ইস্তিব্রা করা আমভাবে ওয়াজিব:
উল্লেখ্য যে, ইস্তিব্রা করা আমভাবে ওয়াজিব। আর খাছভাবে এই ইস্তিব্রা করা কারো জন্য ফরয, কারো জন্য ওয়াজিব এবং কারো জন্য সুন্নত মুয়াক্কাদাহ্। যা অবশ্যই করতে হবে।
“শরহে মুখতাছার খলীল” কিতাবের ১ম খন্ডে ১৪৭ পৃষ্টায় উল্লেখ আছে-
إنَّمَا وَجَبَ الِاسْتِبْرَاءُ اتِّفَاقًا؛
অর্থ:“সকল উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ঐক্যমতে ইস্তিব্রা করা ওয়াজিব”।
“শরহে মুসলিম শরীফ” কিতাবে উল্লেখ আছে,
نجاسة البول ووجوب الاستبراء منه
অর্থ: “ইমাম নববী রহমাতুল্লাহ্ আলাইহি তিনি বলেন, ইস্তিন্জা নাপাক (প্রস্রাব নাপাক) এবং ইস্তিন্জা বাকি অংশ পড়ুন...
ছবি তোলা মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রকাশ্য নাফরমানী।
এ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে হাদীছ শরীফ উনার নির্দেশনা মুবারক রয়েছে।
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُوْنَ هٰذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوْا مَا خَلَقْتُمْ
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবার বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ يَّعْصِ اللهَ وَرَسُولَهٗ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُّبِيْنًا
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যদি কেউ উনার মধ্যে মত পেশ করে তাহলে সে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নাফরমানী করলো যার কারণে সে প্রকাশ্য গোমরাহীতে সে গোমরাহ হয়ে গেলো। নাঊযুবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে স্পষ্ট বলে দিলেন, জানিয়ে দিলেন যে দেখো, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব যিনি নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নূরুন নি‘য়ামাহ মুবারক অর্থাৎ দাড়ি মুবারকের বর্ণনা:
আবূ দাউদ শরীফের বিখ্যাত শরাহ বজলুল মাজহুদে উল্লেখ আছে যে, ফিতরাত অর্থ হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুন্নত। অর্থাৎ এই দশটি সুন্নত যেগুলোর মধ্যে গোঁফ কাটা ও দাড়ি লম্বা করাও অন্তর্ভুক্ত, তা সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও সুন্নত বা তরীক্বা।
সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, পূর্ববর্তী সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা কমপক্ষে একমুষ্ঠি বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি একবার এক ইহুদীর সাথে মল্লযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে একে একে তিনদিন জিহাদ করার পরে ইহুদীকে পরাস্ত করে তাকে মাটিতে শোয়ালেন এবং ইহুদীর গর্দানে তরবারী চালানোর ইচ্ছা করলেন। সে মুহূর্তে সেই ইহুদী সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার চেহারা মুবারকের দিকে থুথু নিক্ষেপ করলো। আর তখনই হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি ইহুদীকে ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। এতে ইহুদী আশ্চর্যান্বিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলো যে- হুযূর! আপ বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার পূর্বে:
(অবশেষে অনেক ভেবে চিন্তে) আমি অগ্রসর হলাম। আমি যখন পবিত্র মদীনা শরীফে আসলাম, লোকেরা আমার প্রতি ইঙ্গিত করে বলাবলি করতে লাগলেন, এই যে আদী ইবনে হাতেম! এই যে আদী ইবনে হাতেম! অতঃপর আমি কারো কোন কথার প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আসলাম। তিনি আমাকে বললেন, “হে আদী ইবনে হাতেম! ইসলাম গ্রহণ করো, দোযখ থেকে নিরাপত্তা হাছিল করবে। ” আমি বললাম, “আমার একটি ধর্ম রয়েছে। ” নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তি বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বয়ীফ হলেই কি হাদীছ শরীফ
গ্রহণ করা যাবে না?
দ্বয়ীফ হলেই কি হাদীছ শরীফ গ্রহণ করা হবে না? যারা এমন কথা বলে তাদের জেনে রাখা দরকার, ইমাম হযরত বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব “আদাবুল মুফাররাদ” কিতাবে এমন অনেক হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন যার সনদ দ্বয়ীফ। বিখ্যাত হাদীছ শরীফ বিশারদ হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “তাকরীবুত তাহযীব” কিতাবে প্রায় ৫২ জন রাবীকে দুর্বল সাব্যস্ত করেছেন যারা সকলেই “আদাবুল মুফাররাদ” কিতাবের রাবী। ইমাম হযরত বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যদি দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ নাই মানতেন বা গ্র বাকি অংশ পড়ুন...












