তাই তিনি বললেন যে, আপনার একার কথায় হবেনা, লিখিত ফতওয়া দিতে হবে। কারণ অন্যান্য আলিমরা যদি আমাকে প্রশ্ন করে, আমি কি জাওয়াব দিব?
তখন সে মুফতী ছাহেব লিখিত দিলেন।
তখন তিনি বললেন যে, আপনার একার লেখা অর্থাৎ সিগ্নেচারের ফতওয়ায় হবেনা, আরো আলিমদের ফতওয়া বা স্বাক্ষর থাকতে হবে।
তখন সে মুফতী ছাহেব সারা দেশ থেকে তিনশত আলিমের স্বাক্ষর সংগ্রহ করলো। তারা সকলেই ফতওয়া দিলো যে, জরুরত বশতঃ অর্থাৎ অসুস্থতার কারণে বাদশাহ শাহ্জাহানের জন্য রেশমী কাপড় পরিধান করা জায়েয রয়েছে। কেননা বাদশাহ শাহ্জাহান যদি সুস্থ থাকেন, তবে সারা দেশ সুস্থ থাকবে। যেহেতু তিনি বাকি অংশ পড়ুন...
সেই মুল্লা যিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি, তিনি ছিলেন বাদশাহ আলমগীরের ওস্তাদ, শাহ্জাহান তখন বাদশাহ। যে বাদশাহ শাহ্জাহান ছিলেন, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ ও বাদশাহ জাহাঙ্গীরের ছেলে।
বাদশাহ শাহ্জাহান ছোটবেলা থেকে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছোহ্বত ইখতিয়ার করেছিলেন। ইলমে ফিক্বাহ্, ইলমে তাছাউফ যথেষ্ট অর্জন করেছেন এবং হক্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য উনার পিতা বাদশাহ জাহাঙ্গীরের সাথে যুদ্ধ-জিহাদও করেছেন।
একবার যুদ্ধ করছিলেন, তখন যুদ্ধের অবস্থা বাদশাহ শাহ্জাহানের অনুকূলে ছিল। বাদশ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلٰى أَشَدِّ الْعَذَابِ اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
অর্থ: তোমরা কিতাবের কিছু হুকুম মানবে আর কিছু হুকুম অমান্য করবে (তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়)। যে ব্যক্তি এরূপ করবে তার পরিণাম হচ্ছে, সে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছিত হবে এবং পরকালে কঠিন আযাবে নিক্ষিপ্ত হবে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে খবর রাখেন। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৫)
বাকি অংশ পড়ুন...
যে, আলিম কেমন হবে? এ প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
نِعْمَ الرَّجُلُ الْفَقِيهُ فِي الدِّينِ إِنِ احْتِيجَ إِلَيْهِ نَفَعَ
উত্তম ফক্বীহ, উত্তম আলিম ওই ব্যক্তি, যে ব্যক্তি মানুষ যখন তার মুখাপেক্ষী হবে অর্থাৎ কোন মাসয়ালা-মাসায়িল, ইলিম-কালামের জন্য যাবে, তখন তাদের ফায়দা দিবেন। তাকে সেটা বলে দিবেন, জাওয়াব দিয়ে দিবেন।
وَإِنِ اسْتُغْنِيَ عَنْهُ أَغْنَى نَفْسَهُ
যখন মানুষ উনার কাছে যাবেন না, তিনি তাদের থেকে দূরে সরে থাকবেন, তিনি মানুষের মুহ্তাজ হবেন না। যেটা অন্য হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّيْ وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ تُلْقُوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوْا بِمَا جَاءَكُمْ مِّنَ الْحَقِّ يُخْرِجُوْنَ الرَّسُوْلَ وَإِيَّاكُمْ ۙ أَنْ تُؤْمِنُوْا بِاللهِ رَبِّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ خَرَجْتُمْ جِهَادًا فِيْ سَبِيْلِيْ وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِيْ ۚ تُسِرُّوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَأَنَا أَعْلَمُ بِمَا أَخْفَيْتُمْ وَمَا أَعْلَنتُمْ ۚ وَمَنْ يَفْعَلْهُ مِنكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيْلِ.
অর্থ: হে মু’মিনগণ! তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধু বা অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করো না। তোমরা তাদের প্রতি মুহব্বত ঢেলে দাও অর্থাৎ তোমরা ত বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যান্য দিনের মতোই ভারতের বোম্বের এক সকাল। এক হিন্দু নাপিত তার দোকানের ঝাঁপ খুলে চুল কাটার জিনিসপত্র ঠিকঠাক করছে। এর মধ্যেই দোকানে এসে হাজির হলো এলাকার এক মুসলিম যুবক। পরিচিত সেই মুসলিম যুবকের সাথে হিন্দু নাপিতটি খুব খোশগল্প ও হাসিঠাট্টা করতে লাগলো।
মুসলিম যুবকটি চেয়ারে বসলো, হিন্দু নাপিতটি যুবকটির গালে সাবান মাখিয়ে ক্ষুর হাতে প্রস্তুত হলো। এর মধ্যেই বাইরে শোনা গেল চিৎকার ও হট্টগোল। দোকান থেকে তারা দু’জন দেখতে পেল, বাইরে মুসলমানদের টুপি পরা কয়েকজন যুবক (আসলে টিভি অভিনেতা) একজনকে পেটাচ্ছে। তা দেখে হিন্দু নাপিতটির চেহা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি গরুর বিষয়ে কি বলেছেন?
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো স্পষ্টভাবে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالْبُدْنَ جَعَلْنَاهَا لَكُم مِّنْ شَعَآئِرِ اللهِ لَكُمْ فِيْهَا خَيْرٌ ۖ فَاذْكُرُوْا اسْمَ اللهِ عَلَيْهَا صَوَافَّ ۖ فَإِذَا وَجَبَتْ جُنُوْبُهَا فَكُلُوْا مِنْهَا وَأَطْعِمُوْا الْقَانِعَ وَالْمُعْتَرَّ ۚ كَذٰلِكَ سَخَّرْنَاهَا لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ
অর্থ: “পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে কুরবানীকৃত পশু (উট, গরু, মেষ, দুম্বা) ইত্যাদিকে আমি তোমাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন মুবারক করেছি। এতে তোমাদের জন্য ভালাই (কল্যাণ) রয়েছে। সুতরাং তোমরা সারিবদ্ধভাবে বাঁধা অব বাকি অংশ পড়ুন...












