সুওয়াল:
আমাদের এলাকার এক বক্তার ওয়াজ থেকে শুনেছি সে বলেছে, মুফাসসিরীনে কিরাম পরিষ্কারভাবে লিখে দিয়েছে, মহাপবিত্র কুরআন শরীফ অথবা মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে যদি দেখ মহান আল্লাহ পাক উনাকে নূর বলা হয়েছে তখন বুঝে নিও তার অর্থ হলো হিদায়েতের মালিক। আর যদি মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে অথবা মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নূর বলা হয় তখন অর্থ হবে হিদায়েতের মাধ্যম। আর যদি বলা হয়, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসস বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ:
نَـحْمَدُهٗ وَنُصَلِّىْ وَنُسَلِّـمُ عَلـٰى رَسُوْلِهِ الْكَرِيْمِ وَعَلـٰى وَالِدَىْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اُمَّهَاتِ الْـمُؤْمِنِيْنَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ وَعَلـٰى حَضْرَتْ اَهْلِ بَيْتِهِ الْكَرِيْمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. اَمَّا بَعْدُ
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّمَا يَخْشَى اللهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمٰؤُا
“নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দাদের মধ্যে যাঁরা আলিম উনারাই মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করেন। ” (পবিত্র সূরা ফাত্বির শরীফ: ২৮)
তাহলে এখানে দেখা যাচ্ছে, যাঁদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার ভী বাকি অংশ পড়ুন...
তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যে কোন ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। শুধু তাই নয়, তাদেরকে শরঈ শাস্তিস্বরূপ দৃষ্টান্তমূলকভাবে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। তা শরীয়তের অন্যান্য বিধান অমান্য করার কারণে যেরূপ কঠিন শাস্তি দেয়া হয়, তার চেয়ে আরো লক্ষ কোটি গুণ বেশি কঠিনভাবে লাঞ্ছনাদায়ক শরঈ শাস্তি দিয়ে হত্যা করতে হবে। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একই হুকুম’
স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেছেন,
وَالَّذِيْنَ يُؤْذُوْنَ رَسُوْلَ اللهِ لَـهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ
অর্থ: “আর যারা ম বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি:
উনার কুনিয়াত বা উপনাম ছিলো আবুল ফযল। পিতার নাম: হযরত শায়েখ আব্দুল আযীয বিন হারিছ তামীমী রহমতুল্লাহি আলাইহি। হযরত শায়েখ আব্দুল ওয়াহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন একজন বিশিষ্ট ফক্বীহ, হাম্বলী মাযহাবের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব।
তিনি উনার পিতা, হযরত আব্দুল্লাহ বিন ইসহাক খুরাসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আবূ বকর নাজ্জাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আহমদ বিন কামিল রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং আরো অন্যান্য অনেকের থেকে মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন এবং একজন নির্ভরযোগ্য মুহাদ্দিছ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। উনার নিকট থেকে মহা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ঈমান ও আক্বাইদই হচ্ছে সম্মানিত ইসলামী যিন্দিগীর মূল বিষয়। কেননা যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার তাওহীদ বা একত্বে বিশ্বাসী নয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নুবুওওয়াত মুবারক ও রিসালত মুবারক উনার উপর যার ঈমান নেই তার পবিত্র নামায, পবিত্র রোযা, পবিত্র হজ্জ, পবিত্র যাকাত ইত্যাদি কোনো ইবাদতই গ্রহণযোগ্য নয়। ইবাদত পালন ও কবুল হওয়ার জন্য পূর্বশর্ত হচ্ছে ছহীহ ঈমান ও আক্বীদা।
অতএব, পবিত্র ঈমান তথা ইসলামী আক্বাইদ উনার কোনো একটি আক্বীদা অশুদ্ধ বা ত্রুটি হয়ে গেলে আমল কবুলযোগ্য হবে ন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلشَّيْخُ فِى اَهْلِهٖ كَالنَّبِىِّ فِى اُمَّتِهٖ وَفِى رِوَايَةٍ اَلشَّيْخُ لِقَوْمِهٖ كَالنَّبِىِّ فِى اُمَّتِهٖ
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা উম্মতের নিকট যেরূপ সম্মানিত ও অনুসরণীয়, শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা তিনিও উনার অধীনস্থদের নিকট তদ্রƒপ সম্মানিত ও অ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রথমে বলে নেয়া ভালো, আরবী ব্যতীত অন্য ভাষায় পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পূর্ণাঙ্গ কোনো গ্রহণযোগ্য তরজমা বা তাফসীরগ্রন্থ রচিত হয়নি। যারা আরবীতে তাফসীর লিখেছেন উনারা অনেক ক্ষেত্রেই কুরআন শরীফ উনার হুবহু শব্দ মুবারকই ব্যবহার করেছেন। অনুরূপ ফার্সী ভাষায় লিখিত তাফসীর গ্রন্থসমূহের মধ্যে হুবহু আরবী ভাষায় লিখিত তাফসীর গ্রন্থের অনুসরণ করার কারণে উক্ত দু’ ভাষায় লিখিত তাফসীর গ্রন্থসমূহের গ্রহণযোগ্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি।
কিন্তু যারা উর্দু, বাংলা কিংবা ইংরেজি ইত্যাদি ভাষায় তরজমা বা তাফসীর গ্রন্থ লিখেছে তারা পবিত্র কুরআন বাকি অংশ পড়ুন...
পরিখা খননকালে প্রকাশিত কতিপয় মহাসম্মানিত মহাপবিত্র মু’জিযাহ শরীফ:
فَقَالَ قُومُوا، فَقَامَ المهَاجِرُونَ وَالأنْصَارُ، فَدَخَلْتُ عَلَيْهَا فَقُلتُ: وَيْحَكِ قَدْ جَاءَ النبيُّ صلى الله عليه وسلم وَالمُهَاجِرُونَ وَالأنْصَارُ وَمَن مَعَهُمْ ! قَالَت: هَلْ سَألَكَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: ادْخُلُوا وَلاَ تَضَاغَطُوا فَجَعَلَ يَكْسرُ الخُبْزَ، وَيَجْعَلُ عَلَيْهِ اللَّحْمَ، وَيُخَمِّرُ البُرْمَةَ وَالتَّنُّورَ إِذَا أخَذَ مِنْهُ، وَيُقَرِّبُ إِلَى أصْحَابِهِ ثُمَّ يَنْزِعُ، فَلَمْ يَزَلْ يِكْسِرُ وَيَغْرِفُ حَتَّى شَبِعُوا، وَبَقِيَ مِنْهُ، فَقَالَ: كُلِي هَذَا وَأهِدي، فَإنَّ النَّاسَ أصَابَتْهُمْ مَجَاعَةٌ. (متفقٌ عَلَيْهِ)
তারপর (সকলের উদ্দেশ্যে) তিনি বললেন, আপনারা উঠুন! (হযরত জাবির রদ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম যুবাইর ইবনে বাক্কার ইবনে আব্দুল্লাহ কুরাইশী আসাদী মাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি (পবিত্র বিছাল শরীফ: ২৫৬ হিজরী শরীফ) তিনি হারীসাহ সম্পর্কিত পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
وَأَوْلَمَ عَلَيْهَا جَزُورًا فَكَثُرَ الْمَسَاكِينُ فَتَرَكَهُمُ النَّاس وَالطَّعَام ثُمَّ غَدَا النَّاسُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ خَلا لَهُمْ وَجْهُهُ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَأْتِي بِالْهَرِيسَةِ فَلَمْ يَجْتَمِعْ لَهُمْ إِلا الْهَرَائِسُ فَدَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُبَارِكَ لَهُمْ فِيهَا
অর্থ : (“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
হালাল উপার্জনের সকল যে সকল মাধ্যম আছে, তন্মধ্যে শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো ব্যবসা-বাণিজ্য। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘তোমরা ব্যবসা করো। কেননা রিযিকের দশ ভাগের নয় ভাগ ব্যবসার মধ্যে রয়েছে। ’ (আল মুগনী :১/৪১৯)
ব্যবসায়ীদের মর্যাদা সম্পর্কে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘সত্যবাদী ও আমানতদার ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী, সিদ্দীক ও শহীদগণের সাথে জান্নাতী হবেন। ’ (তিরমিজী শরীফ: ১২০৯)
তাছাড়া হালাল রিযিক তালাশ কর বাকি অংশ পড়ুন...












