কোনো রাবী সম্পর্কে জারাহ করলেই কি সেই রাবী বাতিল হয়ে যান?
উল্লেখ্য যে, কোন রাবীকে প্রত্যাখ্যাত করতে হলে তার কারনও স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে। রাবী নির্ভরযোগ্য নয় এটুকু বললেই হবে না। কেন গ্রহনযোগ্য নয় তার উপযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য কারন বলতে হবে। হযরত মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উছূল বর্ণনা করেছেন, ব্যাখ্যাহীন জারাহ গ্রহনযোগ্য নয়। মতভেদ, ভুলবশত মতপার্থক্য হতে পারে। কারো কারো কাছে একজন রাবী ছিক্বাহ অপর জনের কাছে ছিক্বাহ নয়। এ কারনে জারাহ করা হলে তার কারন উল্লেখ করা আবশ্যক।
হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্ট বর্ণিত রয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُـؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ اِنَّـمَا الْاِفْطَارُ مِـمَّا دَخَلَ وَلَيْسَ مِـمَّا خَرَجَ وَفِـىْ رِوَايَةٍ اَلْفَطْرُ مِـمَّا دَخَلَ وَلَيْسَ مِـمَّا خَرَجَ.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তি বাকি অংশ পড়ুন...
তামাম মাখলুকাতের মধ্যে খালিক্ব-মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি যেরূপ মর্যাদাবান- অন্যান্য মাস উনার তুলনায় পবিত্র রমাদ্বান শরীফ তদ্রুপ মর্যাদাবান। যেসব ওসীলাকে কেন্দ্র করে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে ক্ষমা করেন; তাদের প্রতি রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল করেন এবং তাদেরকে জাহান্নাম থেকে নাযাত দিয়ে সম্মানিত জান্নাতে দাখিল করেন- পবিত্র রমাদ্বান শরীফ তথা এ মাস উনার ইবাদত-বন্দিগী সেসবের মধ্যে এক অন্যতম ওসীলা।
পবিত্র রমাদ্বান মাস উনার প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাতের ও শেষ দশদিন নাযাতের। পবিত্র রমাদ্বান শ বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বাদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত শাহ ওলীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
ﻛُـﻨْﺖُ ﻗَﺒْﻞَ ذٰﻟِﻚَ ﺑِـﻤَﻜَّﺔَ ﺍﻟْـﻤُﻌَﻈَّﻤَﺔِ ﻓِـىْ ﻣَﻮْﻟِﺪِ ﺍﻟﻨَّﺒِـﻰِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ وَﺳَﻠَّﻢَ ﻓِـﻰْ ﻳَﻮْمِ وِﻻَدَﺗِﻪٖ وَﺍﻟﻨَّﺎسُ ﻳُﺼَﻠُّﻮْنَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِـﻰِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ وَﺳَﻠَّﻢَ وَﻳَﺬْﻛُـﺮُوْنَ اِرْﻫَﺎﺻَﺎتِهِ ﺍﻟَّﺘِـىْ ﻇَﻬَﺮَتْ ﻓِـىْ وِﻻَدَتِهٖ وَمَشَاهِدَهٗ ﻗَـﺒْﻞَ ﺑَﻌْﺜَـﺘِﻪٖ ﻓَﺮَاَﻳْﺖُ اَﻧْﻮَﺍرًا ﺳَﻄَـﻌَﺖْ دُﻓْﻌَﺔً وَﺍﺣِﺪَةً لَا اَقُوْلُ اِنِّـىْ اَدْرَكْـتُهَا ﺑِـﺒَﺼَﺮِ الْـجَسَدِ وَلَا اَﻗُﻮْلُ اَدْرَكْـتُهَا ﺑِـﺒَﺼَﺮِ ﺍﻟﺮُّوْحِ ﻓَﻘَﻂْ اَﻟﻠﻪُ اَعْلَمُ ﻛَـﻴْﻒَ كَانَ ﺍلْاَﻣْﺮُ ﺑَـﻴْـﻦَ ﻫٰ বাকি অংশ পড়ুন...
ছাত্রবৃন্দ:
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হলেন ইমামু দারিল হিজরা, অর্থাৎ সম্মানিত মদীনা শরীফ উনার ইমাম। অতএব সম্মানিত মদীনা শরীফ উনার ইমাম উনার ছাত্র হওয়ার দুর্লভ সৌভাগ্য কে না চায়। তাই উনার ছাত্র অগণিত। ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উল্লেখযোগ্য ১৬৬ জনের নাম বর্ণনা করেছেন। ইমাম খ¦তীব বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ৯৯৩ জন ছাত্রের নাম উল্লেখ করেন।
কয়েকজন প্রসিদ্ধ ছাত্রের নাম নিম্নে প্রদত্ত হলো:
১। ইমাম হযরত মুহম্মদ ইবনু ইদরীস আশ্ শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি।
২. ইমাম হযরত সুফইয়ান ইবনু উয়ায়নাহ র বাকি অংশ পড়ুন...
গোঁফ খাটো করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক:
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرتْ أَبي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ اَلْفِطْرَةُ خَمْسٌ أَوْ خَمْسٌ مِنَ الْفِطْرَةِ ـ الْخِتَانُ، وَالاِسْتِحْدَادُ، وَنَتْفُ الإِبْطِ، وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ، وَقَصُّ الشَّارِبِ
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফিতরাত অর্থাৎ মানুষের জন্মগত স্বভাব পাঁচটি- (পুরুষের জন্য) খাৎনা করা, (নাভীর নিচের পশম কাটার জন্য) ক্ষুর ব্যবহার করা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নখ কাটা ও গোঁফ খাটো করা। (মুসলিম শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ)
মহ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
হত্যা, সম্ভ্রমহরণ ও অগ্নিসংযোগের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ: রাজাকার মতিউরের হাতে নির্মম নির্যাতন ও হত্যাকা-ের শিকারদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানিয়েছে মতিউর রহমান পাকী বাহিনীর সহায়তায় কীভাবে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করতো তাদের স্বজনদের। একাত্তরের ৬ আষাঢ় (ইংরেজি জুন মাস) তিন দিন নির্যাতনের পর নরসিংদীর ঘোড়াদিয়া গ্রামের মানুষদেরকে হত্যা করা হয়।
একাত্তরে রাজাকার মতিউরের কর্মকা- প্রসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, রাজাকার মতিউর এলাকার বহু মা-বোনের ইজ্জত নিজে হরণ করেছে, তাদেরকে তুলে দিয়েছে পাকিস বাকি অংশ পড়ুন...
সম্প্রতি এক খবরে বলা হয়েছে, ইসলামবিদ্বেষ থাকার কারণে কুয়েত ও কাতারে ভারতীয় একটি ছবিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশগুলোর সরকার ভারতীয় এ চলচ্চিত্রকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বলেছে, এ ভারতীয় ছবিতে মুসলিমদের উগ্রবাদী হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।
ভারতীয় চলচ্চিত্রে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম অবমাননা এবং মুসলিমবিদ্বেষ তথা মুসলমানদের উগ্রবাদী, দেশবিরোধী এবং সন্ত্রাসবাদী হিসেবে প্রদর্শন করা নতুন কোনো বিষয় নয়। ভারতের বর্তমান সরকার এবং ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রি টিকেই আছে মুসলিমবিদ্বেষের প্রচার-প্রসার করে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের মুসল বাকি অংশ পড়ুন...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষার সময় পর্দানশীন ছাত্রীদের জোর করে মুখম-ল, কান, গলা উন্মুক্ত রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেউ কেউ দাবী করছে, “শিক্ষক হচ্ছে ছাত্রীদের পিতার সমতুল্য, সুতরাং শিক্ষকের সামনে ছাত্রীর মুখ খোলা রাখতে সমস্যা কোথায়?”
যারা এ ধরনের চিন্তা লালন করে, তারা যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী নির্যাতন ও নিপীড়নের খবরাবর নিয়মিত রাখতো, তবে হয়ত এমন চিন্তা করতে পারতো না। আসুন গত কয়েক মাসের কিছু সংবাদ দেখি-
খবর-১ :
“নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্ বাকি অংশ পড়ুন...












