সাফাবী যুগের মৃন্ময়শিল্প দু’টি শ্রেণিতে বিন্যাস করা যেতে পারে। একটি শ্রেণিতে কেবলমাত্র সাফারী অলঙ্করণ বন্ধনীযুক্ত যা পা-ুলিপি-দ্যুতিকরণ, কম্বল ও বয়নশিল্পের অলঙ্করণরূপে আমাদের নিকট পরিচিতি লাভ করেছে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে মিং চীনা বাসনের অনুকরণে ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে ইরানীয় মৃৎশিল্পীগণ প্রকৃত মৃন্ময়পাত্রের।
উৎপাদনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন এবং এসব মৃৎপাত্র সাফারী শাসকগণ কর্তৃক বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। ইরানী স্টাইলের সাথে চৈনিক ডিজাইনকে একীভূত করে তৈরি প্রাথমিক পর্যায়ের দু’টি থালা মেট্রোপলিটান মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছ বাকি অংশ পড়ুন...
ইরানে মোঙ্গল যুগের সিরামিক্স শিল্প:
১২৫৮ খৃ: ইরান ও মেসোপটেমিয়া জয় করে মোঙ্গল-ইলখানগণ এই ভূ-ভাগে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। বাগদাদকে শীতকালীন নিবাস হিসেবে মনোনীত করে ইলখানি শাসকগণ তাবরিজ, মারাগা ও সুলতানিয়া প্রভৃতি নগরে তাদের প্রশাসনিক দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। এসব দরবারি কেন্দ্রে মেসোপটেমিয়া ও ইরানের বিভিন্ন স্থানের শিল্পীগণ আসতে থাকেন এবং সব কিসমের শিল্পের বিকাশে প্রভূত অবদান রাখেন। মৃন্ময়শিল্প ছিলো সেগুলোর অন্যতম।
প্রাথমিক পর্যায়ে ইলখানি মৃৎশিল্পীগণ মৃৎপাত্র ও দেয়াল টাইলসের অলঙ্করণে পূর্বের রীতি অনুসরণ করেছেন এবং তাতে বাকি অংশ পড়ুন...
নিশাপুরের অনেক ধরনের রঞ্জিত মৃৎপাত্র সমরকন্দেও প্রচলিত আছে। লিপিমালাসহ সাদা-কালো রঙে চিত্রিত মৃৎপাত্র এই দুই প্রদেশে তৈরি করা হয়ে থাকে যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া নিশাপুর ও সমরকন্দে এমন এক জাতীয় মৃৎপাত্র ব্যবহৃত হয়ে থাকে যার অলঙ্করণ প্রক্রিয়ায় শুভ্র পটভূমির ওপর পিঙ্গল বর্ণের, জলপাই-সবুজ এবং ইট-লাল রঙের ব্যবহার করে পাত্রের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।
নিশাপুর ও সমরকন্দে প্রাপ্ত মৃন্ময়পাত্রের অলঙ্করণের ক্ষেত্রে আর একটি অভিনবত্ব হলো যে, বিভিন্ন রঙের যেমন হলদে, পীত অথবা ইট-লাল রঙের পটভূমিতে সরু রঞ্জিত সলাকায় অলঙ্করণ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-
وَمَا آَتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
অর্থ: আমার যিনি সম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের জন্য যা কিছু নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ করো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, তা থেকে বিরত থাকো এবং এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা। (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ০৭)
মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত তাক্বওয়ার পোশাক পরিধান করার ব্যাপারে তাকিদ দিয়ে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
يَا بَنِي বাকি অংশ পড়ুন...
৯১ হিজরীর (৭৬ শামসী, ৭০৯ খ্রিস্টাব্দ) পরে মুসলমানগণ স্পেনে প্রবেশ করেন এবং তারা কর্ডোভা এবং অন্যান্য শহরগুলিতে একটি উন্নত সভ্যতা গড়ে তোলেন। স্পেনের ইসলামী সভ্যতা ইরাক, সিরিয়া এবং মিশরের মত শিক্ষাব্যবস্থার সংস্থান করেছিলেন। তেমনটি হয়েছিলো কর্ডোভায় যেমন বাগদাদ, দামেস্ক এবং কায়রোতে ছিলো। খলীফারা বই এবং লাইব্রেরির প্রতি আগ্রহী ছিলেন। চতুর্থ হিজরী শতকে স্পেনে আরবদের সত্তরটির কম গ্রন্থাগার ছিলো না, যা সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।
স্পেনের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থাগার (সম্ভবত সেই সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম), কর্ডোভা বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
বিরল এক সৌরজগতের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিদেরা। যেখানে অরবিটাল রেসোনেন্স নামের এক বিশেষ পরিস্থিতির কারণে বিরল এক জ্যামিতিক সজ্জায় একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে ছয়টি গ্রহ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, পৃথিবী থেকে ১০০ আলোকবর্ষ দূরে এই সৌরজগতের অবস্থান। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘এইচডি১১০০৬৭’। ওই সৌরজগতে অনুসন্ধান চালাতে ব্যবহার করা হয়েছে নাসার ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (টিইএসএস) ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার ক্যারেক্টারাইজিং এক্সোপ্ল্যানেট স্যাটেলাইট (সিএইচইওপিএস)।
ওই গ্রহগ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
মূল ছবিটা ছিল বাংলাদেশের পটুয়াখালী শহরের ঝাউতলা এলাকার। আর ভারতের জম্মু ও কাশ্মির প্রশাসন সেটাকেই কিনা দাবি করে বসলো শ্রীনগরের বুলেভার্ড রোড বলে।
এই মারাত্মক ভুলটা ধরা পড়ার পর তড়িঘড়ি সব পোস্ট ডিলিট করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু শ্রীনগরে যখন জি-টোয়েন্টির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছে তখন এই ছবি-বিভ্রাটকে ঘিরে প্রবল অস্বস্তি কিন্তু এড়ানো যাচ্ছে না!
বিপত্তির সূত্রপাত গত ১৮ মে, বৃহস্পতিবার। সেদিন জম্মু ও কাশ্মিরের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগ তাদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি আলোকসজ্জিত রাস্তার ছবি টুইট করে লেখে, ‘শ্রীনগরে বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদের স্থাপত্য সজ্জাঃ
ওয়াজির খান চকের দিকে অবস্থিত খিলান লতাপাতার মটিফে সজ্জিত। মসজিদের নিচু গম্বুজগুলিতে লোদি যুগের শৈলী দেখা যায়।
মসজিদের প্রবেশপথঃ
মসজিদের প্রবেশপথে বৃহদাকার টাওয়ার রয়েছে। একটি বৃহদাকার গেইটদিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে হয়। গেটের দুই পাশে দুইটি ঝুলবারান্দা রয়েছে। গেটের উপর আরবিতে কালিমায়ে শাহাদাহ উৎকীর্ণ রয়েছে। গেটের পাশে থাকা প্যানেলে ক্যালিগ্রাফার মুহম্মদ আলি কর্তৃক উৎকীর্ণ পার্সিয়ান কবিতা রয়েছে। ছোট প্রবেশ পথদিয়ে মসজিদের বাজারে অবস্থিত অষ্টভুজাকার চেম্বারে যাওয়া যায়।
মসজিদের উঠানঃ
মসজিদের এ বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদের ইতিহাসঃ
শাহজাহানের শাসনামলে ১৬৩৪ বা ১৬৩৫ খৃ: মসজিদের নির্মাণ শুরু হয় এবং সাত বছর ধরে নির্মাণ কাজ চলে।
মসজিদ স্থাপত্যঃ
মসজিদটি একটি উচ্চ ভিত্তির উপর নির্মিত। এর মূল অংশটি ওয়াজির খান চকের দিকে উন্মুক্ত। মসজিদের বাইরের পরিসীমা হল ২৭৯ ফুট (৮৫ মি) দ্ধ ১৫৯ ফুট (৪৮ মি)। এর দীর্ঘ অংশটি শাহি গুজারগাহর সাথে সমান্তরাল। মসজিদটি চুনাপাথর সহযোগে ইট দ্বারা নির্মিত।
মসজিদের সাজ-সজ্জাঃ
মসজিদের প্রায় প্রতি আভ্যন্তরীণ অংশ সুসজ্জিত। বিভিন্ন অঞ্চলের সজ্জা শৈলীর ব্যবহারের কারণে ওয়াজির খান মসজিদ পরিচিত। শাহজাহানের যুগে লাহোরে নির্মি বাকি অংশ পড়ুন...
ওয়াজির খান মসজিদ পাকিস্তানের পাঞ্জাবের লাহোরে অবস্থিত একটি মুঘল আমলের মসজিদ। শাহজাহানের শাসনামলে ১৬৩৪ খৃ: এই মসজিদ নির্মাণ শুরু হয় এবং ১৬৪২ খৃ নির্মাণ শেষ হয়।
মুঘল যুগের মসজিদসমূহের মধ্যে এই মসজিদটি সবচেয়ে সুসজ্জিত হিসেবে স্বীকৃত। ওয়াজির খান মসজিদ টাইলসের কাশি-কারি নামক জটিল শিল্পকর্ম ও অভ্যন্তরের চমৎকার মুঘল ফ্রেসকোর জন্য পরিচিত।
মসজিদের স্থানঃ
ওয়াজির খান মসজিদ লাহোরের দেয়ালঘেরা শহরের ভেতরে শাহি গুজারগাহ সড়কের দক্ষিণে অবস্থিত। এই পথে মুঘল অভিজাতরা লাহোর দুর্গে যাতায়াত করতেন। মসজিদটি দিল্লি ফটকের ২৬০ মিটার পশ্চি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র দ্বীন ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা, যার মধ্যে পুরুষ-মহিলা উভয়ের জন্যই পবিত্র সুন্নতী লিবাস-পোশাকসহ মানব জীবনের সকল সমস্যার সুস্পষ্ট সমাধান দেয়া হয়েছে। অনেক আমল-ই মানুষ ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় করে থাকে। উক্ত আমল সমূহের মধ্যে কিছু আমল রয়েছে মূলতঃ পবিত্র সুন্নতী নেক-আমল মুবারক। কিন্তু পবিত্র সুন্নত মুবারক পালনের নিয়তে উক্ত আমলগুলি আদায় না করার কারণে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রিদ্বামন্দি-সন্তুষ্টি থেকেও বঞ্চিত হয়। ঐ সকল আমল মুবারক উনার মধ বাকি অংশ পড়ুন...
স্পেনের সেই হারিয়ে যাওয়া গৌরবময় সমৃদ্ধ অতীতকে পূণঃরুজ্জীবিত করতে এবং বর্তমান মুসলিম উম্মাহকে স্পেনের সেই সোনালী অতীতের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে মরক্কোর দ্বিতীয় হাসান কর্ডোভার সেই ঐতিহাসিক জামে মসজিদের আদলে এই মসজিদ নির্মাণ করেছেন। নক্শা এবং অবকাঠামোগত দিক থেকে শাসক দ্বিতীয় হাসান মসজিদ অবিকল স্পেনের কর্ডোভায় আব্দুল রহমান কর্তৃক নির্মিত (এৎবধঃ সড়ংলরফ ড়ভ পড়ৎফড়াধ) বা কর্ডোভা জামে মসজিদের অনুকরণ করা হয়েছে। দরজা-জানালার কারুকাজ, মিনারের কাঠামো ও নকশা, মিহরাবের আকৃতি ও কারুকাজ সব কিছুতেই কর্ডোভা জামে মসজিদের আদল ফুটিয়ে তো বাকি অংশ পড়ুন...












