অন্য হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
طَلَبُ الْعِلْمِ أَفْضَلُ عِنْدَ اللهِ مِنَ الصَّلَاةِ وَالصِّيَامِ وَالْحَجِّ وَالْجِهَادِ فِي سَبِيْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন যে দেখ-
طَلَبُ الْعِلْمِ أَفْضَلُ عِنْدَ اللهِ
ইলিম তলব করা মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে সবচাইতে পছন্দনীয়, প্রিয়, আফজল এবং শ্রেষ্ঠ। ”
مِنَ الصَّلَاةِ وَالصِّيَامِ وَالْحَجِّ وَالْجِهَادِ فِي سَبِيْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ
নামায পড়া থেকে, রোযা রাখা থেকে, হজ্ব করা থেকে, মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় জিহাদ কর বাকি অংশ পড়ুন...
একদিন হযরত আবূ সাঈদ রহমতুল্লাহি আলাইহি ইমামুল মুত্তাক্বীন হযরত নিজামুদ্দীন বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বললেন, “আমি এসেছিলাম আপনার নিকট বাইয়াত হওয়ার জন্য। আপনার মত মহান ব্যক্তিত্বের ছোহবত ইখতিয়ার করা (সংসর্গে থাকা) একান্ত জরুরী মনে করছি। ”
ইমামুল মুত্তাক্বীন হযরত নিজামুদ্দীন বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আবেদন মঞ্জুর করলেন। উনাকে স্বীয় ছোহবত দানের জন্য বাইয়াত করালেন।
পরের দিন ইমামুল মুত্তাক্বীন হযরত নিজামুদ্দীন বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি খানকা শরীফ উনার দায়িত্বে নিয়োজিত খাদিমকে বলে দিলেন, আজ থেকে আবূ সাঈদ উনার থাকার বাকি অংশ পড়ুন...
এখন ফিকির করেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইলিম এবং আলিমকে কত ফযীলত, কত বুযুর্গী, সম্মান দিয়েছেন। সেজন্য হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ الله تَعَالَى عَنْهُ قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَعَلَّمُوا الْعِلْمَ وَعَلِّمُوهُ النَّاسَ وَتَعَلَّمُوا الْفَرَائِضَ وَعَلِّمُوهَا النَّاسَ وَتَعَلَّمُوا الْقُرْآنَ وَعَلِّمُوهُ النَّاسَ فَإِنِّي اِمْرُؤٌ مَقْبُوضٌ
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “হে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! হে আব্দু বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَللهَ اَللهَ فِـىْ اَصْحَابِـىْ لَاتَتَّخِذُوْهُمْ غَرَضًا مِّنْ بَعْدِىْ فَمَنْ اَحَبَّهُمْ فَبِحُبِّـىْ اَحَبَّهُمْ وَمَنْ اَبْغَضَهُمْ فَبِبُغْضِىْ اَبْغَضَهُمْ وَمَنْ اٰذَاهُمْ فَقَدْ اٰذَانِـىْ وَمَنْ اٰذَانِـىْ فَقَدْ اٰذَى اللهَ وَمَنْ اٰذَى اللهَ فَيُوْشِكُ اَنْ يَّأْخُذَهٗ
অর্থ: আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, আমার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ উনার পরে উনাদেরকে তোমরা তিরস্কারের লক্ষ্যস্থল করো না। যে ব্যক্তি উনাদেরকে মুহব্বত করলো, সে আমা বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমান কাকে অনুসরণ করবে? কাকে আদর্শ হিসেবে মেনে নিবে? মুসলমান কার জীবনী পড়বে? কার আদর্শ অনুসরণ করবে? এ বিষয়গুলো জানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের প্রাণের আক্বা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম আদর্শ- একথা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো জানিয়ে দিয়েছেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার ইতায়াত করো। মহান আল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা সকলেই আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী হয়ে যায়ও। ” প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী হওয়া ফরয। আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী হওয়ার জন্য ইলম অর্জন করতে হয়। ইলম হচ্ছে দু’প্রকার (১) ইলমে ফিক্বাহ (২) ইলমে তাসাউফ। ইলমে ফিক্বাহ মাদ্রাসায় পড়ে বা হক্কানী-রব্বানী আলিম উনাদের কাছে গিয়ে শিক্ষা করা যায়। কিন্তু ইলমে তাসাউফ বা অন্তর পরিশুদ্ধ করার ইলম একা একা শিক্ষা করা যায় না। এই ইলম শিক্ষা করতে হলে হক্কানী-রব্বানী আলিম বা ওলীআল্লাহ উনাদের কাছে বাইয়াত হয়ে যিকির-ফিকির করতে হয়। এই যিকির কর বাকি অংশ পড়ুন...












