মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنزِيرِ وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللَّهِ ۖ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের জন্য হারাম করেছেন, মৃত প্রাণী, (মাছ ব্যাতীত) রক্ত, শুকরের গোস্ত এবং সেসব প্রাণী মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যাতীত অন্য কারো নামে যবেহ করা হয়। অবশ্য যে ব্যক্তি নিরুপায় হয়ে পড়ে (মা’যূর হয়ে যায়) এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন গুনাহ নেই। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু। ” সুবহান বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ বিরোধী কথিত আহলে হাদীছ মতাদর্শের কিছু নমুনা উপস্থাপন করা হলো-
(মতবাদ-১)
গায়রে মুকাল্লিদদের নিকট কাফেরদের জবাই করা পশু হালাল। আর তা খাওয়া জায়েজ। {গায়রে মুকাল্লিদ আলেম নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান রচিত দলীলুত তালেব-৪১৩, গায়রে মুকাল্লিদ আলেম নূরুল হাসান খান রচিত উরফুর জাদী-২৪৭}
নিজেদের আহলে হাদীছ দাবি করে পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফের রেফারেন্স না দিয়ে এখানে তারা আল্লামা শাওকানীর অন্ধ তাকলীদ করেছে। এ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফের দলিল ছাড়া এ তাকলীদ কি [কথিত আহলে হাদীছদের বক্তব্য অনুসারে] শিরক নয়?
(মত বাকি অংশ পড়ুন...
কারামত মুবারক:
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, একজন ওলীআল্লাহ উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার এতটুকু তায়াল্লুক-নিছবত থাকতে হবে যেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কথা শুনেন। উনার কথা রাখেন। উনি যা চান তিনি উনাকে তাই দেন। যদি সে তা না পারে তাহলে উনাকে ওলীআল্লাহ বলা যাবে না। কারণ সে শায়েখ বা মুর্শিদ নয়। সে প্রতারক, ধোঁকাবাজ। (হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ পূর্ণাঙ্গ জীবনী-২৬৯)
* সেই সময়ের কথা। যখন সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল সা বাকি অংশ পড়ুন...
এখন ফিকিরের বিষয়, চিন্তার বিষয় যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি আলিম যাঁরা, উনাদেরকে কত বড় ফযীলত দিয়েছেন, কত বুযুর্গী-সম্মান দিয়েছেন। সেজন্য হযরত মুয়াবিআ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হাদীছ শরীফে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন-
مَنْ يُرِدِ اللهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ وَإِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ وَاللهُ يُعْطِي
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন যে দেখ-
مَنْ يُرِدِ اللهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ
মহান আল্লাহ পাক তিনি যার ভালাই চেয়ে থাকেন, মহা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আ’লামীন তিনি আল্লাহওয়ালাগণ উনাদেরকে অশেষ মর্যাদা ও সম্মান দান করেছেন। তন্মধ্যে “কারামত” একটি বিশেষ মর্যাদা ও সম্মান। আল্লাহওয়ালা উনাদের “কারামত” পবিত্র কুরআন শরীফ উনার দ্বারা প্রমাণিত। আর তাই আক্বাঈদের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে-
كرامة الاولياء حق.
অর্থাৎ “আল্লাহওয়ালা উনাদের কারামত সত্য। ”
অতএব, সমষ্টিগতভাবে আল্লাহওয়ালা উনাদের কারামত অস্বীকার করা কুফরীর নামান্তর। কাজেই কেউ যদি ওলীআল্লাহগণ উনাদের কারামতকে সমষ্টিগতভাবে অস্বীকার করে, তাহলে সে কাফির হবে।
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হযরত আবূ ইসহাক ইব্রাহী বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِى هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ اِنْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهٗ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهٖ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهٗ.
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “মানুষ যখন ইন্তিকাল করে, তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায় তিনটি ব্য বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি আবার জিজ্ঞাসা করবেন যে, হে হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম! আপনি আবার জিজ্ঞাসা করুন? আলিম যে ঘরে বসবাস করেছিল, এমন কোন ঘরে তোমরা কি বসবাস করেছিলে? তারা বলবে যে- না, আমরা তা করিনি। আবার জিজ্ঞাসা করা হবে- আলিম যেখানে খেয়েছিলেন, উনার সাথে কি তোমরা খেয়েছিলে কোথাও?
তারা বলবে- মহান আল্লাহ পাক! আমরা খাওয়া-দাওয়াও করিনি।
এরপর বলা হবে, আলিম যেখান দিয়ে হেঁটে গিয়েছিলেন, উনার পিছনে পিছনে- তোমরা কি হেঁটেছিলে?
তারা বলবে- না, আমরা কোন আলিমের পিছনে কখনো হাঁটিনি আমাদের জীবনে।
যখন কোন রকম উছীলা পাওয়া যাবেনা। শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহ পা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الَّذِينَ اتَّخَذُوا دِينَكُمْ هُزُوًا وَلَعِبًا مِّنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ وَالْكُفَّارَ أَوْلِيَاءَ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ ﴿٥٧﴾
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমাদের পূর্ববর্তী আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা তোমাদের দ্বীন উনাকে খেল-তামাশা হিসেবে গ্রহণ করে এবং যারা কাফির, তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো যদি মু’মিন হয়ে থাকো। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭)
বাকি অংশ পড়ুন...












