আরশে ইস্তাওয়া হওয়া:
২। মহান আল্লাহ পাক উনার ছিফতসমূহ থেকে আরো একটি ছিফত হচ্ছে- ‘মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র আরশে ইস্তাওয়া হওয়া। পবিত্র আরশে ইস্তাওয়া হওয়ার বিষয়টি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে। এক্ষেত্রে সে যুগের প্রকৃত সালাফীদের আক্বীদা ছিলো-
الاستواء معلوم والكيف مجهول والايمان به واجب
অর্থাৎ, “আরশে ইস্তাওয়া হওয়া তো নসুসের মধ্যে উল্লেখ আছে, যা সকলেরই জানা-শোনা। কিন্তু ইস্তাওয়া হওয়ার পদ্ধতি কারও জানা নেই। তবে এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যেরূপ বলা হয়েছে, সেভাবে ঈমান আনা ওয়াজিব। ” এই ছিলো ইস্তাওয়া সম্পর্কে উলামায়ে সাল বাকি অংশ পড়ুন...
যাঁরা একখানা সুন্নত মুবারক জিন্দা করবে, তারা জান্নাত লাভ করবে:
এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَحْيَا سُنَّتِـىْ فَقَدْ اَحْيَانِـىْ وَمَنْ اَحْيَانِـىْ فَهُوَ فِـى الْـجَنَّةِ.
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার একখানা পবিত্র সুন্নত মুবারক জিন্দা করলো, সে ব্যক্তি মূলত আমাকেই জিন্দা করলো। সুবহানাল্লাহ! আর বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: অষ্টম শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ের ১১৮ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অসাধারণ দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় আল কুরআনের সর্বজনীন গণতান্ত্রিক নীতি অনুসরণ করেন। ... দেশ পরিচালনায় জনগণের মতামতের স্বীকৃতি দেন। যা গণতন্ত্রের মূল কথা। ” নাউযুবিল্লাহ! এ লেখাটি কতটুকু শরীয়তসম্মত?
সুওয়ালে উল্লেখিত লেখা থেকে যেসব প্রশ্ন উত্থাপিত হয় তা হচ্ছে-
১. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُوْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ حَدَّثَتْهُ اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَـمْ يَكُنْ يَتْرُكُ فِىْ بَيْتِهِ شَيْئَا فِيْهِ تَصَالِيْبُ اِلَّا نَقَضَهُ
অর্থ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বীয় পবিত্র হুজরা শরীফ-এ (প্রাণীর) ছবিযুক্ত কোনো জিনিসই রাখতেন না। দেখলেই ভেঙ্গে চূর্ণ করে দিতেন। (বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বা বাকি অংশ পড়ুন...
যেমন অহঙ্কারীর সবচেয়ে বড় মেছাল হলো ইবলিস। ইবলিস বলেছিল, আমি উনার থেকে উত্তম। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন-
وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ
“হে ফেরেশতারা! তোমরা হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সিজ্দা করো ইবলিসসহ। ইবলিস বলেছিল যে, আমি কেন সিজদা করব?
أَنَا خَيْرٌ مِّنْهُ
আমি তো হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার হতে শ্রেষ্ঠ। ’ ইবলিস পুনরায় বলল-
خَلَقْتَنِي مِنْ نَّارٍ وَخَلَقْتَهٗ مِنْ طِينٍ
হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে তৈরী করেছেন মাটি দিয়ে আর আমাকে তৈরী করেছেন আগুন দিয়ে। কাজেই মাটি নীচে থাকে আর আগুন উপরে থাকে। মুতাকাব্বের হল ইবলিস, তার আমলগুলো নষ্ট হয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
সর্বজনমান্য ও নির্ভরযোগ্য বহু ইমাম-মুজতাহিদ এবং আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কর্তৃক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক উনাকে ‘ঈদ, ঈদে আকবর ও ঈদে আ’যম’ হিসেবে গ্রহণ করার দলীল:
(১৩) বিশিষ্ট বুযূর্গ, মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবূব ওলী, আল্লামা হযরত ইমাম আবূ মাদইয়ান শুয়াইব ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ হুরাইফীশ রহমতুল্লাহি আলাইহি (পবিত্র বিছাল শরীফ ৮১০ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
فَيَجِبُ عَلٰى اُمَّتِهِ ا বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৪র্থ বৎসর মুবারক:
* নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুতাবেক কায়িনাতবাসী সবাইকে মহাসম্মানিত তা’লীম মুবারক দান করার জন্য উনার মহাসম্মানিত দুধ ভাই-বোন উনাদের সাথে চারণভূমিতে বকরি চরানো দেখতে যেতেন এবং অত্যন্ত এতমিনানের সাথে চরানো দেখতেন। সুবানাল্লাহ!
* প্রথমবারের মতো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইল্ম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক) চাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক প্রকাশিত হন। সুবহানাল্লাহ! তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত বাকি অংশ পড়ুন...
৩৪ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সীনা মুবারক نُوْرُ الْعِلْمِ مُبَارَكٌ নূরুল ইল্ম মুবারক
৩৫ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিঠ মুবারক نُوْرُ الْاَطْهَرِ مُبَارَكٌ নূরুল আত্বহার মুবারক
৩৬ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘাড় মুবারক نُوْرُ النُّبُوَّةِ مُبَارَكٌ নূরুন নুবুওওয়াহ্ মুবারক
বাকি অংশ পড়ুন...
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে-
عن حضرت بهذ بن حكيم عن ابيه عن جده رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من استقبل العلماء فقد استقبلنى ومن زار العلماء فقد زارنى ومن جالس العماء فقد جالسنى ومن جالسنى فكانما جالس ربى وفى رواية اخرى من زار عالما فكانما زارنى ومن زارنى فكانما زار الله ومن زار الله فقد غفر له.
অর্থ: “হযরত বাহয ইবনে হাকীম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার পিতা থেকে, উনার পিতা উনার দাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি উলা বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
فَاِنْ اٰمَنُوْا بِـمِثْلِ مَا اٰمَنْتُمْ بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوْا.
অর্থাৎ আপনারা অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেরূপ ঈমান মুবারক এনেছেন তদ্রƒপ যদি তারা (অন্য লোকেরা) ঈমান মুবারক গ্রহণ করতে পারে তাহলে তারা হিদায়েত মুবারক লাভ করতে পারবে। (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ : আয়াত শরীফ ১৩৭)
এ লিখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনা বাকি অংশ পড়ুন...
قُلْ إِن كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَآؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّى يَأْتِيَ اللّهُ بِأَمْرِهِ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ [التوبة: ২৪].
অর্থ : (আয় মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, তোমাদের নিকট যদি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পথে জিহাদ করার চেয়ে বেশি প্রিয় হয় তোমাদের পিতৃবর্গ, তোমাদের সন্তানরা, তোমাদের ভ্রাতাগণ, তোমাদের আহলি বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- يَا جَابِرُ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اِنَّ اللهَ تَعَالـٰى قَدْ خَلَقَ قَبْلَ الْاَشْيَاءِ نُوْرَ نَبِيِّكَ مِنْ نُّوْرِهٖ فَجَعَلَ ذٰلِكَ النُّوْرُ يَدُوْرُ بِالْقُدْرَةِ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَعَالـٰى অর্র্থ: “হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কিছুর পূর্বে সর্বপ্রথম আপনার যিনি মহাসম্মানিত নবী ও রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে তাশরীফ মুবারক নেয়ার ব্যবস্থা বাকি অংশ পড়ুন...












