মুক্বাদ্দিমাহ্
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে গরু ও গরুর গোস্তের গুরুত্ব কতখানি; তা বলার অপেক্ষা-ই রাখে না, এক কথায় বলতে গেলে গরুর গোস্ত মুসলমানদের অস্তিত্বের সাথে জড়িত একটি বিষয়, যা বিধর্মীদের সাথে আমাদের অর্থাৎ মুসলমানদের পার্থক্যকারী।
এছাড়া বিশেষভাবে যে বিষয়টি না বললেই নয়; এই উপমহাদেশ ও বাংলাদেশের মাটিতে আমরা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে পেয়েছি গরু যবেহ ও গরুর গোস্তকে কেন্দ্র করে। কাজেই, বিশেষ করে বাংলার মুসলমানদের অস্তিত্ব-ই হলো গরু যবেহ করা এবং গরুর গোস্ত খাওয়া। {বি:দ্র: এ বিষয়ে বিভিন্ন ঘটনা এ নিবন্ধটিতে আলোকপাত করা হ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে বলেন-
إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার ফেরেশ্তারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছালাত পাঠ করে থাকেন, (রহমত, মাগফিরাত, সাকীনা নাযিল করে থাকেন। ) হে ঈমানদাররা! তোমরাও ছালাত এবং সালাম পাঠ করো। ” (সূরা আহযাব শরীফ/৫৬)
ঠিক এই আয়াত শরীফের মেছদাক হচ্ছেন আলিমগণ। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফে রয়েছে-
اَلْعُلَمَاءُ وَرَثَةُ الْأَنْبِيَاءِ
আ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضَرَتْ عُمَرُو بْنِ شُعَيْبِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَده اَنَّ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لاَتَشَبَّهُوْا بِالْيَهُوْدِ وَلا بِالنَّصَارٰى.
অর্থ: “হযরত উমর বিন শুয়াইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা হতে উনার পিতা উনার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমাদের ভিন্ন অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। কাজেই আপনারা ইয়াহুদী এবং নাছারাদের সা বাকি অংশ পড়ুন...
“মুগনী” কিতাবে উল্লেখ আছে- لَهْوَ الْحَدِيْثِ ‘লাহ্ওয়াল হাদীছ’ হচ্ছে- গান-বাজনা, সঙ্গীত। এ আয়াত শরীফ দ্বারা তা হারাম সাব্যস্ত হয়েছে। যে ব্যক্তি এটাকে হালাল জানবে সে কাফের হবে।
وَفِىْ جَامِعِ الْفَتَاوَى اِسْتِمَاعُ الْمَلَاهِى وَالْجُلُوْسُ عَلَيْهَا وَضَرْبُ الْمَزَامِيْرِ وَالرَّقْصُ كُلُّهَا حَرَامٌ وَمُسْتَحِلُّهَا كَاِفرٌ.
অর্থ: জামিউল ফতওয়াতে” উল্লেখ আছে, গান-বাজনা শ্রবন করা, গান-বাজনার মজলিসে বসা, বাদ্য-যন্ত্র বাজানো, নর্তন-কুর্দন করা সবই হারাম। যে ব্যক্তি এগুলোকে হালাল মনে করবে সে ব্যক্তি কাফের।
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَن يَعْصِ اللَّـهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُّهِينٌ
অর্থ: যে খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ নিষেধের ব্যাপারে অবাধ্য হয় এবং উনাদের দেয়া সীমারেখাসমূহ লঙ্ঘন করে, তাকে খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি দোযখের আগুনে প্রবেশ করাবেন। সেখানে সে চিরস্থায়ী থাকবে। আর তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। (পবিত্র সূরা নিসা : আয়াত শরীফ ১৪)
বাকি অংশ পড়ুন...
এত ফযীলত দেয়া হয়েছে আলিমদেরকে। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আলিমদের ফযীলত সম্পর্কে আরো বলেন-
فَضْلُ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ كَفَضْلِي عَلَى أَدْنَاكُمْ
আবেদের উপরে আলিমের এতটুকু ফযীলত যেমন, সাধারণ লোকের উপরে আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফযীলত। অর্থাৎ সাধারণ লোকের উপরে আমার যেমন ফযীলত রয়েছে ঠিক আবেদের উপরে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ঈমানী কুওওয়াত, মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি প্রগাঢ় তাকওয়া ও খোদাভীতি সম্পর্কে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। যেমন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রশংসা করে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যখন কাফিররা তাদের অন্তরে পোষণ করতো গোত্রীয় অহমিকা, জাহিলী যুগের অহমিকা তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় প্রশান্তি দান করলেন উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এবং মু’মিনদের প্রতি (অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্ বাকি অংশ পড়ুন...












