যেমন এ প্রসঙ্গে হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন-
سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا حَدُّ الْعِلْمِ الَّذِي إِذَا بَلَغَهُ الرَّجُلُ كَانَ فَقِيهًا؟
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কোন পরিমাণ, কতটুকু পরিমাণ ইলিম অর্জন করলে একটা লোক ফক্বীহ হতে পারে? একটা লোক ফক্বীহ হতে পারে, কি পরিমাণ ইলিম অর্জন করলে?
فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ حَفِظَ عَلَى أُمَّتِي أَرْبَعِينَ حَدِيثًا فِي أَمْرِ دِينِهَا، بَعَثَهُ اللهُ فَقِيهًا، وَكُ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূর্তি, বেদী, ভাগ্য নির্ধারণকারী তীর এসবগুলোই শয়তানের কাজ। অতএব, এগুলো থেকে তোমরা বিরত থাকো। অবশ্যই তোমরা সফলতা লাভ করবে। (পবিত্র সূরা মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৯০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ
অর্থ: তোমরা মূর্তিসমূহের খারাবী, অপবিত্রতা, নাপাকী, নিষিদ্ধতা বা শাস্তি থেকে বেঁচে থাকো। বাকি অংশ পড়ুন...
দুনিয়া এবং আখিরাতের খাদ্যের সাইয়্যিদ গোস্ত
দুনিয়া এবং আখিরাতের খাদ্যের সাইয়্যিদ গোস্ত। এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيِّدُ طَعَامِ أَهْلِ الدُّنْيَا وَأَهْلِ الْجَنَّةِ اللَّحْمُ
অর্থ: “হযরত আবূ দারদা’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, দুনিয়াবাসী ও জান্নাতবাসীদের খাদ্যের সাইয়্যিদ হচ্ছেন গোস্ত বাকি অংশ পড়ুন...
লক্ষ্যণীয় বিষয় এই যে, আলিম হওয়ার মধ্যে যেরূপ ফযীলত রয়েছে, তদ্রুপ ইলিমের অপব্যবহার করার মধ্যেও আযাব এবং গযব রয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা উভয়টাই বলেছেন। যেমন ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اِتَّبِعُوا الْعُلَمَاءَ فَإِنَّهُمْ سُرُجُ الدُّنْيَا وَمَصَابِيْحُ الْآخِرَةِ
আলেমদের অনুসরণ কর, নিশ্চয়ই উনারা দুনিয়ার পথ প্রদর্শক وَمَصَابِيْحُ الْآخِرَةِ আর পরকালের প্রদীপ্ত প্রদীপ।
অর্থাৎ আলেমদেরকে অনুসরণ করতে হবে। উনাদের উছীলায় মানুষ দুনিয়াতে সৎপথ পাবে এবং পরকালে নাযাত পাবে বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যেই রয়েছে মানবাধিকারের উত্তম আদর্শ। সম্মানিত কালামুল্লাহ শরীফ ও সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে বিভিন্ন হুকুম আহকাম ও দিক নির্দেশনার মাধ্যমে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম মানবাধিকারের উত্তম আদর্শ শিক্ষা দিয়েছেন। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার, পারিবারিক অধিকার, সামাজিক অধিকার, রাষ্ট্রীয় অধিকার সুনিশ্চিত ও সংরক্ষিত করেছেন। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি মৌলিক অধিকার আদায় সুনিশ্চিত করেছেন, মত-পথ প্রকাশের অধিকার, দ্বীনি স্বাধীনতা, ঈমানের স্বাধীনতা, আমলের স্ব বাকি অংশ পড়ুন...
উল্লেখ্য, যারা উলামায়ে কিরাম, উনারা হচ্ছেন- ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া বা নবীগণের উত্তরাধিকারী। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে-
اَلْعُلَمَاءُ وَرَثَةُ الأَنْبِيَاءِ
অর্থাৎ আলেমগণ হচ্ছেন- নবী আলাইহিমুস সালামগণের ওয়ারিছ।
তাই হাদীছ শরীফের অসংখ্য স্থানে আলেমগণকে তা’যীম-তাকরিম বা সম্মান প্রদর্শন করার নির্দেশ এসেছে। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
أَكْرِمُوا الْعُلَماءَ
যারা আলিম রয়েছেন, উনাদের সম্মান করো।
فَإِنّهُمْ وَرَثَةُ الْأَنْبِيَاءِ
কেননা উনারা হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের ওয়ারিছ। সুতরাং
فَمَنْ أكْرَمَهُمْ
যে আলিমদেরকে সম্মা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَجَعَلْنَا نَتَبَادَرُ مِنْ رَوَاحِلِنَا فَنُقَبِّلُ يَدَ النَّبِيِّ صَلَّـى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَه
অর্থ: আমরা যখন মদীনা শরীফ উনার মধ্যে আগমন করতাম, তখন তাড়াতাড়ি করে নিজেদের সওয়ারী থেকে নেমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মাগফিরাত মুবারকে (পবিত্র হাত মুবারকে) এবং নূরুদ দারাজাত মুবারকে (পবিত্র ক্বদম মুবারকে) বুছা দিতাম। সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাউদ শরীফ, মু’জামুছ ছাহাবাহ্, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী, শরহুস সুন্নাহ্, শু‘আবুল ঈমান বাকি অংশ পড়ুন...












