মরদূদ দরবেশ বালয়াম বিন বাউরা তিনশত বছর ইবাদত করেছিলো। চোখ বন্ধ করলে সিদরাতুল মুনতাহা থেকে তাহ তাছ্ছারা পর্যন্ত সবকিছু দেখতে পেতো। তার সমস্ত দোয়া কবুল করা হতো। কিন্তু হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে বেয়াদবী করার কারণে ৩০০ বছর পর সেও গোমরাহ হয়ে গেলো। তার সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ الَّذِي آتَيْنَاهُ آيَاتِنَا فَانسَلَخَ مِنْهَا فَأَتْبَعَهُ الشَّيْطَانُ فَكَانَ مِنَ الْغَاوِينَ
অর্থ: “আর আপনি তাদের নিকট বর্ণনা করুন, সে লোকের অবস্থা, যাকে আমি নিজের নিদর্শনসমূহ দান করেছিলাম, অথচ সে তা পরিহার করে বেরিয়ে গেছে। আর বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার এক ওলী, এক বুযূর্গ ব্যক্তি এক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি একটি মসজিদ দেখলেন। মসজিদের ভিতরে কিছু লোক রয়েছে আর ইবলিসকে দেখলেন মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি ইবলিসকে বললেন, মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি করতেছিস? ইবলিস ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বললো, হুযূর! আমার একটা কাজ রয়েছে এখানে। কি কাজ রয়েছে? আমার কাজ হচ্ছে- এই মসজিদে একটা লোক এক কোণায় নামায পড়তেছে, আমি তাকে ওয়াসওয়াসা দেয়ার জন্য প্রবেশ করার ইচ্ছা পোষণ করেছি, কিন্তু তার বিপরীত কোণায় আরেকজন আলিম, আল্লাহওয়ালা, ফক্বীহ ব্যক্তি ঘুমিয়ে আছেন। অর্থাৎ এক বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের সুস্পষ্ট বর্ণনা দ্বারা খেলাধুলাকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لَاعِبِينَ
অর্থ: আমি আসমান ও যমীন এবং এতদুভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে তা ক্রীড়াচ্ছলে অর্থাৎ খেলাধুলার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি। (পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬)
এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিখ্যাত ও বিশুদ্ধ কিতাব ‘মুস্তাদরাক লিল হাকিম শরীফ ’উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুব বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একজন বিশিষ্ট ছাহাবী। নাম আদী, উপনাম আবু ত্বরীফ অথবা আবু ওয়াহাব, পিতার নাম হাতিম বিন আবদিল্লাহ, তাঈ গোত্রের অধিবাসী। উনার পিতা বিখ্যাত কবি ও প্রসিদ্ধ দানবীর হাতিম তাঈ উনার ন্যায় তিনি ছিলেন ইনযিল শরীফের অনুসারী এবং উত্তরাধিকারসূত্রে উনার পিতার নিকট হতে তাঈ গোত্রের কর্তৃত্বভার লাভ করেন। (উসুদুল গাবা, ইছাবা)
দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার পূর্বে:
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার পূর্বে তিনি একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: পবিত্র কুরবানীর পশুর জন্য কোন কোন ত্রুটি থেকে মুক্ত হওয়া জরুরী?
জাওয়াব: পবিত্র কুরবানীর জন্য পশু দোষ-ত্রুটি মুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। পশুর ত্রুটিগুলি দু’ভাগে বিভক্ত। (এক) আয়িবে ফাহিশ অর্থাৎ বড় ধরনের দোষ বা ত্রুটি। যার কোন একটি পশুর মধ্যে থাকলে উক্ত পশু দ্বারা কুরবানী শুদ্ধ হবে না। যেমন- এমন দূর্বল পশু, যার হাড়ে মজ্জা বা মগজ শুকিয়ে গেছে। অথবা যে সকল পশু কুরবানীর জায়গা পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারেনা। যেসব পশুর একটি পা এরূপ নষ্ট হয়ে গেছে যে, উক্ত পা দ্বারা চলার সময় কোন সাহায্য নিতে পারে না। যে পশুর কান অথবা লেজের তিনভাগের একভাগ কাট বাকি অংশ পড়ুন...
আর এর ভিত্তিতে সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে ফতওয়া দেয়া হয়েছে যে, ঈমান কাকে বলে?
আক্বাঈদের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
اَلْاِيْمَانُ تَصْدِيْقٌ بِالْجَنَانِ
اَلْاِيْمَانُ هُوَ التَّصْدِيْقُ بِالْجَنَانِ بِمَا جَاءَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهَ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِ اللهِ
وَالْاِقْرَارُ بِاللِّسَانِ وَالْعَمَلُ بِالْاَرْكَانِ.
যেটা আক্বাঈদের কিতাবে বলা হয়েছে, ঈমান কাকে বলে?
اَلْاِيْمَانُ هُوَ التَّصْدِيْقُ بِالْجَنَانِ
ঈমান হলো অন্তরে বিশ্বাস স্থাপন করা
بِمَا جَاءَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهَ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِ اللهِ
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে বাকি অংশ পড়ুন...
وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا وَإِنَّ اللَّهَ لَمَعَ الْمُحْسِنِينَ
অর্থ: যারা আমার (সন্তুষ্টি-রেজামন্দির) জন্য চেষ্টা কোশেশ করে, আমি অবশ্যই অবশ্যই তাদেরকে সেই পথপ্রদর্শন করবো। আর নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি মুহসিন তথা আল্লাহওয়ালাদের সাথেই রয়েছেন। (পবিত্র সূরা আন কাবুত: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৯)
অর্থ্যাৎ সন্তুষ্টি রেজামন্দী হাছিলের একমাত্র পথ হলো ওলী-আউলিয়া উনাদের সংস্পর্শ তথা ছোহবতে থাকা। বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আর যখন আমি বললাম, হে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম! আপনারা জ্বিন সহ আমার যিনি খলীফা, আবুল বাশার হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সিজদা করুন। সকলেই সিজদা করলো। কিন্তু সে (ইবলীস) অস্বীকার করলো, অহংকার করলো, সে সিজদা করলো না। যার কারণে সে কাফির হয়ে গেল। নাঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ শরীফ-৩৪)
উল্লেখ্য, ইবলীস একটি আদেশ মুবারক অমান্য করার কারণে যদি সবচেয়ে বড় নাফরমান হয়ে যায়, ত বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْه وَسَلَّمَ رِبَاطُ يَوْمٍ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ خَيْرٌ مِّنَ الدُّنْيَا وَمَا عَلَيْهَا.
অর্থ: হযরত সাহল ইবনে সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন; নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র রাস্তায় জিহাদে অংশগ্রহণ করে একদিন পাহারা দেয়ার এমনই ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী সম্মান যে, দুনিয়া এবং তার মধ্যে যাবতীয় বস্তু-সামগ্রী থেকে সর্বোত্তম। সুবহানাল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক হচ্ছেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা। স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের প্রতি সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
رَضِىَ اللهُ عَنْهُمْ وَرَضُوْا عَنْهُ
অর্থ : মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাক্বীক্বীভাবে অর্জন করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাইয়্যিনাহ্ শরীফ: আয়াত শরীফ ০৮)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
কাফির মুশরিকদের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ঘোষণা করে দেন যাতে মুসলমানরা সাবধান, সতর্ক হতে পারে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَدَّ كَثِيرٌ مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يَرُدُّوْنَكُمْ مِّنْ بَعْدِ إِيْمَانِكُمْ كُفَّارًا حَسَدًا مِّنْ عِنْدِ أَنفُسِهِمْ
অর্থ: আহলে কিতাব তথা ইহুদী-নাছারাদের অনেকেই হিংসামূলক মনোভাবের কারণে কামনা করে যে, ঈমান আনার পর আবার তোমরা কাফির হয়ে যাও। (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৯)
মুসলমানদেরকে জাহান্নামী করার জন্য কাফির-মুশরিকরা উল্লেখযোগ্য হাতিয়ার হিসেবে ছবি ও বে বাকি অংশ পড়ুন...












