হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ফযীলত ও মর্যাদা:
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেহেতু সত্যের মাপকাঠি, ‘মিয়ারে হক্ব’। সেহেতু ক্বিয়ামত পর্যন্ত পরবর্তী উম্মতকে জন্ম থেকে শুরু করে ইন্তিকালের পর পর্যন্ত সর্বদিক থেকে সকল বিষয়ে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে যথাসাধ্য অনুসরণ-অনুকরণ করতে হবে। এক জাররা পরিমাণ বা বিন্দু পরিমাণ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে চু-চেরা, কিল-কাল করা যাবে না। শুধু তাই নয়, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্ব বাকি অংশ পড়ুন...
সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا آمِنُوْا
হে ঈমানদাররা! ঈমান আনো, মু’মিনে কামিল হয়ে যাও তখনই তোমাদের জন্য কামিয়াবী। সময় কিন্তু কারো জন্য অপেক্ষা করে না, মৃত্যু যথাসময় হয়ে যাবে। যেটা আমি পূর্বেও বলেছি এখনও বলছি-
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ فَإِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً وَّلَا يَسْتَقْدِمُوْنَ
প্রত্যেকের জন্য মৃত্যু রয়েছে। যখন মৃত্যু এসে যাবে তখন এক সেকেন্ড আগেও হবে না, এক সেকেন্ড পরেও হবে না। কাজেই সময় থাকতে তওবা করে, ইস্তিগফার করে, নিজের ঈমান-আমল শুদ্ধ করে নিতে হবে।
ঈমান যদি শুদ্ধ থাকে সে এক সময় নাজা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَلَاٰمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللهِ وَمَنْ يَّتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّنْ دُوْنِ اللهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِيْنًا
অর্থ: “(ইবলিস শয়তানের অঙ্গীকার) আর আমি তাদের (মানুষদের) মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিকৃত আকৃতি পরিবর্তন বা বিকৃত করার আদেশ করবো। (মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন এ ব্যাপারে) যারা মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, তারা প্রকাশ্য ক্ষতিগ্রস্তের অন্তর্ভুক্ত। ” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ, ১১৯)
দাড়ি মু-ন করা আকৃতি-বিকৃতি করার নামান্তর। যা সম্মানিত শরীয়তে বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত হয়েছে-
قَالَ الطَّبَرَانِىُّ فِى الْكَبِيْرِ عَنْ حَضْرَتْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِت رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ: اَلْأَبْدَال فِي أُمَّتِي ثَلَاثُوْنَ : بِهِمْ تَقُوْمُ الْأَرْضُ وَبِهِمْ تُمْطَرُوْنَ وَبِهِمْ تُنْصَرُوْنَ.
অর্থ: “হযরত ইমাম ত্ববারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার “আল মু’জামুল কবীর” কিতাবে উল্লেখ করেন। হযরত উবাদা ইবনে ছামিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশজন আবদাল সর্বদাই থাকবে বাকি অংশ পড়ুন...
“মুগনী” কিতাবে উল্লেখ আছে- لَهْوَ الْحَدِيْثِ ‘লাহ্ওয়াল হাদীছ’ হচ্ছে- গান-বাজনা, সঙ্গীত। এ আয়াত শরীফ দ্বারা তা হারাম সাব্যস্ত হয়েছে। যে ব্যক্তি এটাকে হালাল জানবে সে কাফের হবে।
وَفِىْ جَامِعِ الْفَتَاوَى اِسْتِمَاعُ الْمَلَاهِى وَالْجُلُوْسُ عَلَيْهَا وَضَرْبُ الْمَزَامِيْرِ وَالرَّقْصُ كُلُّهَا حَرَامٌ وَمُسْتَحِلُّهَا كَاِفرٌ.
অর্থ: “জামিউল ফতওয়াতে” উল্লেখ আছে, গান-বাজনা শ্রবন করা, গান-বাজনার মজলিসে বসা, বাদ্য-যন্ত্র বাজানো, নর্তন-কুর্দন করা সবই হারাম। যে ব্যক্তি এগুলোকে হালাল মনে করবে সে ব্যক্তি কাফের।
বাকি অংশ পড়ুন...
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। উনার হুকুম বা নির্দেশেই জগতের সব কিছু পরিচালিত হয়। তবে তিনি জগত পরিচালনার ক্ষেত্রে যেরূপ হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিয়োগ করেছেন, তদ্রুপ মানুষের মধ্যে যারা খাছ ওলীউল্লাহ তথা আবদাল, কুতুব, গাউছ রয়েছেন, উনাদের কাছেও তিনি জগত পরিচালনার অনেক দায়িত্ব ন্যস্ত করে থাকেন। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম ও হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমেই জগত পরিচালনা করে বাকি অংশ পড়ুন...
اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) এর পরিচয় ও আহ্কাম:
ইস্তিব্রা কাকে বলে:
اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) শব্দটি بَرَأَ(বারায়া) শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ হলো পবিত্র করতে চাওয়া। এই اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) দু’ভাগে বিভক্ত। যথা: (১) যে اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) এর মাধ্যমে রেহেম শরীফকে (জরায়ুকে) অন্যের সন্তান হতে হায়েযের দ্বারা (মাসিক মাজুরতার দ্বারা) পবিত্রতার নিশ্চয়তা সম্পর্কে অবগত হওয়া। (২) যে اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) এর মাধ্যমে ছোট ইস্তিন্জার রাস্তা (প্রস্রাবের রাস্তা) পবিত্র করতে চাওয়া।
এখানে اَلْاِسْتِبْرَاءُ (ইস্তিব্রা) বলতে ছোট ইস্তিন্জা (প্রস বাকি অংশ পড়ুন...
وَإِمَّا يُنْسِيَنَّكَ الشَّيْطَانُ
শয়তান যদি তোমাদেরকে ধোঁকা দিয়ে প্রতারণা করে, মিথ্যা বলে তাদের কাছে নিয়ে যায়, ওখানে যাওয়ার পরে যখন তোমাদের এ কথাটা স্মরণ হবে এই লোকটা মহান আল্লাহ পাক উনার বিরোধিতা করে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করে এটা স্মরণ হওয়া মাত্রই
فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ الذِّكْرَى مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
এই জালিমদের সাথে আর বসো না, এখান থেকে সরে চলে আসো, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন। এটা হচ্ছে মুসলমান ঈমানদারের একটা সংজ্ঞা। ঈমানদার কাকে বলে? ঈমানদার ঐ ব্যক্তি; মহান আল্লাহ পাক উনার বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِيْنَ آمَنُوا الْيَهُوْدَ وَالَّذِيْنَ أَشْرَكُوْا
অর্থ: আপনি অবশ্যই ঈমানদারদের জন্য মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবেন ইহুদী ও মুশরিকদেরকে। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ-৮২) অর্থাৎ খাছভাবে সমস্ত ইহুদী এবং মুশরিকরা মুসলমানদের সবচাইতে বড় শত্রু আর আমভাবে সকল কাফির-মুশরিক, বিধর্মীরাই মুসলমানদের শত্রু।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে ইহুদী-মুশরিকসহ সকল কাফিরদেরকে শত্রু হিসেবে জেনে তাদের সকল ষড়যন্ত্র থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন!
বাকি অংশ পড়ুন...
ওহাবী সালাফীরা কি জানে বুখারী শরীফেই দ্বয়ীফ সনদের বর্ণনা আছে:
বর্ণনাকারী যদি তার উস্তাদকে বাদ দিয়ে সরাসরি পরবর্তী ব্যাক্তি থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করে সেক্ষেত্রে পবিত্র হাদীছ শরীফখানা উছুল অনুযায়ী মুয়াল্লাক হাদীছ শরীফ হয়। উছূলের কিতাবে মুয়াল্লাক হাদীছ শরীফ উনাকে বর্জনীয় বলা হয়েছে। অথচ মজার বিষয় হলো ছহীহ বুখারী শরীফেও মুয়াল্লাক হাদীছ শরীফ রয়েছে। যেমন-
قَالَ مَالِكٌ : أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ أَخْبَرَهٗ اَنَّ أَبَا سَعِيْدٍ الْـخُدْرِىَّ اَخْبَرَهٗ أَنَّهٗ سَمِعَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيَهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ
উক্ত সনদখানা বুখা বাকি অংশ পড়ুন...












