ঘটনা থেকে শিক্ষা
একজন ফক্বীহ বা আল্লাহওয়ালা তিনি শয়তানের কাছে এক হাজার আবিদ থেকেও বেশী ভয়ঙ্কর
, ২৮ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২৩ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মহান আল্লাহ পাক উনার এক ওলী, এক বুযূর্গ ব্যক্তি এক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি একটি মসজিদ দেখলেন। মসজিদের ভিতরে কিছু লোক রয়েছে আর ইবলিসকে দেখলেন মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি ইবলিসকে বললেন, মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি করতেছিস? ইবলিস ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বললো, হুযূর! আমার একটা কাজ রয়েছে এখানে। কি কাজ রয়েছে? আমার কাজ হচ্ছে- এই মসজিদে একটা লোক এক কোণায় নামায পড়তেছে, আমি তাকে ওয়াসওয়াসা দেয়ার জন্য প্রবেশ করার ইচ্ছা পোষণ করেছি, কিন্তু তার বিপরীত কোণায় আরেকজন আলিম, আল্লাহওয়ালা, ফক্বীহ ব্যক্তি ঘুমিয়ে আছেন। অর্থাৎ একজন ফক্বীহ তিনি ঘুমিয়ে আছেন কিন্তু তার বিপরীত দিকে একজন আবিদ সে ইবাদত করতেছে। আমার ইচ্ছে হচ্ছে- আমি আবিদকে ওয়াসওয়াসা দিই। কিন্তু ওই আলিম, যিনি ফক্বীহ, আল্লাহওয়ালা তিনি শুয়ে রয়েছেন, উনার রোবের কারণে আমি প্রবেশ করতে ভয় পাচ্ছি যে, তিনি আমাকে আবার ধরে ফেলেন কি-না? সেজন্য আমি ভয় পাচ্ছি। কেননা, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-
فَقِيهٌ وَاحِدٌ أَشَدُّ عَلَى الشَّيْطَانِ مِنْ أَلْفِ عَابِدٍ.
অর্থ: “একজন ফক্বীহ শয়তানের কাছে এক হাজার আবিদ থেকে ভয়ঙ্কর। ” (সুনানে ইবনে মাজাহ, শরহুস সুন্নাহ, শুয়াবুল ঈমান)
তাই শয়তান সবসময় আবিদকে ওয়াসওয়াসা দিয়ে থাকে। কিন্তু একজন ফক্বীহ বা আল্লাহওয়ালা উনাকে সে ওয়াসওয়াসা দিতে অনেক চিন্তা-ফিকির করে থাকে। কারণ সে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ষোল আনাই।
কাজেই, ইবলীস সে একজন ফক্বীহ উনাকে ভয় করে থাকে। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এজন্যই ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, “যাকে দ্বীনি সমঝ দেয়া হয়েছে, তাকে সম্পূর্ণ কল্যাণ দেয়া হয়েছে। ”
অতএব প্রত্যেকের দায়িত্ব হচ্ছে- ফক্বীহ বা আল্লাহওয়ালা হওয়ার জন্য কোশেশ করা। আর এজন্য যিনি আল্লাহওয়ালা হয়েছেন অর্থাৎ একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত হয়ে উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে উনাকে হাক্বীক্বীভাবে আনুগত্য বা অনুসরণ অনুকরণ করা।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












