স্মরণীয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম শরীফ উনার ভাষা বুঝা অত্যন্ত কঠিন ও সুক্ষ্ম। কারণ যখন পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ নাযিল হলো তখন পবিত্র কা’বা শরীফ উনার মধ্যে ‘পবিত্র সূরা কাউছার শরীফ’ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ.
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ. فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ. إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الأَبْتَرُ.
অর্থ : (যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক স্মরণ করে শুরু করছি যিনি পরম দয়ালু, করুণাময়।) “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার মুবারক হাদিয়া করেছি। অতএব আপনি আপনার মহান রব তায়ালা উনার সন্তুষ্টি মুবারক হা বাকি অংশ পড়ুন...
সাফফাহ (سَفَّاحٌ) শব্দ মুবারক উনার তাহক্বীক্ব বা শাব্দিক বিশ্লেষণ: সাফফাহ (سَفَّاحٌ) শব্দ মুবারকখানা ইসমে ফায়িল মুবালাগাহ। ইহা سفح মাদ্দাহ হতে নির্গত। মহান আল্লাহ পাক উনার (غَفَّارٌ) গফফার, (سَتَّارٌ) সাত্তার, (جَبَّارٌ) জাব্বার ইত্যাদি ছিফতী নাম মুবারক উনাদের ন্যায় এই (سَفَّاحٌ) সাফফাহ শব্দ মুবারকখানাও আধিক্যের অর্থ প্রদান করবে। অর্থাৎ (غَفَّارٌ) গফফার অর্থ যেমন সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমাশীল। যাঁর উপর আর কোনো ক্ষমাশীল নেই। তেমনিভাবে (سَفَّاحٌ) সাফফাহ অর্থ হচ্ছেন- সর্বশ্রেষ্ঠ মুুক্তিদানকারী। যাঁর উপর আর কোনো মুক্তিদানকারী নেই। অর্থাৎ তিনি হচ্ছেন মহান আল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি ছিলেন পারিবারিকভাবে অত্যন্ত উচ্চ বংশীয়। প্রাথমিক জীবনে তিনি একদিন একটি কাফেলার সাথে উনার নানার বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ‘ক্বায়েস গোত্র’ উনাদের কাফেলার সব কিছু ছিনিয়ে নিলো। এমনকি সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকেও নিয়ে গিয়ে গোলাম হিসেবে বিক্রি করে দিলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! তখন সাইয়্যিদুনা হযরত হাকিম ইবনে হায্ম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফুফু উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
অর্থ: হে মু’মিনগণ, তোমরা ঐসব পবিত্র-উত্তম বিষয়সমূহ হারাম করো না, যেগুলো মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের জন্য হালাল করেছেন এবং এ বিষয়ে সীমালঙ্গন করো না। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সীমালঙ্গনকারীদের পছন্দ করেন না। (পবিত্র সূরা মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৭)
বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ইসলামী সভ্যতায় হাসপাতাল বা বিমারিস্তান তৈরি মুসলমানদের অনন্য কীর্তি। স্থায়ী হাসপাতালের পাশাপাশি অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণেও মুসলমানরা নজীর সৃষ্টি করেছিলেন।
তবে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ সর্বপ্রথম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারকে খন্দকের যুদ্ধের সময় তৈরি করা হয়েছিলো। সেই বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতালের নাম ছিলো ‘খিমাতু রুফাইদা’। আজকের পৃথিবীর ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল ও চিকিৎসার ধারণাটি এখান থেকেই মানুষ নিয়েছে।
পরবর্তীতে হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম বাকি অংশ পড়ুন...
উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক হচ্ছেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা। কেননা উনারা সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন এবং উনাকে দেখে দেখে আমল মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর একারণেই উনাদেরকে বানানো হয়েছে সত্যের মাপকাঠি। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَإِنْ آمَنُوا بِمِثْلِ مَا اٰمَنتُم بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوا ۖ
অর্থ: “যদি তোমরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ন্যায় ঈমান আনতে পারো, তাহলে তো বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلشَّيْطَانُ جَاثِمٌ عَلٰى قَـلْبِ ابْنِ اٰدَمَ فَإِذَا ذَكَرَ اللهَ خَنَسَ وَإِذا غَفَلَ وَسْوَسَ
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, শয়তান মানুষের ক্বলবের মধ্যে বসে, যিকির করলে সে পালিয়ে যায় আর যিকির থেকে গাফিল হলে সে ওয়াসওয়াসা দেয়। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন-
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ سَبَبًا لِّقِرَائَتِهٖ لَايَـخْرُجُ مِنَ الدُّنْيَا اِلَّا بِالْاِيْـمَانِ وَيَدْخُلُ الْـجَنَّةَ بِغَيْـرِ حِسَابٍ
অর্থ: যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, মর্যাদা দিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে মহাসম্মানিত মীলাদ শরীফ অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজাম মুবারক করবেন, তিনি অবশ্যই সম্মানিত ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবেন এবং বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَلَاٰمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللهِ وَمَنْ يَّتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّنْ دُوْنِ اللهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِيْنًا
অর্থ: (ইবলিস শয়তানের অঙ্গীকার) আর আমি তাদের (মানুষদের) মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিকৃত আকৃতি পরিবর্তন বা বিকৃত করার আদেশ করবো। (মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন এ ব্যাপারে) যারা মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, তারা প্রকাশ্য ক্ষতিগ্রস্তের অন্তর্ভুক্ত।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ: ১১৯)
দাড়ি মু-ন করা আকৃতি-বিকৃতি করার নামান্তর। যা সম্মানিত শরীয়তে হারাম।
বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার (الإبل) বা উট মুবারক ছিলেন ৪টি। যথা-
(১) ‘ক্বাছওয়া’ (الْقَصْوَاءُ)। যাতে সাওয়ার হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের সফরে গমন করেন এবং পবিত্র বিদায় হজ্জের সময় পবিত্র আরাফার ময়দানে খুতবা মুবারক দেন। (বুখারী শরীফ, হাদীছ শরীফ নং ৪৪০০; তিরমিযী শরীফ, হাদীছ শরীফ নং ৩৭৮৬)
(২) ‘আযবা’ (الْعَضْبَاءُ) ও (৩) ‘জাদ‘আ’ (الْجَدْعَاءُ) নামে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আরও দু’টি উষ্ট বাকি অংশ পড়ুন...












