মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দীদার মুবারক (৫)
, ১৮ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৪ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ২২ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ০৬ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
اِبْنُ عَبَّاسٍ رَأَيْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ لَيْسَ كَمِثْلِهٖ شَيْءٌ
“হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আমার রব তায়ালা উনাকে উত্তমরুপে দেখেছি। উনার কোন মেছাল নেই।” [আল ফিরদাউস লি দায়লামী ২/২৫৪: হাদীছ ৩১৮৩; লেখক: ইমাম হযরত দায়লামী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ৫০৯ হিজরী; প্রকাশনা: দারু কুতুব আল ইলমিয়া, বৈরুত, লেবানন]
ইতিপূর্বের আলোচনা থেকে আমরা মারফ’ু ও মাওকুফ তথা সরাসরি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে এবং উনার সম্মানিত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে দলীল দেখেছি। এবার হযরত তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের বর্ণনা বা মাকতু হাদীছ শরীফ থেকে দলীলসমূহ দেখবো-
হযরত ইকরামা রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ১০৬ হিজরী) উনার মত:
حَدَّثَنَا ابْنُ حُمَيْدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ وَاضِحٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ عُبَيْدٍ قَالَ: سَمِعْتُ عِكْرِمَةَ، وَسُئِلَ هَلْ رَأَى مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ قَالَ: نَعَمْ، قَدْ رَأَى رَبَّهُ.
“হযরত ঈসা ইবনে উবাইদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত ইকরামা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে শুনেছি। উনাকে প্রশ্ন করা হলো, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কি উনার রব তায়ালা উনাকে দেখেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ! অবশ্যই তিনি মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখেছেন।” (তাফসীরে তাবারী ২২/২২: হাদীছ শরীফ ৩২৭৪৯, ইবনে আবী হাতিম ১৮৬৯৭, তাফসীরে দুররে মানছূর ৬/১৫৯)
حَدَّثَنَا خَلاَّدُ بْنُ أَسْلَمَ قَالَ: أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ قَالَ: أَخْبَرَ عَبَّادٌ يَعْنِي ابْنَ مَنْصُورٍ قَالَ: وَسَأَلْتُ عِكْرِمَةَ، عَنْ قَوْلِهِ: {مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى} قَالَ: أَتُرِيدُ أَنْ أَقُولَ لَكَ قَدْ رَآهُ، نَعَمْ قَدْ رَآهُ، ثُمَّ قَدْ رَآهُ، ثُمَّ قَدْ رَآهُ حَتَّى يَنْقَطِعَ النَّفَسُ
“হযরত ইবনে মানছূর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। হযরত ইকরামা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে এ পবিত্র আয়াত শরীফ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে (তিনি যা দেখেছিলেন অন্তর তা অস্বীকার করেনি) তিনি বলেন, আমি আপনাকে অবশ্যই বলতে চাই তিনি অবশ্যই দেখেছেন, হ্যাঁ অবশ্যই দেখেছেন, অতঃপর অবশ্যই দেখেছেন, অবশ্যই দেখেছেন। এভাবে বলতে থাকতেন। এমনকি উনার শ্বাস বন্ধ হয়ে যেতো বলতে বলতে।” (তাফসীরে তাবারী ২২/২২: হাদীছ শরীফ ৩২৭৪৮)
قَالَ رَجُلٌ: أَلَيْسَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ: {لَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ} [الأنعام: ১০৩] ؟ فَقَالَ عِكْرِمَةُ: أَلَيْسَ تَرَى السَّمَاءَ؟ قَالَ: بَلَى، قَالَ: فَكُلَّهَا تَرَى؟
“এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি কি বলেননি যে, “দৃষ্টিসমূহ উনাকে পেতে পারে না [আনআম-১০৩] (তাহলে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কিভাবে মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখলেন?) প্রশ্নের জবাবে হযরত ইকরামা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, তুমি কি আসমানে (আসমানের উপরে জান্নাতে প্রবেশ করে) মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখবে না? লোকটি বলল, অবশ্যই দেখবো। তিনি বললেন, এটাতো এমন-ই। (মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাত আসমান অতিক্রম করে গিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখেছেন। তাই এ আয়াতের বিরোধিতা হচ্ছে কিভাবে?) [রুইয়াতুল্লাহ লি ইমাম দারাকুতনী, হাদীছ শরীফ নং ২৭৮, আসসুন্নাহ লি ইবনে আবী আছেম হাদীছ শরীফ ৪৩৪]
-খাজা মুহম্মদ নুরুদ্দীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












