গান-বাজনা” ও “বাদ্য-যন্ত্র” হারাম হওয়া সম্পর্কে অসংখ্য হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِسْتِمَاعُ الْمَلَاهِى مَعْصِيَةٌ وَالْجُلُوْسُ عَلَيْهَا فِسْقٌ وَالتَّلَذُّذُ بِهَا مِنَ الْكُفْرِ
অর্থ: গান শোনা গুণাহের কাজ, গানের মজলিসে বসা ফাসেকী এবং গানের স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী। (মিরকাতুল মাফাতীহ শরহে মিশকাতুল মাছাবীহ)
বাকি অংশ পড়ুন...
আহলে হাদীছ বা লা-মাযহাবীদের আরো কিছু কুফরী আকিদা:
(১) আহলে হাদীছ দাবিদারদের রচিত ‘হাদয়িতুল মাহদী’ পুস্তকের ১১০নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে, “জুমুয়ার খুতবায় খুলাফায়ে রাশেদার নাম নেয়া বিদয়াত। ” নাউযুবিল্লাহ!
(২) আহলে হাদীছ দাবিদারদের রচিত ‘তানবীরুল আফাক’ পুস্তকের ১০৭নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে, “খোলাফায়ে রাশেদা উনারা শরীয়তের খেলাফ হুকুম জারি করতেন। নাউযুবিল্লাহ!
(৩) আহলে হাদীছ দাবিদারদের রচিত ‘কাশফুল হিজাব’ পুস্তকের ২১নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে, “হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার সাথে যুদ্ধ করে মু বাকি অংশ পড়ুন...
স্মরণযোগ্য যে, ইলিম এবং আলিমের ফাযায়েল, ফযীলত, বুযুর্গী, সম্মান সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে অনেক আলোচনা করেছেন।
মূলতঃ মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ্ শরীফে উল্লেখ করেছেন, বিশেষ করে মুসলমান দু’প্রকার হবে। এক প্রকার হচ্ছে-
فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
(পবিত্র সূরা নহল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৪৩, পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ: পবিত্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَلَا وَرَبِّكَ لَا یُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ یُحَكِّمُوكَ فِیمَا شَجَرَ بَیۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا یَجِدُوا۟ فِیۤ أَنفُسِهِمۡ حَرَجࣰا مِّمَّا قَضَیۡتَ وَیُسَلِّمُوا۟ تَسۡلِیمࣰا.
অর্থ: আপনার মহান রব তায়ালা উনার কসম! তারা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমান্দার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিজেদের সকল বিষয়ে আপনাকে ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে না নিবে। অতঃপর আপনার ফায়সালা মুবারক সম্পর্কে তাদের মনে কোন দ্বিধা/ সংশয় থাকে না এবং পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ করে তা মেনে নেয়। (সূরা নিসা শরীফ: আয়াত শরীফ: ৬৫)
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, কোন মু’মিন নর-নারীর জন্য জায়িয হবে না, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা যেই ফায়সালা মুবারক করেছেন, সেই ফায়সালার মধ্যে চু-চেরা, কিল ও কাল করা, যদি কেউ করে তবে সে মু’মিন থাকতে পারবে না। এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার শানে নুযুলে কি বলা হয়? এই পবিত্র আয়াত শরীফ কেন নাযিল হয়েছিলো? এ পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছিলো হাক্বীক্বী মু’মিন কাদেরকে বলা হয়।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضَرَتْ عُمَرُو بْنِ شُعَيْبِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَده اَنَّ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لاَتَشَبَّهُوْا بِالْيَهُوْدِ وَلا بِالنَّصَارٰى.
অর্থ: “হযরত উমর বিন শুয়াইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা হতে উনার পিতা উনার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমাদের ভিন্ন অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। কাজেই আপনারা ইয়াহুদী এবং নাছারাদের সা বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি দিবস পালন সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَذَكِّرْهُمْ بِأَيَّامِ اللهِ إِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَاتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُوْرٍ
অর্থ: (সম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার!) আপনি উম্মতদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিন বা দিবসসমূহ স্মরণ করিয়ে দিন। নিশ্চয়ই উক্ত দিনসমূহ স্মরণ বা পালন করার মধ্যে ছবরকারী ও শোকরকারী সকল বান্দা-বান্দীদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে। (পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)
উল্লেখ্য ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম, ইয়াওমু আশূরা, ইয়াওমুল জুমুয়াহ, বাকি অংশ পড়ুন...
কিন্তু তার বিপরীত দিকে একজন আবেদ সে ইবাদত করতেছে। আমার ইচ্ছে হচ্ছে- আমি আবেদকে ওয়াসওয়াসা দিই। কিন্তু ঐ আলিম, যিনি ফক্বীহ, আল্লাওয়ালা, উনি শুয়ে রয়েছেন। উনার রোবের কারণে আমি প্রবেশ করতে ভয় পাচ্ছি যে, উনি আমাকে আবার ধরে ফেলেন কি-না? সেজন্য আমি ওয়াসওয়াসা দিতে ভয় পাচ্ছি সেই লোককে।
فَقِيهٌ وَاحِدٌ أَشَدُّ عَلَى الشَّيْطَانِ مِنْ أَلْفِ عَابِدٍ.
একজন ফক্বীহ শয়তানের কাছে এক হাজার আবেদ থেকে ভয়ংকর। যে শয়তান সবসময় আবেদকে ওয়াসওয়াসা দিয়ে থাকে। কিন্তু একজন ফক্বীহ বা আল্লাওয়ালা উনাকে সে ওয়াসওয়াসা দিতে অনেক ফিকির করে থাকে, চিন্তা করে থাকে। কারণ সে ধরা পড়ে যাও বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا آبَاءَكُمْ وَإِخْوَانَكُمْ أَوْلِيَاءَ إِنِ اسْتَحَبُّوا الْكُفْرَ عَلَى الْإِيمَانِ ۚ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ ﴿٢٣﴾
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! আপনারা আপনাদের পিতা ও ভাইদেরকে বন্ধু-অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করবেন না, যদি তারা ঈমান আনার উপর কুফরীকে মুহব্বত করে বা প্রাধান্য দেয়। আর আপনাদের মধ্য থেকে যারা তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে, তারাই জালিম সাব্যস্ত হবে। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
বাকি অংশ পড়ুন...












