরিত্রকে উত্তম করা।
পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
وَعَنْ أَبِـيْ ذَرٍّ رَضِىَ اللّٰهُ تَــعَالٰـى عَـنْهُ قَالَ قَالَ لِـىْ رَسُوْلُ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِتَّقِ اللّٰهَ حَـيْثُ مَا كُنْتَ وَ اتْبِعِ السَّـيِّــئَـةَ الْـحَسَنَةَ تَـمْحُهَا وَ خَالِقُ النَّاسَ بِـخُلُقٍ حَسَنٍ. (رواه احمد و الترمذى و الدارمى)
হযরত আবূ যর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীব বাকি অংশ পড়ুন...












