স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি হালাল প্রাণীসমূহের মধ্যে গরুকে বিশেষ মর্যাদা মুবারক দান করেছেন
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার তরতীব অনুযায়ী ২য় ও সবচেয়ে বড় সূরা শরীফ উনার নাম হলো: পবিত্র সূরাতুল বাক্বারাহ্ শরীফ।
বাক্বারাহ্ শব্দের অর্থ হলো: গরু বা গাভী। আর এই নামকরণের অন্যতম কারণ হলো, এই পবিত্র সূরা বাক্বারাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি বনী ইসরাঈলদের একটি সমস্যার সমাধানে সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে তাদেরকে গরু যবেহ করার নির্দেশ মুবারক দেয়ার ঘটনা রয়েছে।
উক্ত ঘটনাটির মূল বিষয় হ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত, মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত যেহেতু উনার উপর রয়েছে এবং তিনি যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত, খাছ ও বিশিষ্ট বান্দাদের মধ্যে বিশিষ্ট বান্দা ছিলেন তাই তিনি বুখারী শরীফ যখন পড়তেছিলেন, এমতাবস্থায় কিছুক্ষণ পর দেখা গেল- আস্তে করে উনার হাত থেকে বুখারী শরীফখানা ছুটে উনার সিনা মুবারকের উপর পড়ে গেল। উনার যারা ছাত্র ছিলেন, মুরীদ-মু’তাক্বিদ ছিলেন, তারা বুঝতে পারলেন যে, মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিদায় নিয়েছেন। সত্যিই উনি ইলিম তলব করা অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। সুবহা বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُبَادَةَ الصَّامِتِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـى عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ خُذُوْا عَنِّي خُذُوْا عَنِّي قَدْ جَعَلَ الله لَهُنَّ سَبِيْلاً البِكْرُ بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيْبُ عَامٍ وَالثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ.
অর্থ: “হযরত উবাদাহ ইবনে ছামিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, তোমরা আমার নিকট হতে মহান আল্লাহ পাক উনার বিধান গ্ বাকি অংশ পড়ুন...
শিক্ষকতা:
শায়খুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ, হযরত আবু সাঈদ মুবারক মাখযূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মাদরাসায়ে নিযামিয়া-এর অন্যতম সুযোগ্য মুয়াল্লিম বা অধ্যাপক ছিলেন। সাইয়্যিদুল আওলিয়া, ইমামে রব্বানী, মাহবূবে সুবহানী, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছাত্র অবস্থায় উনার সেই মাদরাসায়ে নিযামিয়া উনার শিক্ষার্থী হিসেবে যোগদান করলেন। হযরত আবু সাঈদ মুবারক মাখযূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনাকে অত্যন্ত স্নেহ ও যতœ করতেন এবং উনার তা’লীম-তরবিয়ত বা শিক্ষা-দীক্ষার প্রতি বিশেষ নজর রাখতেন। তিনি ছিলেন তৎকালীন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا عَدْوٰى وَلَا طِيَرَةَ وَلَا هَامَةَ وَلَا صَفَرَ.
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই, অশুভ বলতে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কোন কুলক্ষণ নেই এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে কোন খারাপী নেই। সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, হাদীছ শরীফ নং ৫৭৫৭, ৫৩১৬, এবং ৫৪২৫, উমদাতুল ক্বারী ৩১/৩৮ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ক্বিয়াম শরীফ উনার প্রমাণ
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
কারণ, অন্যান্য বহু পবিত্র হাদীছ শরীফ প্রমাণ করে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মজলিসে তাশরীফ মুবারক নিতেন তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা উনার সম্মানার্থে ‘ক্বিয়াম শরীফ’ করতেন। যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ মুবারক আছে-
عَنْ حَضْرَةْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـجْلِسُ مَع বাকি অংশ পড়ুন...
ইহ্ইয়াউল উলূম কিতাব সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে-
এক ব্যক্তি সেই কিতাবকে অবজ্ঞা করেছিল, অর্থাৎ ইহ্ইয়াউল উলূম কিতাবকে। এক বুযুর্গ ব্যক্তি স্বপে¦ দেখলেন, সেই ব্যক্তিকে সেই কিতাব অবজ্ঞা করার কারণে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দোররা মেরেছেন।
সেই ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার যখন ইন্তেকালের সময় হয়ে গেল। উনার যখন ইন্তেকালের সময় হয়ে গেল, উনি উনার কাফনের কাপড় ধুয়ে মুছে অর্থাৎ ধুয়ে, শুকায়ে, পরিস্কার করে উনার পার্শ্বে রেখে দিয়ে উনি বুখারী শরীফ নিয়ে শুয়ে (যেহেতু উনি জঈফ হয়ে গি বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنَّهُ خَطَبَ فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ حَضْرَتْ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم بِالْحَقِّ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، فَكَانَ فِيمَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ آيَةُ الرَّجْمِ. قَرَأْنَاهَا وَوَعَيْنَاهَا وَعَقَلْنَاهَا، فَرَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ، فَأَخْشَى إِنْ طَالَ بِالنَّاسِ زَمَانٌ أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ: مَا نَجِدُ الرَّجْمَ فِي كِتَابِ اللَّهِ، فَيَضِلُّوا بِتَرْكِ فَرِيضَةٍ أَنْزَلَهَا اللَّهُ، وَإِنَّ الرَّجْمَ حَقٌّ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَلَى مَنْ زَنَى، إِذَا أُحْصِنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ، إِذَا قَام বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
هَا أَنتُمْ أُولَاءِ تُحِبُّونَهُمْ وَلَا يُحِبُّونَكُمْ وَتُؤْمِنُونَ بِالْكِتَابِ كُلِّهِ وَإِذَا لَقُوكُمْ قَالُوا آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْا عَضُّوا عَلَيْكُمُ الْأَنَامِلَ مِنَ الْغَيْظِ. قُلْ مُوتُوا بِغَيْظِكُمْ. إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
অর্থ: দেখ! তোমরাতো তাদেরকে (বন্ধু ভেবে) মুহব্বত করো, কিন্তু তারা তোমাদেরকে মুহব্বত করে না। আর তোমরা (মহান আল্লাহ পাক প্রদত্ত) সমস্ত কিতাবে বিশ্বাস করো (কিন্তু তারা তোমাদের কিতাবে বিশ্বাস করে না)। কাফির-মুশরিক তারা যখন তোমাদের সংস্পর্শে আসে তখন (কপটতার সাথে) বলে, আমরাও বিশ্বাস করি। আবার যখন তারা একান্তে মিলিত বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রশংসা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি করেছেন। এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ঈমান, সততা, তাকওয়া, আদর্শ, নিষ্ঠা তথা উনাদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যাবলীর ব্যাপারেও মহান আল্লাহ পাক তিনি সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
যেমন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “কিতাবীরা সকলেই (সমান নয়) একরকম নয়। কিতাবীদের মধ্যে (সম্মানিত দ্বীন ইসলামের উপর) অবিচল একদল আছেন, যারা রাত্রিকালে সিজদারত অবস্থায় মহান বাকি অংশ পড়ুন...












