(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
এখানে “উলিল আমর” বলতে ইমাম, মুজতাহিদ ও আউলিয়া-ই-কিরামগণকেই বুঝানো হয়েছে। সুতরাং “উলিল আমর” যেমন ক্বিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে থাকবেন, তদ্রুপ ইজতিহাদের দরজাও ক্বিয়ামত পর্যন্ত খোলা থাকবে। আর ইজমা ক্বিয়াস এ ইজতিহাদেরই অন্তর্ভুক্ত।
অতএব, পৃথিবীতে ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত নতুন সমস্যারই উদ্ভব হোক না কেন, তার ফায়সালা অবশ্যই পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে করতে হবে।
এ অবস্থার প্রেক্ষিতে আমাদের বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে “রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, ইনহেলার, স বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّـمَا النَّسِىءُ زِيَادَةٌ فِي الْكُفْرِ ۖ
অর্থ : নিশ্চয়ই সময়কে (মাসকে) আগ-পিছ করা কুফরীকে বৃদ্ধি করে দেয়। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৭)
নাসী বলা হয় চাঁদ অনুযায়ী মাস গণনা না করে তারিখ আগ-পিছ করাকে। যা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে সুস্পষ্ট কুফরী বলা হয়েছে। শুধু কুফরীই নয়, বরং তা কুফরীর বৃদ্ধিসাধন করে। নাঊযুবিল্লাহ! কেননা, চাঁদ যে দিন দৃশ্যমান হলো সেদিন থেকে তারিখ গণনা না করে যদি তার পর থেকে বা পূর্ব থেকে গণনা করা হয় তবে ওই মাসের চাঁদের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল আমল নির্দিষ বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বাদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত শাহ ওলীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন,
اَخْـبَـرَنِـىْ سَيِّدِىَ الْوَالِدُ قَالَ كُـنْتُ اَصْنَعُ فِـىْ اَيَّامِ الْـمَوْلِدِ طَعَامًا صِلَةً بِالنَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَفْتَحْ لِـىْ سَنَةً مِّنَ السِّنِـيْـنَ شَىْءٌ اَصْنَعُ بِهٖ طَعَامًا فَلَمْ اَجِدْ اِلَّا حِـمَّصًا مَقْلِـيًّا فَقَسَمْتُهٗ بَـيْـنَ النَّاسِ فَرَاَيْـتُـهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وبَـيْـنَ يَدَيْهِ هٰذِهِ الْـحِمَّصُ مُـبْـتَهِجًا بَشَّاشًا
অর্থ: “আমার সম্মানিত পিতা (হযরত আব্দুর রহীম মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি) আমাকে বলেছেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হু বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাক্বওয়া মুবারক উনার উপর মশা-মাছি বসতো না:
আল্লামা হযরত ইমাম হালাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
اِنَّ الذُّبَابَ لَا يَقَعُ عَلٰى ثِيَابِهٖ فَضْلًا عَنْ جَسَدِهِ الشَّرِيْفِ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক) উনার সম্মানার্থে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাক্বওয়া মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লিবাস মুবারক) উনার উপর মশা-মাছি বসতো না।” সুবহানাল্লাহ! (আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্ বাকি অংশ পড়ুন...
‘সিরাতুল মুস্তাক্বীম কি? উনার পরিচিতি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে বলি।
সিরাতুল মুস্তাক্বীম হচ্ছেন মুসলমান উনাদের তৈরী একটি আন্তর্জাতিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম। যেটাকে প্রচলিত ভাষায় ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম’ বা সোশ্যাল মিডিয়া বলা হয়।
‘সিরাতুল মুস্তাক্বীম’ নামকরণ প্রসঙ্গে-
আন্তর্জাতিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম ‘সিরাতুল মুস্তাক্বীম’ এই নামকরণ করেছেন যিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছহিবায়ে নেয়ামত, রহমতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনী বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উপর আমল:
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষা ও সংগ্রহ করেই ক্ষান্ত হননি, বরং বাস্তব জীবনে পালনের মাধ্যমেও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুকাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘আমি কোনো আলিমের কাছে যখনই বসেছি, অতঃপর বাড়িতে ফিরে সেসব শ্রুত পবিত্র হাদীছ শরীফ মুখস্থ করে ঐ পবিত্র হাদীছ শরীফগুলোর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত বা আমল না করা পর্যন্ত পুনরায় ঐ আলিমের বাকি অংশ পড়ুন...
বইটির নাম- দ্য ল রিলেটিং টু পর্দানশীন ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া (সিভিল এন্ড ক্রিমিনাল)
লেখক- জে এন মুখার্জী (অ্যাডভোকেট, কলকাতা হাইকোর্ট) এবং এন এন মুখার্জী।
বইটি ১৯০৬ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়।
বইটি বলে দেয়, ব্রিটিশরা বিধর্মী হওয়ার পরেও এ অঞ্চলের মুসলিম নারীদের পর্দা করার অধিকার কেড়ে নেয়নি। অর্থাৎ ব্রিটিশ উপনিবেশকালেও এ অঞ্চলের মুসলিম নারীদের পর্দা করার অধিকার সংরক্ষিত ছিলো। সিভিল বা ক্রিমিনাল প্রতিটি আইনেই মুসলিম পর্দানশীন নারীদের ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ করে আলাদা সুযোগ সুবিধা দেয়া ছিলো।
কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়, আজ বাংলাদে বাকি অংশ পড়ুন...
আজওয়া খেজুর খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক এবং আজওয়া খেজুরের মধ্যে বেমেছাল উপকার ও কার্যকারিতা রয়েছে। মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আজওয়া খেজুরের কার্যকারিতা সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَصَبَّحَ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعَ تَمَرَاتٍ عَجْوَةً لَمْ يَضُرُّهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ سُمٌّ وَلاَ سِحْرٌ.
অর্থ: “হযরত ‘আমির ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ ম বাকি অংশ পড়ুন...
‘কমফোর্ট জোন’ বলতে কী বোঝায়? নিশ্চিন্ত থাকা, নাকি শান্তির যায়গা?
আসলে কমফোর্ট জোন মূলত একটি আচরণগত অবস্থা, যেখানকার পরিবেশ আমাদের পরিচিত; নির্দিষ্ট একটা গণ্ডি, যেখানে কাজ করতে আমরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি এবং ফলাফল অনেকটাই নিশ্চিত। অর্থাৎ কাজও আমাদের জানা, ফলাফলও জানা।
কমফোর্ট জোনের বাংলা অনুবাদ করলে হবে সুবিধাজনক স্থান বা স্বাচ্ছন্দ্যের গণ্ডি। মানুষমাত্রই এই গণ্ডির মধ্যে থাকতে ভালোবাসে। কারণ কমফোর্ট জোনের ভেতর থাকলে আমাদের মস্তিষ্ককে নতুন করে চিন্তা করতে হয় না। এতে আমাদের উপর চাপ অনুভব হয় না। কিন্তু যখনই আমরা কমফোর্ট জো বাকি অংশ পড়ুন...












