اَلْمُقَدِّمَةُ (আল মুক্বদ্দিমাহ্)
اَلْـحَمْدُ وَالصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ لِشَيْخِنَا مَـمْدُوْحْ مُرْشِدْ قِـبْـلَةْ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ سُلْطَانٍ نَّصِيْـرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَعَلـٰى اَهْلِ بَـيْـتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ وَالصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ عَلـٰى سَيّـِدِ الْاَنْۢبِيَاءِ وَالْـمُرْسَلِـيْـنَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلـٰى اَهْلِ بَـيْـتِهِ الْكَرِيْـمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ وَالْـحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِـيْـنَ. اَمَّا بَـعْدُ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ سُفْيَانَ رَحَـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ لِـحَضْرَتْ كَعْبٍ رَحْـمَةُ اللهُ عَلَ বাকি অংশ পড়ুন...
উনার জীবনের বিভিন্ন ঘটনা:
বর্ণিত আছে যে, হযরত মাসরূক রহমতুল্লাহি আলাইহি হজ্জ করেন, অতঃপর হজ্জ থেকে বিদায় পর্যন্ত যমীনে কপাল ঠেকানো ব্যতীত বিছানায় শুয়ে আরাম করেননি অর্থাৎ তিনি সিজদায় পড়ে থাকতেন। বর্ণিত আছে যে, তিনি বলতেন, বান্দা যখন সিজদায় যায় তখন সে মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বাধিক নিকটবর্তী হয়। তিনি যখন নামাযে দ-ায়মান হতেন তখন দুনিয়ার সবকিছু ভুলে যেতেন। তিনি তখন উনার পরিবারের লোকদেরকে বলতেন, তোমাদের কি কি প্রয়োজন আমার নামাযে দ-ায়মান হওয়ার পূর্বে এখনই আমাকে বলো। তিনি উনার ও উনার পরিবারের মাঝামাঝি একটি পর্দা টানিয়ে দিয়ে নামাযে বাকি অংশ পড়ুন...
অর্থাৎ হাশরের ময়দানে যখন মিযানে মাপা হবে তখন আলিমগণ যা দ্বারা লিখেছেন তা অর্থাৎ কলমের কালি ওজন করা হবে।
وَدَمُ الشُّهَدَاءِ،
আর যারা শহীদ হয়েছেন, মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য জান দিয়ে দিয়েছেন, রক্ত প্রবাহিত করিয়েছেন, তাদের সেই রক্তকে এক পাল্লায় দেয়া হবে। আলিম উনাদের কলমের কালি এক পাল্লায় দেয়া হবে।
فَيَرْجَحُ مِدَادُ الْعُلَمَاءِ عَلَى دَمِ الشُّهَدَاءِ
দেখা যাবে, সেই শহীদদের রক্তের চেয়েও আলিম উনাদের কলমের কালির ওজন বেশী হবে। সুবহানাল্লাহ!
শহীদ উনার রক্তের চেয়েও আলিম উনার কলমের কালির ওজন বেশী হবে হাশরের ময়দানে। সুবহানাল্লাহ!
এত ফযীলত দিয়েছেন মহান বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِيْنَ آمَنُوا الْيَهُوْدَ وَالَّذِيْنَ أَشْرَكُوْا
অর্থ: (হে আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি অবশ্যই ঈমানদারদের জন্য মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবেন ইহুদী ও মূর্তিপূজারী মুশরিকদেরকে। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ -৮২)
বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি মুবারক:
নাম মুবারক: হযরত মাসরূক আল-হামাদানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, উপনাম আবু আয়েশা (উনার কন্যার নাম ছিলো আয়েশা) পিতার নাম: আল-আজদা’ (পরিবর্তিত নাম আবদুর রহমান) বিন মালিক বিন উমাইয়া। উনার নসবনামা নিম্নরূপ-
مسروق بن الأجدع وهو عبد الرحمن بن مالك بن أمية بن عبد الله بن مُرّ بن سليمان بن مَعْمَر بن الحارث
অর্থ: মাসরূক বিন আজদা’ (যাঁর পরিবর্তিত নাম আবদুর রহমান) বিন মালিক বিন উমাইয়া বিন আবদিল্লাহ বিন মুর বিন সুলায়মান বিন মা’মার ইবনুল হারিছ।
তিনি কূফার অধিবাসী একজন বিখ্যাত তাবে‘ঈ, আলিম ও আবিদ ছিলেন। (হিলইয়াতুল আওলিয়া, তাবাকাত)
কথিত আছে যে, শিশু অবস্থায় উনাকে চু বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَن جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِ فَانتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
অর্থ: যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতের দিন ঐভাবে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান স্পর্শ করে মোহগ্রস্ত করে দিয়েছে। কারণ তারা বলে যে, ক্রয়-বিক্রয়ও তো সুদ নেয়ারই মত। অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্ বাকি অংশ পড়ুন...
মাহে যিলক্বদ শরীফ উনার আইয়্যামুল্লাহ শরীফসমূহ (১)
২ যিলক্বদ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত ঊখতু রসূল মিনার রদ্বায়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
৬ যিলক্বদ: আখাছছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, শাহ্ আমীরা সাইয়্যিদাতুনা হযরত মুজিরাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
৭ যিলক্বদ: আখাছছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম বিলাদতী শান মুবারক উনার আ’দাদ শরীফ।
মাহে যিলক্বদ শরীফ উনার আইয়্যামুল্লাহ শরীফসমূহ (২)
বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার গরুর গোস্ত দ্বারা মেহমানদারী
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
هَلْ أَتَاكَ حَدِيْثُ ضَيْفِ إِبْرَاهِيْمَ الْمُكْرَمِيْنَ. إِذْ دَخَلُوْا عَلَيْهِ فَقَالُوْا سَلَامًا ۖ قَالَ سَلَامٌ قَوْمٌ مُّنْكَرُوْنَ. فَرَاغَ إِلٰى أَهْلِهٖ فَجَآءَ بِعِجْلٍ سَمِيْنٍ
অর্থ: “(হে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার কাছে সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত মেহমানদের সংবাদ মুবারক এসেছে কি? (অর্থ বাকি অংশ পড়ুন...
উনাদেরকে দেখে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন-
كِلاَهُمَا عَلَى خَيْرٍ
উভয়েই উত্তমের মধ্যে রয়েছেন-
وَأَحَدُهُمَا أَفْضَلُ مِنْ صَاحِبِهِ
একজন আরেকজন থেকে শ্রেষ্ঠ, উত্তম।
أَمَّا هَؤُلاَءِ فَيَدْعُونَ اللهَ وَيُرَغِّبُونَ إِلَيْهِ فَإِنْ شَاءَ أَعْطَاهُمْ وَإِنْ شَاءَ مَنَعَهُمْ
উনারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ডাকতেছেন-
فَيَدْعُونَ اللهَ وَيُرَغِّبُونَ إِلَيْهِ
এবং মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির-আয্কারে মশগুল রয়েছেন, প্রার্থনা-দোয়া করতেছেন মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...












