রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘তোমরা নেকী ও পরহেযগারীতে সহায়তা করো। ’ আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ও বাকি অংশ পড়ুন...
পানি সম্পর্কিত মাসায়িল
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৭. যে পানির মধ্যে কোনো পাক জিনিস পড়ায় তার রং, গন্ধ বা স্বাদ পরিবর্তন হয়ে গেছে, কিন্তু ওই জিনিস ওই পানিতে রান্না করা হয়নি, আর পানির তরলতা দূর হয়ে গাঢ়ও হয়ে যায়নি।
যেমন- বর্ষাকালে নদীর পানির সাথে বালু মিশ্রিত হয়ে থাকে বা পানির মধ্যে জাফরান পড়ে সামান্য কিছু রঙ্গিন হয়ে গেছে কিংবা সাবান বা অনুরূপ কোনো জিনিস পড়েছে। এসব পানির দ্বারা অজু-গোসল জায়িয হবে না।
৮. যদি কোনো জিনিস পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করায় পানির রং, গন্ধ বা স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যায়, তবে সে পানি দ্বারা অজু-গোসল জায়িয হবে না। যদি এমন কোনো জিন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مُرْسَلًا قَالَ بَلَغَنِى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَعَنَ اللهُ النَّاظِرَ وَالْمَنْظُورَ إِلَيْهِ
অর্থ: হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট এই পবিত্র হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, যে দেখে এবং দেখায় তার প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। ” (বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম পাক এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পব বাকি অংশ পড়ুন...
ওয়াজ মাহফিগুলো হলো দর্স, তাদরীস, তা’লীম তালকীনের মাহফিল। এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَى تَنْفَعُ الْمُؤْمِنِينَ
“আয় আমার মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি নছীহত মুবারক করুন, নিশ্চয়ই আপনার নছীহত মুবারকগুলো মু’মিনদের জন্য ফায়দাজনক। ”
আর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
১. প্রতি দমে দুটি ঈদ ও দুটি ঈদে আকবর হওয়ার দলীল:
বিশ্বখ্যাত মুফাসসির আল্লামা হযরত ইসমাঈল হাক্কী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ১১২৭ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে রূহুল বয়ান’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন-
عاشقان در دمے دو عيد كنند
(বাংলা উচ্চারণ: আশেক্বানে দর দমে দো ঈদ কুনান্দ। )
অর্থ: “আশেক্বীন উনাদের প্রত্যেকটা শ্বাস-প্রশ্বাসেই দুটি ঈদ হয়। ” সুবহানাল্লাহ! (রূহুল বয়ান ৬/৪৭১)
অন্যভাবে বলা হয়ে থাকে যে,
عارفان هر دمے دو عید کنند
(বাংলা উচ্চারণ: আরেফানে হর দমে দো ঈদ কুনান্দ। )
অর্থ: “সম্মানিত আর বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাইলাতুর রগাইব শরীফ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত:
৮ম মাস- সম্মানিত ও পবিত্র ছফর শরীফ:
এই সম্মানিত ও পবিত্র মাসে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি এসে বলেন,
اَبْشِرِىْ يَا سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اٰمِنَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَقَدْ حَمَلْتِ بِمَنْ يَّنْزِلُ عَلَيْهِ الْقُرْاٰنُ
অর্থ: “হে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি মহাসম্মানিত সুসংবাদ মুবারক গ্রহ বাকি অংশ পড়ুন...
৭ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রূহ্ মুবারক نُوْرُ الْاَمْرِ مُبَارَكٌ নূরুল আম্র মুবারক
৮ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চেহারা মুবারক نُوْرُ الرَّحْمَةِ مُبَارَكٌ নূরুর রহ্মাত মুবারক
৯ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ভ্রু মুবারক نُوْرُ التَّنْوِيْرِ مُبَارَكٌ নূরুত তানউইর মুবারক
বাকি অংশ পড়ুন...
সমাজ থেকে সকল অবিচার, অনাচার, অপরাধ দূর করে মুসলমানদের মধ্যে নৈতিকতার প্রচার প্রসারের জন্যই সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার সময়ে তৈরী করা হয়েছিলো একটি বিচারিক ব্যবস্থা। যার নাম হলো ‘আল হিসবাহ’। আল হিসবাহ’র দায়িত্বশীলগণকে বলা হতো মুহতাসিব।
মুহতাসিবদের দায়িত্বে একাগ্রতা নিয়ে আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থে ইমাম ইবনে কাছির রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। একবার আবুল হুসাইন নূরী নামক এক ব্যক্তি একটি নৌযানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলেন, তাতে শরাব বোঝাই করা অনেকগুলো মাটির পাত্র। নাবিককে জিজ্ঞাসা করলেন, এগুলো কি? এ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِيْنَ آمَنُوا الْيَهُوْدَ وَالَّذِيْنَ أَشْرَكُوْا
অর্থ: (হে আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি অবশ্যই ঈমানদারদের জন্য মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবেন ইহুদী ও মূর্তিপূজারী মুশরিকদেরকে। (পবিত্র সূরা মায়িদা: আয়াত শরীফ ৮২)
বাকি অংশ পড়ুন...
শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিষ্টীয় ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ থেকে মুখ ঢেকে পর্দা করা ফরয হওয়ার দলীল:
(২২)
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ ابْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ مِنَ الْخُيَلَاءِ لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ- قَالَتْ حَضْرَت اُمّ الْمؤْمِنِيْنَ سَيِّدَتُنَا السّادِسَة عَلَيْهَا السَّلَام يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ تَصْنَعُ النِّسَاءُ بِذُيُولِهِنَّ؟ قَالَ تُرْخِينَهُ شِبْرًا. قَالَتْ إِذًا تَنْكَشِفَ أَقْدَامُهُنَّ؟ قَالَ تُرْخِينَهُ ذِرَاعًا لَا تَزِدْنَ عَلَيْهِ-
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়া’লা আনহু উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, মহা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنَّهُ نَـهَي النِّسَاءَ عَنِ الْـخُرُوْجِ اِلَـى الْـمَسَاجِدِ فَشَكَوْنَ اِلٰى اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَقَالَتْ اُمُّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةُ الصِّدِّيْقَةُ عَائِشَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ لَوْ عَلِمَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا عَلِمَ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَا اَذِنَ لَكُمْ فِي الْـخُرُوْجِ.
অর্থ: আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহিলাদেরকে বাইরে বের হয়ে মসজিদে আসতে নিষেধ করেন। অতঃপর মহিলা উনারা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহা বাকি অংশ পড়ুন...












