ইমামুল মুহাদ্দিসীন হযরত মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি সমগ্র বিশ্বে সকলের কাছে এক নামে স্বীকৃত একজন মুহাদ্দিস। এখন থেকে প্রায় পাঁচশত বছর পূর্বে উনার বিলাদত শরীফ। তিনি পবিত্র ইলমে হাদীছ শরীফ উনার জ্ঞান অর্জন করতে পবিত্র মক্কা শরীফ, পবিত্র মদীনা শরীফ সব স্থানে সফর করেন। সকল মাদরাসায় পঠিত এবং সকল উছুলে হাদীছ শরীফ উনার কিতাবে উনার নাম স্বমহিমায় উজ্জ্বল দীপ্তি ছড়াচ্ছে। উনার রচিত ‘মিশকাত শরীফ’-এর ব্যাখ্যা গ্রন্থ ‘মিরক্বাত শরীফ’ সারা পৃথিবীতে একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী কিতাব। তিনি সারাটা জীবন অসংখ্য কিতাব রচনা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَدَّ كَثِيرٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يَرُدُّونَكُمْ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِكُمْ كُفَّارًا حَسَدًا مِنْ عِنْدِ أَنْفُسِهِمْ
অর্থ: আহলে কিতাব তথা ইহুদী-নাছারাদের অনেকেই হিংসামূলক মনোভাবের কারণে আকাঙ্খা করে যে, ঈমান আনার পর আবার তোমরা কাফির হও। (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৯)
মুবারক শানের খিলাফ সকল বর্ণনাই অগ্রহণযোগ্য যদিও সেটা বর্ণিত হয় পবিত্র বুখারী শরীফসহ অন্যান্য প্রসিদ্ধ কিতাবে
কোনো বর্ণনা যদি নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহ বাকি অংশ পড়ুন...
বিগত পর্বে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং হযরত তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের দলীল থেকে প্রমাণ দেখেছি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখেছেন। আজকের পর্বে সম্মানিত হযরত তাবে’ তাবেয়ীন ও পরবর্তী হযরত উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মতামত দেখবো-
বিখ্যাত তাবে’ তাবেয়ী হযরত ইবরাহীম ইবনে তহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত: ১৬৮ হিজরী) উনার মত:
قَالَ حَفْصُ بنُ عَبْدِ اللهِ: سَمِعْتُ إِبْرَاهِيْمَ بنَ طَهْمَانَ يَقُوْلُ: و বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلاَ تَقُولُواْ لِمَا تَصِفُ أَلْسِنَتُكُمُ الْكَذِبَ هَـذَا حَلاَلٌ وَهَـذَا حَرَامٌ لِّتَفْتَرُواْ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللّهِ الْكَذِبَ لاَ يُفْلِحُونَ
অর্থ: তোমাদের মুখ থেকে সাধারণত যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে। তেমনিভাবে তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে বলো না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনার বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করে, তারা কখনোই কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে না। নাঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা নাহল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৬)
মূলত যারা হালালকে হারাম আর হারামকে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
حُبُّ الصَّحَابَةِ إيْمَانٌ وَ بُغْضُهُمْ كُفْرٌ
অর্থ: হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান, আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী। (কানযুল উম্মাল)
বাকি অংশ পড়ুন...
“কম দূরত্বের কারণে সময়ের পার্থক্য যেহেতু মান্য করা ফরয, সেহেতু বেশি দূরত্বের কারণে দিনের পার্থক্য মেনে ভিন্ন ভিন্ন দিনে পবিত্র ঈদ পালন করা ও পবিত্র রোযা শুরু করা ফরযে আইন”
সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার দাবিকারীরা দাজ্জাল ও কায্যাব, তাদের থেকে দূরে থাকা ফরয-ওয়াজিব:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاللهُ يَشْهَدُ إِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَكَاذِبُونَ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। (পবিত্র সূরা মুনাফিকূন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-১)
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা নছর শরীফ উনার
تحقيقات الكلمات الطيبات (পবিত্রতম শব্দাবলী উনাদের বিশ্লেষণ)
:اذا جاء অর্থ : যখন আসবে। ماضى معروف এর পূর্বে حرف شرط ব্যবহৃত হলে সেক্ষেত্রে فعل مضارع এর অর্থ হয়, اذا শব্দটি حرف شرط সে জন্য مضارع معروف এর অর্থ দিয়েছে। ছীগাহ : واحد مذكر غائب বাহাছ : ماضى معروف বাব : ضرب يضرب মাদ্দাহ : ج-ء-ى মাছদার : الـمجئ ‘আল-মাজীউ’।
:الفتح অর্থ : বিজয়। শব্দটি বাবে فتح- يفتح এর মাছদার।
:رأيت অর্থ : আপনি দেখবেন। ছীগাহ : واحد مذكر حاضر বাহাছ : فعل ماضى معروف বাব : فتح-يفتح মাদ্দাহ : ر-ء-ى মাছদার : الرؤية জিন্স : مهموز عين وناقص يائى
:يدخلون অর্থ : প্রবেশ করবে। ছীগাহ : جمع مذكر حاضر বাহাছ : اثبات فعل مضارع معروف বাব : نصر ينصر ম বাকি অংশ পড়ুন...
ইবলীস তো ওয়াদা করেছে, তাকে যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বের করে দিলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন-
فَاخْرُجْ مِنْهَا فَإِنَّكَ رَجِيْمٌ وَاِنَّ عَلَيْكَ لَعْنَتِىْ اِلَى يَوْمِ الدِّينِ
ইবলীস তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও। নিশ্চয়ই তুমি বিতাড়িত, লা’নতপ্রাপ্ত।
وَاِنَّ عَلَيْكَ لَعْنَتِىْ اِلَى يَوْمِ الدِّينِ
নিশ্চয়ই তোমার প্রতি অনন্তকালব্যাপী লা’নত বর্ষিত হবে। তখন ইবলীস বলেছিলো-
قَالَ فَبِعِزَّتِكَ لَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ
ইবলীস বলেছিলো, আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনার ক্বসম! আপনার ইজ্জত মুবারক উনার ক্বসম! আয় মহান আল্লাহ পাক! অবশ্যই ইবলীস সমস্ত মানুষদেরকে গোমরাহ করে ফেলবে। নাউযুবিল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّيْنَ لَا نَبِىَ بَعْدِى.
অর্থ: হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুলসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি শেষ নবী। আমার পরে আর কোন নবী আসবেন না।
বাকি অংশ পড়ুন...
কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয-ওয়াজিব, আর এর চেয়ে কমে কাটা ও মু-ন করা হারাম হওয়ার অকাট্য দলীলসমূহ:
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারাও দাড়ি রাখার আবশ্যকতা ও দাড়ি কাটার নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হয়। যেমন- মহান আল্লাহ পাক তিনি “পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার” ১১৯নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَآمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللهِ- الخ
অর্থ: (ইবলীসের অঙ্গিকার) আর আমি তাদেরকে আদেশ করবো, যাতে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিতে বিকৃতি বা পরিবর্তন ঘটাবে। ............” উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে (ব্যাখ্যায় বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আর যখন আমি বললাম, হে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম! আপনারা জ্বিন সহ আমার যিনি খলীফা, আবুল বাশার হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সিজদা করুন। সকলেই সিজদা করলো। কিন্তু সে (ইবলীস) অস্বীকার করলো, অহংকার করলো, সে সিজদা করলো না। যার কারণে সে কাফির হয়ে গেল। নাঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৪)
উল্লেখ্য, ইবলীস একটি আদেশ মুবারক অমান্য করার কারণে যদি সবচেয়ে বড় বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনাকে হাক্বীক্বীভাবে দেখেছেন সে বিষয়ে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
اِبْنُ عَبَّاسٍ رَأَيْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ لَيْسَ كَمِثْلِهٖ شَيْءٌ
“হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আমার রব তায়ালা উনাকে উত্তমরুপে দেখেছি। উনার কোন মেছাল নেই।” [আল ফিরদাউস বাকি অংশ পড়ুন...












