মসজিদ সংস্কারের কাজঃ
মসজিদের কাজ শেষ হওয়ার দশ বছর পর কংক্রিটের দেয়ালে কাঠামোগত অবনতি পরিলক্ষিত হয়। এটি আটলান্টিক মহাসাগরের নোনা পানির সংস্পর্শে আসার কারণে হয়েছে বলে ব্যাখ্যা করা হয়, যার মধ্যে মসজিদের প্রায় অর্ধেক ভিত্তি প্রকল্প রয়েছে। লোনা পানি ছিদ্রযুক্ত কংক্রিটে স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে রিবার স্টিল রিইনফোর্সমেন্টে মরিচা পড়ে যার ফলে ইস্পাত প্রসারিত হয় এবং কংক্রিটে ফাটল ধরে। নোনা পানি ইস্পাতের দ- ছাড়িয়ে কাঠামোর মধ্যেও প্রবেশ করেছিল।
মসজিদের কার্যকরী সংস্কারের কাজ ২০০৫ খৃ: এপ্রিল মাসে শুরু হয়। এতে উচ্চ-মানের কংক্রিটের স বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদের মিনারঃ
শাসক দ্বিতীয় হাসান মসজিদের অন্যতম বিস্ময়, এর সুউচ্চ মিনার। যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ইসলামী স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত, দু'শ মিটার দীর্ঘ চারকোন বিশিষ্ট এই মিনার প্রস্থে দশ মিটার। অর্থাৎ প্রত্যেক দিকের বেড় দশ মিটার করে চতুস্কোনের বেড় চল্লিশ মিটার। কাসাব্লাংকা নগরীর যে কোন স্থান হতে এই মিনার দৃষ্টিগোচর হয়। এই মিনার চুড়ায় স্থাপিত বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী লেজার রশ্মির আলোকচ্ছটা কিবলা তথা পবিত্র কাবা শরীফের দিকে ত্রিশ কিলোমিটার পর্যন্ত আলো ছড়াতে সক্ষম। প্রতিদিন মাগরিব থেকে ফজর পর্যন্ত তা সক্রিয় থাকে, যাতে করে কাসাব্ল বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদের নকশাঃ
স্থাপনাটি ইসলামী স্থাপত্য এবং মরক্কীয় উপাদানগুলিকে মিশ্রিত করে এবং একটি শহুরে নকশার বৈশিষ্ট্যযুক্ত মুরীয় প্রভাবকে প্রতিফলিত করে। এটিতে অন্যান্য মরক্কীয় স্থাপনা যেমন রাবাতে অবস্থিত অসমাপ্ত মসজিদ এবং মারাক্কেশের কাউতুবিয়া মসজিদে পাওয়া উপাদানগুলি দেখা যায়। অন্যান্য উপাদান ট্যুর হাসান মসজিদ, এটি কুব্বাত আস-সাখরা, মদীনা শরীফ উনার বড় মসজিদ, তিউনিসিয়ার কাইরুয়ান মসজিদ, দামেস্কের বড় মসজিদ, কর্ডোবার বড় মসজিদ, মরক্কোর আল-কারাওইন মসজিদ, তলেমসেনের বড় মসজিদ এবং আলজিয়ার্গের বড় মসজিদ থেকে এসেছে। এর বিন্যাসটি ব্যাসিল বাকি অংশ পড়ুন...
স্পেনের সেই হারিয়ে যাওয়া গৌরবময় সমৃদ্ধ অতীতকে পূণঃরুজ্জীবিত করতে এবং বর্তমান মুসলিম উম্মাহকে স্পেনের সেই সোনালী অতীতের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে মরক্কোর দ্বিতীয় হাসান কর্ডোভার সেই ঐতিহাসিক জামে মসজিদের আদলে এই মসজিদ নির্মাণ করেছেন। নক্শা এবং অবকাঠামোগত দিক থেকে শাসক দ্বিতীয় হাসান মসজিদ অবিকল স্পেনের কর্ডোভায় আব্দুল রহমান কর্তৃক নির্মিত (এৎবধঃ সড়ংলরফ ড়ভ পড়ৎফড়াধ) বা কর্ডোভা জামে মসজিদের অনুকরণ করা হয়েছে। দরজা-জানালার কারুকাজ, মিনারের কাঠামো ও নকশা, মিহরাবের আকৃতি ও কারুকাজ সব কিছুতেই কর্ডোভা জামে মসজিদের আদল ফুটিয়ে তো বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদ হাসান নির্মানে জন্যে কাসাব্লাংকার যে স্থানটি নির্বাচন করা হয় বা আটলান্টিকের পাড় ঘেষে যে স্থানটিতে আজ আমরা মসজিদ দেখতে পাচ্ছি। সে স্থানটি আরো একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। জগৎ বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিক ও বিজ্ঞানী ইবনে রূশদ এর নামে একটি বিশাল ও অত্যাধুনিক লাইব্রেরী তৈরী করা হয়েছে। ফ্রেঞ্চ আরবী ও ইংরেজী ভাষায় দ্বীনী ও বিজ্ঞান বিষয়ক তিন লক্ষাধীক বই সমৃদ্ধ এই গ্রন্থাগার দিবা-রাত্রী চব্বিশ ঘন্টা ছাত্র শিক্ষক ও গবেষকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
মসজিদ নির্মাণের অর্থায়নঃ
নির্মাণ ব্যয় আনুমানিক প্রায় ৫৮৫ মিলিয়ন ইউরো যা মরক্কোর বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বিতীয় হাসান মসজিদ মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটি আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম সক্রিয় মসজিদ এবং বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম মসজিদ। এর ২১০ মিটার (৬৮৯ ফুট) উঁচু মিনারটি বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম মিনার।
অবস্থানগত দিক থেকে এই মসজিদ বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণী ও মনোমুগ্ধকর স্থানে অবস্থিত। আলান্টিক মহাসাগর ও ভূমধ্য সাগরের মিলিতস্থলের এমন একটি স্থানকে এই মসজিদ নির্মাণের জন্যে নির্বাচন করা হয়েছে, যেখানে উল্লেখিত উভয় সমুদ্রের উত্তাল পানিরাশি ও ঢেউ পরস্পরকে আলিঙ্গন করছে। এতএব স্থান নির্বাচনে যে বিচক্ষণতা ও সৌন্দর্যবোধে বাকি অংশ পড়ুন...












